দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে যমুনা থেকে সরলেন আহতরা
Published: 3rd, February 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহর কাছ থেকে দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে গভীর রাতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে থেকে হাসপাতালে ফিরে গেছেন জুলাই আন্দোলনে আহত ব্যক্তিরা।
রোববার দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে তারা যমুনার সামনে থেকে চলে যান। এর আগে সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিসহ ৭ দফা দাবিতে রাত সোয়া ১২টার দিকে যমুনার সামনে এসে বিক্ষোভ দেখান তারা।
রাত পৌনে দুইটার দিকে যমুনার সামনে হাসনাত আবদুল্লাহ জানান, আহতদের দাবিগুলো নিয়ে সরকারের সঙ্গে তিনি আলোচনা করবেন। আহতদের দাবিগুলো অন্য কোনো সরকার নয়, একমাত্র অন্তর্বর্তী সরকারই পূরণ করবে। তার এমন আশ্বাসের পর আন্দোলনরত আহতরা যমুনার সামনের সড়ক ছেড়ে যান।
এর আগে সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে গত শনিবার আগারগাঁওয়ের জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে আন্দোলনে নামেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতরা। রোববার তারা দিনভর রাজধানীর শিশুমেলা মোড়ে মিরপুর সড়ক অবরোধ করেন। সন্ধ্যায় সেখান থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে যাত্রা করেন আহত ব্যক্তিরা। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শাহবাগ এলাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে পৌঁছান। সেখানে পুলিশের ব্যারিকেডে আটকা পড়েন। তখন ওই জায়গায় বসে বিক্ষোভ শুরু করেন আহতরা। রাত পৌনে ১২টার দিকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনের ব্যারিকেড ভেঙে তারা যমুনার দিকে এগিয়ে যান। আন্দোলনকারীরা যমুনার সামনে পৌঁছালে সেখানে যান হাসনাত আবদুল্লাহ। সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেনাসদস্যরা আন্দোলনকারীদের সামনে অবস্থান নেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আহত জ ল ই গণহত য
এছাড়াও পড়ুন:
রূপগঞ্জে ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের ডাক গ্রীণ ইউনিভার্সিটির
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্তকায় ইসরায়েলের গণহত্যা ও দখলদারিত্বের প্রতিবাদে এবং গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজার সমর্থনে রূপগঞ্জে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও দোয়া মাহফিল করেছে গ্রিন ইউনিভার্সিটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৭ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত এ মানববন্ধন থেকে ইসরাইলের পণ্য বয়কটের পাশাপাশি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা কামনা করা হয়।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফায়জুর রহমান, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাইফুল আজাদ, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল্লাহ্, রেজিস্ট্রার ক্যাপ্টেন (অব.) শেখ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ‘বয়কট বয়কট, ইসরায়েল বয়কট’; ‘ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’; ‘তুমি কে আমি কে, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন বলেন, গোটা বিশ্বে আজ সবচেয়ে নিগৃহীত ফিলিস্তিনবাসী। নবজাতক ও শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধদেরকেও আজ ইসরাইলিরা নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করছে।
আহত হয়ে বিনা চিকিৎসা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে শত শত মানুষ। আহতদের চিকিৎসা প্রদানে এগিয়ে আসা স্বাস্থ্য-কর্মীদেরও হত্যা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় বিশ্ব মানবতার আর চুপ থাকা উচিত নয়।
এ সময় তিনি নিহত প্রত্যেক ফিলিস্তিনির রুহের মাগফেরাত কামনা ও আহতদের দ্রুত আরোগ্য লাভে সবাইকে দোয়ার করার আহ্বান জানান।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের বর্বরতার চরম মাত্রায় পৌঁছে গেছে। বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের উচিত- এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করা।
পাশাপাশি নিজ নিজ অবস্থান থেকে ইসরাইলের সব ধরনের পণ্য বয়কট করা। মানববন্ধন শেষে জোহর নামাজ শেষে বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে এক দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।