কুয়াশার কারণে দেশের ব্যস্ততম দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে রোববার দিবাগত রাত সোয়া ১২টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, রোববার সন্ধ্যার পর থেকে নদী এলাকায় কুয়াশা পড়তে শুরু করে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশার ঘনত্ব বাড়তে থাকে। সোমবার রাত সোয়া ১২টার দিকে কুয়াশার ঘনত্ব এতটাই বেড়ে যায় যে, নদীপথের মার্কিং বাতিগুলোর আলো অস্পষ্ট হয়ে পড়ে। নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে এ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ রাখে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। এসময় যাত্রী ও যানবাহন বোঝাই করে দৌলতদিয়া ঘাটে আটকা পড়ে ৭টি ফেরি।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কুয়াশার ঘনত্ব কমে এলে পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু করা হবে।

এদিকে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার কারণে ঘাটে আটকে থাকা যানবাহন ও যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দ লতদ য় প ট র য় দ লতদ য় দ লতদ য়

এছাড়াও পড়ুন:

ডাকাতির চেষ্টার অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতা আটক

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ডাকাতির চেষ্টার অভিযোগে মাকসুদ মজুমদার (৩৯) ও মনির হোসেন (৩৭) নামের দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

রবিবার (৯ মার্চ) দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের নবাবগঞ্জ গ্রামের সরকার বাড়ি থেকে পুলিশ তাদের আটক করে।

আটক মনিরের বাড়ি সুলতানগঞ্জ ও মাকসুদের বাড়ি নীলগঞ্জ গ্রামে। মাকসুদ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং মনির নীলগঞ্জ ইউনিয়নে স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক।

আরো পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক মাদকসহ আটক

বোনের বাড়িতে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, এবার দুলাভাই আটক

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রাতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ১০-১২ জনের একটি ডাকাতদল সরকার বাড়িতে প্রবেশ করে। ওই বাড়িতে ৭-৮টি ঘর রয়েছে। ডাকাতদল ওই বাড়ির নীল কান্তি সরকারের ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় পার্শ্ববর্তী ঘরের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে ৯৯৯ নম্বরে কল করেন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ গিয়ে ওই ঘর থেকে দুজনকে আটক করে। এ সময় পালিয়ে যায় বাকিরা।

সরকার বাড়ির মিঠুন সরকার বলেন, ‘‘১০-১২ জনের ডাকাতদল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে। প্রথমে আমার ঘরের সামনে গিয়ে দরজায় লাথি মারে। এ সময় জানালা দিয়ে লাইট মেরে তাদের হাতে অস্ত্র দেখতে পাই। পরে তারা আমার ঘরের কাছ থেকে সরে গিয়ে নালিকান্তি সরকারের ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় বাড়ির সবাই একত্রিত হয়ে তাদের ওই ঘরের মধ্যে আটকে ফেলি। এর আগে, প্রতিবেশীরা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেয়।’’

কলাপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জুয়েল ইসলাম বলেন, ‘‘আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এর মধ্যে, মাকসুদ আগে থেকেই পুলিশের সন্দেহেরে তালিকায় ছিল।’’

ঢাকা/ইমরান/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