বেপরোয়া ট্রাক কাড়ল এক পরিবারের ৩ জনের প্রাণ
Published: 2nd, February 2025 GMT
সিলেটে মাজার জিয়ারতে যাওয়ার পথে ট্রাক ও প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে এক পরিবারের তিনজনসহ চারজন নিহত হয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই ভাইয়ের প্রাণ গেছে। এ ছাড়া রাজধানীর টিকাটুলী, সাতক্ষীরার দেবহাটা ও জয়পুরহাটের কালাইয়ে একজন করে নিহত হয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে মাইক্রোবাসে সিলেটে যাওয়ার পথে ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে নারী, শিশুসহ চারজন নিহত ও আহত হয়েছেন পাঁচজন। গতকাল রোববার সকালে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ১৯ মাইল নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন আশুলিয়ার আমইল্লা গ্রামের জাহিদ আলীর স্ত্রী সায়মা আক্তার ইতি (৩৫), তাঁর ছেলে আয়ান (৬), ইতির বোন শামীমা ইয়াসমিন (৩৮) ও চালক মোগড়াপাড়ার মিলন ভূঁইয়ার ছেলে সোহেল ভূঁইয়া (৩৮)। তাদের মধ্যে ঘটনাস্থলে দু’জন এবং হাসপাতালে নিলে দু’জনকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। দুর্ঘটনায় পড়া দুটি গাড়ি জব্দ করেছে পুলিশ।
শামীমার বোন জামাই আলম ও ওসমানীনগর থানার ওসি মুনায়েম মিয়া জানান, সিলেটে মাজার জিয়ারতের উদ্দেশে একই পরিবারের ৯ জন প্রাইভেটকারে যাচ্ছিলেন। পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওসমানীনগরে মহাসড়কসংলগ্ন হাটবাজার ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো দখল করে অবৈধ গাড়িস্ট্যান্ড স্থাপন ও ফুটপাত দখল করে রাখা হয়েছে। এ কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।
রাজধানীর ওয়ারীর টিকাটুলীতে গতকাল দুপুরে মাইক্রোবাসচাপায় মরিয়ম আক্তার (৩১) নামে এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। তাঁর বাড়ি লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ উপজেলায়। তিনি টিকাটুলী এলাকায় ভাড়া থাকতেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে মোটরসাইকেল গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে প্রাণ গেছে স্বেচ্ছাসেবী কর্মী শিহাব উদ্দিনের (২৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই ফরিদ মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিনের (২৪)। তাদের বাড়ি পৌর এলাকার আলীয়াবাদ গ্রামে। শিহাবের বাবা রফিক মিয়া কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, ‘এখন আমারে কেডা ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাইবো। রক্ত দিতে গিয়া আমার পোলা শেষ হয়ে গেল।’ বোরহানের বাবা ফরিদ মিয়া বিলাপ করেন, আমার বংশে দুই ভালো ছেলে আমাদের রেখে চলে গেল।
সাতক্ষীরার দেবহাটায় গতকাল রোববার দেবীশহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ট্রলিচাপায় মিম আক্তার (৭) নামে এক স্কুলছাত্রী নিহত হয়েছে। সে ওই বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ও দেবহাটা উপজেলার কালবাড়ী গ্রামের আলমগীর হোসেনের মেয়ে।
জয়পুরহাটের কালাই পৌর শহরের ঠুশিগাড়ীতে গতকাল সকালে দুই ট্রাকের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে এনামুল হক নামে এক চালক নিহত হয়েছেন।
(প্রতিবেদনে তথ্য দিয়েছেন সমকাল প্রতিবেদক ও সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রতিনিধি)
