Samakal:
2025-02-05@10:00:59 GMT

আনন্দ আয়োজন

Published: 2nd, February 2025 GMT

আনন্দ আয়োজন

দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম কৃষি বিদ্যাপীঠ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) প্রতিষ্ঠার ঠিক দু’বছর পরই ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (বাকৃবিসাস)।
বাংলাদেশে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাংবাদিক সংগঠনের মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী এই সংগঠনটি ৬২ বছরের দীর্ঘ যাত্রায় বহু শিক্ষার্থীর সাংবাদিকতার দক্ষতা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছে। বাকৃবিসাস সদস্যদের নিবেদিতপ্রাণ লেখনীর মাধ্যমে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপ্রণালি ও গবেষণা কার্যক্রম নয়, দেশের কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিষয়ক সামগ্রিক উন্নয়নও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি লাভ করেছে এবং প্রশংসিত হয়েছে।
৬২ বছরের এই যাত্রাপথে, ২০২৫ সালের শুরুতেই নবজাগরিত বাংলায় তথা বাকৃবি প্রাঙ্গণে বাকৃবিসাস আয়োজন করে এক বর্ণাঢ্য পুনর্মিলনীর। প্রাক্তন ও বর্তমান সদস্যদের মিলনমেলায় পুনর্মিলনীর এই আয়োজন হয়ে ওঠে অনন্য।  পুনর্মিলনী উপলক্ষে বাকৃবির শিক্ষক ছাত্র মিলনায়তন (টিএসসি) চত্বরে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই শুরু হয় পুনর্মিলনী আয়োজনের প্রাণোচ্ছল উদযাপন। টিএসসির ৪ নম্বর কক্ষ ও সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ের সামনে অঙ্কন করা হয় বর্ণিল আল্পনা। পুর্নমিলনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে বাকৃবির ছাত্র শিক্ষক মিলনায়তনের ৪ নম্বর কক্ষের (বাকৃবিসাস কার্যালয়) সামনে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই আনন্দ উদযাপনের রোল পড়ে গিয়েছিল। কার্যালয়ের সামনে বর্ণিল আল্পনা অঙ্কন, আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয় পুরো টিএসসি চত্বরকে। এই আনন্দ উদযাপনকে পূর্ণাঙ্গ করে তুলতে এবং বাকৃবিসাসের সদস্যদের উজ্জীবিত করে রাখতে বিভিন্ন সংগীত বাজিয়ে পরিবেশকে আনন্দমুখর করে তোলা হয়। উৎসবে সবার এক হয়ে হৈ-হুল্লোড় ছিল পুনর্মিলনী উদযাপনেরই একটি মজাদার অংশ।
পুনর্মিলনীর মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় পরদিন সকাল ৯টায়, সদস্যদের রেজিস্ট্রেশন পর্ব সম্পন্নের মাধ্যমে। বেলা ১১টায় বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সেমিনার কক্ষে শুরু হয় এক বিশেষ সেমিনার। প্রাক্তন ও বর্তমান সদস্যদের পরিচিতি পর্বের মাধ্যমে শুরু হওয়া সেমিনারে পরিচিতি পর্ব শেষে প্রদর্শিত হয় সংগঠনের সোনালি অতীতের কিছু স্মরণীয় মুহূর্ত। প্রাক্তন সদস্যরা তাদের স্মৃতি ও অভিজ্ঞতা বাকৃবিসাসের বর্তমান সদস্যদের সঙ্গে ভাগ করে নেন। স্মৃতিচারণ ও অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার পর্বে বাকৃবিসাসের সাবেক সভাপতি নাজিব মুবিন বলেন, বাকৃবি সাংবাদিক সমিতি ছিল আমার পরিবার। সুখে-দুঃখে এ পরিবার পাশে ছিল। আজও আমার কর্মজীবনে সমিতির অভিজ্ঞতা প্রতিফলিত হচ্ছে। বাকৃবিসাসের সাধারণ সম্পাদক তানিউল করিম জীম বলেন, 'পুনর্মিলনী শুধু স্মৃতিচারণ নয়, এটি বর্তমান ও ভবিষ্যতের মধ্যে এক সেতুবন্ধন। 
বাকৃবিসাসের অন্যতম সাবেক সভাপতি শাহীদুজ্জামান সাগর বলেন, পুরোনো প্রজন্মের সদস্যদের সঙ্গে দেখা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় ছিল অন্যরকম। তাদের হাতের লেখা সংবাদপাঠের গল্প আমাদের নতুনভাবে অনুপ্রাণিত করেছে।  স্মৃতিচারণ পর্ব শেষে প্রাক্তন ও বর্তমান সদস্যরা একত্রিত হয়ে একটি গ্রুপ ছবি ধারণ করে। এরই মধ্য দিয়ে সেমিনার পর্বের সমাপ্তি ঘটে। সেমিনারের পর মধ্যাহ্নভোজ শেষে শুরু হয় খেলাধুলার আয়োজন। বল নিক্ষেপ, হাঁড়ি ভাঙা এবং ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সবাই দিনটিকে আনন্দঘন করে তোলে। খেলাধুলা পর্ব শেষে সবাই বেরিয়ে পড়ে ব্রহ্মপুত্র নদের উদ্দেশে। সেখানে নৌবিহার পর্বের আয়োজন করা হয়েছিল।
সন্ধ্যায় আয়োজিত বারবিকিউ পার্টি এবং ব্যাডমিন্টন টুর্ণামেন্টে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সৃষ্টি হয় এক প্রাণবন্ত পরিবেশ। রাতের পুরস্কার বিতরণ পর্বে বিজয়ীদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়। v

