চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে প্রায় ২১৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। গত  বছরের একই মাসের তুলনায় যা ৭ কোটি ২০ লাখ ডলার বা ৩ দশমিক ৪০ শতাংশ বেশি। আর চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জানুয়ারি পর্যন্ত প্রথম সাত মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৫৯৬ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যা ৩০৫ কোটি ডলার বা ২৩ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি। রেমিট্যান্সের পাশাপাশি রপ্তানিতে ভালো প্রবৃদ্ধির কারণে বৈদেশিক মুদ্রাবাজার এবং রিজার্ভ পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর  বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে কোনো ডলার বিক্রি করছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের আশপাশেই রয়েছে। গত বুধবার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার। 

সংশ্লিষ্টরা জানান, গত আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বাড়ছে। এর প্রধান কারণ হুন্ডি কমে যাওয়া। ফলে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বাড়ছে। বাণিজ্যের আড়ালে কিংবা দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ হুন্ডি করে যারা দেশের বাইরে পাঠাত, তাদের বেশির ভাগই এখন চাপে আছে। অর্থ পাচার ঠেকাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকার। আবার ঋণ জালিয়াতি, রাজস্ব ফাঁকি, অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অনিয়মে অভিযুক্ত ১০টি গ্রুপের অনিয়ম তদন্তে যৌথ টিম কাজ করছে। এসব কারণে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে রপ্তানি আয় বেড়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ। 
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আগের মাস ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৬৪ কোটি ডলার। একক মাস হিসেবে যা ছিল সর্বোচ্চ। এর আগে একক মাসে সর্বোচ্চ ২৬০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালের জুলাইতে। মূলত বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনার কারণে ওই সময়ে হুন্ডি চাহিদা তলানিতে নেমে যায়। যে কারণে ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্সে ৩৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছিল।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র ম ট য ন স এস ছ

এছাড়াও পড়ুন:

মার্চে বেড়েছে মূল্যস্ফীতি 

চলতি বছরের মার্চ মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশে। এর আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্যে এ চিত্র উঠে এসেছে।

বিবিএসের তথ্য–উপাত্তে দেখা যাচ্ছে, মার্চে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে ৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ হয়েছে, যা এর আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ।

আরো পড়ুন:

বাধ্যতামূলক ছুটিতে ইসলামী ব্যাংকের এমডি

ট্রাম্পের শুল্ক
প্রভাব পড়বে না পুঁজিবাজারে, আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের

অন্যদিকে, মার্চে খাদ্য বহিভূত মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ দশমিক ৭০ শতাংশে পৌঁছেছে, যা ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে স্থির মূল্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৯৬ শতাংশ এবং দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে যা ছিল ৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে স্থির মূল্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ২৫ শতাংশ, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে যা ছিল ৪ দশমিক ০৯ শতাংশ।

পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে স্থির মূল্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে যা ছিল ৭ দশমিক ১০ শতাংশ।

পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে স্থির মূল্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ১০ শতাংশ, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে যা ছিল ১ দশমিক ০৪ শতাংশ।

ঢাকা/হাসান/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে ৩.৯ শতাংশ হবে, বাড়বে মূল্যস্ফীতি
  • প্রবৃদ্ধি হবে ৩.৯%, ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কের প্রভাব: এডিবি
  • চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৩.৯ শতাংশ
  • মধ্যপ্রাচ্যে ব্যবসা বাড়াচ্ছে শপআপ, বড় বিনিয়োগ
  • তিন মাস পর কিছুটা বাড়ল মূল্যস্ফীতি
  • মার্চে বেড়েছে মূল্যস্ফীতি 
  • অর্থনীতিতে গতি বেড়েছে, অক্টোবর–ডিসেম্বর প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ
  • দেশের পণ্য রপ্তানি ইতিবাচক ধারায়, মার্চে প্রবৃদ্ধি ১১.৪৪%: ইপিবির তথ্য
  • রপ্তানি বেড়েছে ১১ শতাংশ
  • মার্চে রপ্তানি হয়েছে ৪২৪ কোটি ডলারের পণ্য