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: দ র ঘটন দ র ঘটন গতক ল
এছাড়াও পড়ুন:
অবশ্যম্ভাবী নাটকীয়তায় জমজমাট আইপিএল, দেখে নিন সমীকরণ
মাঠে এখন উত্তেজনার পারদ চূড়ায়। আইপিএলের ১৭তম আসরে ৪৮টি ম্যাচ শেষে দাঁড়িয়ে আছে এমন এক মোহময় মুহূর্তে, যেখানে দশ দলেরই সামনে তাত্ত্বিকভাবে প্লে-অফের রাস্তা খোলা! মাত্র ২২টি ম্যাচ বাকি। কিন্তু প্রত্যেক দল এখনো তাদের ভাগ্য গড়ার লড়াইয়ে মাঠে ঘাম ঝরিয়ে যাচ্ছে। কার সামনে কেমন চ্যালেঞ্জ, দেখে নেওয়া যাক এক ঝলকে—
১. রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (১৪ পয়েন্ট, ১০ ম্যাচ):
শীর্ষে থাকা কোহলিরা স্রেফ দু’টি জয় পেলেই নিশ্চিত করে ফেলবে প্লে-অফের টিকিট। তিনটি জিতলে প্রথম দুইয়ের মধ্যে থাকার সম্ভাবনাও থাকবে, যা কোয়ালিফায়ারে সরাসরি সুবিধা এনে দিতে পারে।
২. মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স (১২ পয়েন্ট, ১০ ম্যাচ):
প্রথমদিকে হোঁচট খেয়ে পরে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে রোহিতের মুম্বাই। চার ম্যাচ বাকি, এর মধ্যে তিনটি জিতলেই কাজ সারা! সব জিততে পারলে প্রথম দুইয়ে যাওয়ার পথও খোলা থাকবে।
আরো পড়ুন:
মিরাজের বীরত্বে দারুণ প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখলো বাংলাদেশ
বাংলাদেশের বিপক্ষে দারুণ বোলিং করে মুজারাবানির ইতিহাস
৩. গুজরাট টাইটান্স (১২ পয়েন্ট, ৯ ম্যাচ):
এক ম্যাচ কম খেলেও শক্ত অবস্থানে গুজরাট। পাঁচ ম্যাচের মধ্যে তিনটি জয়ই যথেষ্ট। তবে চারটি জিতলে শীর্ষস্থানও ধরা-ছোঁয়ার মধ্যে আছে।
৪. দিল্লি ক্যাপিটালস (১২ পয়েন্ট, ১০ ম্যাচ):
টানা দুটি হারের পরও দিল্লি এখনো ঠিক জায়গাতেই আছে। তিন জয় পেলে প্লে-অফ পাকা। আর চার জয় নিয়ে তারা প্রথম দুইয়ের মধ্যেও জায়গা করে নিতে পারে।
৫. পাঞ্জাব কিংস (১১ পয়েন্ট, ৯ ম্যাচ):
পাঁচ ম্যাচ হাতে রেখেছে শ্রেয়াসের দল। চার জয় আনলেই সরাসরি প্লে-অফ নিশ্চিত। তিন জয় পেলেও সম্ভাবনা টিকে থাকবে।
৬. লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস (১০ পয়েন্ট, ১০ ম্যাচ):
চার ম্যাচ বাকি। সব জিতলে নিশ্চিত প্লে-অফ। তিনটি জিতলে বাকি দলগুলোর ফলাফলের ওপর নির্ভর করতে হবে।
৭. কলকাতা নাইট রাইডার্স (৯ পয়েন্ট, ১০ ম্যাচ):
সর্বোচ্চ ১৭ পয়েন্ট পর্যন্ত যেতে পারবে কেকেআর। এর জন্য বাকি চার ম্যাচই জিততে হবে, নইলে অন্য দলগুলোর ফলাফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।
৮. রাজস্থান রয়্যালস (৬ পয়েন্ট, ১০ ম্যাচ):
সমীকরণ কঠিন, কিন্তু অসম্ভব নয়। চারটি ম্যাচে জয় তুলে নিতে হবে এবং তারপর অন্য দলের ফলাফলের দিকেও নজর রাখতে হবে।
৯. সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (৬ পয়েন্ট, ৯ ম্যাচ):
রাজস্থানের মতোই পয়েন্ট। তবে এক ম্যাচ বেশি হাতে থাকায় তাদের সম্ভাবনা তুলনামূলক বেশি। পাঁচটি জয় চাই, একটিও হারলে জটিল হিসাব শুরু।
১০. চেন্নাই সুপার কিংস (৪ পয়েন্ট, ৯ ম্যাচ):
তলানিতে অবস্থান করা চেন্নাই এখনো শেষ কথা বলেনি। পাঁচ ম্যাচে জয় আনলে ১৪ পয়েন্টে পৌঁছতে পারবে। কিন্তু তখন অন্য ৯ দলের ফলাফল নির্ধারণ করবে তাদের ভাগ্য।
এই মরসুমে আইপিএল যেন হয়ে উঠেছে এক বিশাল ধাঁধার মঞ্চ। শেষ হাসি কে হাসবে, তা জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত!
ঢাকা/আমিনুল