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আনন দ শ ভ য ত র র পর ব পর ব শ পর ব র আনন দ

এছাড়াও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে সেমিনার

৮ম জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে 'খাদ্য হোক নিরাপদ, সুস্থ থাকুক জনগণ' এই প্রতিপাদ্য নিয়ে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সুরাইয়া সাইদুন নাহারের সভাপতিত্বে এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা পুলিশ প্রশাসন, বিভিন্ন সরকারি  অধিদপ্তরের অফিস প্রধান, ক্যাব প্রতিনিধি এবং রেস্টুরেন্ট ও বেকারি দোকান মালিকরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, ভেজাল খাদ্য নিয়ন্ত্রণে দেশের জনগণ সকলেই যদি সচেতন না হয় কোন আইন করেও ভেজাল খাদ্য প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। বিভিন্ন খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে ভেজাল রোধে একাধিকবার জরিমানা গ্রেফতার করলেও তার কোন সুরাহা হয়নি, তার কারণ হচ্ছে সবার মধ্যে সচেতন হওয়াটা জরুরী। তাহলেই নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত হবে বলে জানান তিনি।

নারায়ণগঞ্জ জেলার নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, ২০১৩ সাল থেকে নিরাপদ খাদ্য আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০১৫ সালে নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষ প্রতিষ্ঠিত হয়। এবং জেলা পর্যায়ে ২০২০ সাল থেকে যাত্রা শুরু হয়।

বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপদে জনমান নির্ধারণ করা, নিরাপদ এবং মান নিশ্চিত করা, নিরাপদ খাদ্য স্থাপনা পরিদর্শন, মনিটরিং গাইড করা, মোবাইল কোড পরিচালনা করা, ও নিরাপদ খাদ্য বিক্রয় বন্ধ ও আই নানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

জনসচেতনতা বৃদ্ধি প্রশিক্ষণ প্রধান ও বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪০ খিত্তায় ২২ জেলার মুসল্লিদের সময় কাটছে ধর্মীয় বয়ান শুনে
  • প্লাটিনাম জয়ন্তী পালন করবে ঢাবির ভূগোল বিভাগ
  • বাদ্য-নৃত্য-মন্ত্রে দেবী সরস্বতীর আরাধনায় শিক্ষার্থীরা
  • সকল ধর্মে প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার আহ্বান নোবিপ্রবি উপাচার্যের
  • সরস্বতী পূজা আমাদের সমাজেও বসন্তের আগমনী বার্তা নিয়ে আসুক: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
  • সরস্বতী পূজা আজ
  • সুন্দরবন দিবস পালনে খুলনাসহ ৫ জেলায় প্রস্তুতি
  • নারায়ণগঞ্জে নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে সেমিনার
  • শহীদ নজিরের কবর জিয়ারত বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের