কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ফজলুর রহমানের নির্দেশে তারেক রহমানের ৩১ দফা প্রচারের মঞ্চ ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার বিকেলে উপজেলার এলংজুরী বাজারে  এ ঘটনা ঘটে।

এ অভিযোগ অস্বীকার করে ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমার কোনো লোক নাই। তারা সবাই দলের লোক।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেলে ইটনার এলংজুরী বাজারে ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত ৩১ দফার আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি নেতা আবদুর রহিম মোল্লা। তিনি সেখানে পৌঁছানোর আগেই মঞ্চ ভেঙে ফেলেন দলের কিছু নেতাকর্মী। পরে ভাঙা মঞ্চেই আবদুর রহিম মোল্লা সভা করেন। গতকাল রোববার তাঁর পক্ষের লোকজন মঞ্চ ভাঙচুরের প্রতিবাদে এলংজুরী বাজারে মিছিল করেন। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

স্থানীয় বিএনপি নেতা মো.

জামরুল মিয়া বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তারা আলোচনা সভার আয়োজন করেছিলেন। কিন্তু ফজলুর রহমানের অনুসারীরা এই কর্মসূচি বন্ধ করে দিতে মঞ্চ ভেঙে ফেলেন। সবার হাতে দেশীয় অস্ত্র ছিল। কিন্তু তারা (জামরুল মিয়া) সংঘর্ষে জড়াননি। তিনি বলেন, ‘এই প্রোগ্রামে কেন এমন করা হলো আমরা এর বিচার চাই। এরা বিএনপি করে না। এদের কোনো পদ পদবি নেই। এরা ফজলুর রহমানের গ্রুপ করে।’
বিএনপির প্রবীণ কর্মী আবদুল খালেক বলেন, ‘এটা তো বিএনপির মঞ্চ, তারেক জিয়ার মঞ্চ– এই মঞ্চটাই ভেঙে দিল নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে উচ্ছৃঙ্খলতার কারণে আর এই উচ্ছৃঙ্খলতাই আবার শুরু হয়েছে।’

একইভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপির আরেক নেতা জসীম উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আমরা কোনোদিন এদের বিএনপি করতে দেখিনি। তারা সবাই ৫ আগস্টের পরের বিএনপি এবং ফজলুর রহমানের গ্রুপ করে।’
বিএনপির জন্মের পর থেকে এমন ন্যক্কারজনক সন্ত্রাসী ঘটনা এখানে কোনোদিন ঘটেনি বলে মন্তব্য করেছেন কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান ভূঞা। তিনি বলেন, ‘আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
ঘটনার বিষয়ে সাবেক জেলা প্রশাসক ও বিএনপি নেতা আবদুর রহিম মোল্লা বলেন, ফজলুর রহমান এ অঞ্চলে একটি বিতর্কিত নাম। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে অনুরোধ, বিএনপির মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী বাকশালির লোক ফজলুর রহমানকে বহিষ্কার করা হোক।
এ বিষয়ে ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমার কোনো লোক নাই। তারা সবাই দলের লোক। আমি এ বিষয়ে কোনো কিছু বলতে পারব না। থানা কমিটিকে জিজ্ঞেস করেন।’
৩১ দফার আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ফজলুর রহমান শিকদার ও জেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সালাহ উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফজল র রহম ন র ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

আইপিএলে আজ অনন্য কীর্তি গড়তে পারেন কোহলি

ছক্কার রাজা ক্রিস গেইল আইপিএলেও সবচেয়ে বেশি ছক্কা মেরেছেন (৩৫৭টি)। সবচেয়ে বেশি চার মেরেছেন শিখর ধাওয়ান (৭৬৮)।

তবে চার-ছক্কা মিলিয়ে সবার ওপরে বিরাট কোহলি। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে সব মৌসুম খেলা ‘কিং কোহলি’ এখন পর্যন্ত বাউন্ডারি মেরেছেন ৯৯৮টি।

বুঝতেই পারছেন, আইপিএল ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ১০০০ বাউন্ডারি থেকে কোহলি মাত্র দুটি শট দূরে। সেই মাইলফলকে তিনি আজই পৌঁছে যেতে পারেন।

আজ রাতে নিজেদের মাঠ এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে দিল্লি ক্যাপিটালসের মুখোমুখি হবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। দলটির হয়ে ওপেনিংয়ে ব্যাট করা কোহলি হাজার বাউন্ডারির মাইলফলক ছুঁতে পারেন পাওয়ারপ্লেতেই।

গত বছর আইপিএলের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক (৭৪১) কোহলি এবারও বেশ ছন্দে আছেন। বেঙ্গালুরুর হয়ে প্রথম চার ম্যাচে ৫৪.৬৬ গড়ে করেছেন ১৬৪ রান। ফিফটি আছে দুটি। ৯৭৭ বাউন্ডারি নিয়ে আইপিএলের ১৮তম আসরে খেলতে নামা কোহলি মেরেছেন আরও ১৫টি চার ও ৬টি ছক্কা।

৩৬ বছর বয়সী এই রানমেশিন এবারের আইপিএলেই স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে ১৩ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ১২৮ ছক্কা মেরে আইপিএলের এক ভেন্যুতে সর্বোচ্চ ছক্কায় ক্রিস গেইলের রেকর্ডও (১২৭) ভেঙেছেন। একই ভেন্যুতে আজ দুটি বাউন্ডারি মারলেই আরেকটি কীর্তি গড়ে ফেলবেন কোহলি।

আরও পড়ুনকোন ওষুধে কাজ হচ্ছে কোহলির বেঙ্গালুরুর০৮ এপ্রিল ২০২৫

আইপিএলে সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারির রেকর্ডটা অনেক আগে থেকেই কোহলির। ৯২০ বাউন্ডারি মেরে দুইয়ে থাকা শিখর ধাওয়ান গত বছর খেলোয়াড়ি জীবনকে বিদায় বলে দিয়েছেন।

আইপিএলে চার–ছক্কায় কোহলিকে অদূর ভবিষ্যতে কেউ ছুঁতে পারবেন বলে মনে হয় না

সম্পর্কিত নিবন্ধ