Samakal:
2025-03-10@04:42:43 GMT

তিলকপুরের দুঃখ ঘুচল কি

Published: 2nd, February 2025 GMT

তিলকপুরের দুঃখ ঘুচল কি

আক্কেলপুরের তিলকপুরে মেয়েদের এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয়ে দুই জেলার ক্রিকেট দলের খেলার আয়োজন করা হয়েছিল। প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়। এতে বাদ সাধেন স্থানীয় কিছু লোক। মাঠে ভাঙচুর চালালে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। এ নিয়ে দেশব্যাপী প্রতিবাদের ঝড় উঠলে ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চান হামলাকারীরা। পরে একই উপজেলার আরেক মাঠে হয়ে গেল মেয়েদের ব্যাট-বলের জমজমাট লড়াই।
উপজেলায় তারুণ্যের উৎসবের অংশ হিসেবে নারী (প্রমীলা) ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল রোববার এ আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর মূল উদ্দেশ্য নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নারীদের এগিয়ে নেওয়া। সরকারি ফজর উদ্দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনূর্ধ্ব-১৭ বালিকা গ্রুপের এ খেলায় অংশ নেয় দুই দল।
গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ভানুরকান্দা উচ্চ বিদ্যালয় ও পৌরসভার আক্কেলপুর সরকারি ফজর উদ্দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় দলের মধ্যে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৯ উইকেটে ৯ বল হাতে রেখে ভানুরকান্দা উচ্চ বিদ্যালয় দল চাম্পিয়ন হয়েছে। তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে নারীদের বিভিন্ন প্রতিযোগিতা গত ৩০ নভেম্বর শুরু হয়েছে, চলবে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
সরকারি ফজর উদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী রিমা তাসনিম মহিনীর ভাষ্য, ‘আমরা ক্রিকেট দলকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আমরা চাই, আরও বড় পর্যায়ে খেলতে। নারীরা পেছনে থাকবে না, নারীরাও এগিয়ে যাবে।’ একই বিদ্যালয়ের জান্নাতুন ফেরদৌস বলছিল, ‘আমরা পড়াশোনার পাশাপাশি ক্রিকেট খেলে দেশকে এগিয়ে নিতে চাই।’
স্থানীয় বাসিন্দা শাহিনুর রহমানের মেয়ে প্রমীলা ক্রিকেট টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, খেলায় মেয়েরা আন্তর্জাতিকভাবে সাফল্য অর্জন করছে। স্থানীয়ভাবে প্রশাসনের সহযোগিতায় খেলাধুলা আয়োজনের কারণে তাদের মধ্যে আগ্রহ বাড়ছে।
জানা গেছে, গত ২৯ জানুয়ারি জয়পুরহাট ও রংপুর নারী দলের ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের কথা ছিল। মাইকিং করে প্রচারও করেন আয়োজকরা। এতে স্থানীয় ‘আলেম সমাজ ও মুসল্লিরা’ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তারা আগের দিন ২৮ জানুয়ারি বিকেলে উপজেলার তিলকপুর রেলস্টেশনের সামনে স্বাধীনতা চত্বরে জড়ো হয়ে নারীদের খেলা নিয়ে আপত্তি তুলে বক্তব্য দেন। এর পর সেখান থেকে গিয়ে খেলার মাঠের টিনের বেড়া ভাঙচুর করেন।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ নিয়ে সংবাদ প্রচার হলে সরকার এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত দল গঠন করা হয়। এ নিয়ে গণশুনানি হলে অনুতপ্ত হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন তিলকপুরের বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, স্থানীয় বাচ্চাহাজি মাদ্রাসার সহকারী পরিচালকসহ স্থানীয় আলেমরা। 
গোপীনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ও টুর্নামেন্ট আয়োজক কমিটির সদস্য আব্দুল বাছেদ বলেন, মেয়েরা খেলাধুলায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সম্মান বয়ে আনছে। লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা শরীর ও মন ভালো রাখে।
ইউএনও মনজুরুল আলম বলেন, উপজেলার নারী খেলোয়াড়রা বাধাহীনভাবে দেশের সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখবে। তিলকপুরে খেলার মাঠে নিছক ভুল বোঝাবুঝি থেকে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। তারা ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চাওয়ায় সেটি ইতোমধ্যে সমাধান হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত লকপ র উপজ ল সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ফের নিজের তৈরি বিমানে উড়লেন জুলহাস, যমুনাপাড়ে উৎসবের আমেজ

ফের নিজের তৈরি বিমানে আকাশে উড়েছেন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি জুলহাস মোল্লা (২৮)। রবিবার (৯ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার জাফরগঞ্জে যমুনার পাড়ে নিজের তৈরি বিমানে আকাশে উড়েন তিনি।

এ সময় বাংলাদেশ বিমানের অবসরপ্রাপ্ত পাইলট ক্যাপ্টেন আব্দুল্লাহ আল ফারুকসহ সিভিল এভিয়েশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে, গত সোমবার (৩ মার্চ) পরীক্ষামূলক প্রথম ওড়েন তিনি।

জুলহাসের তৈরি বিমানে আকাশে উড়া দেখতে রবিবার সকাল থেকে হাজারো মানুষ যমুনার পাড়ে ভিড় করেন। লোকে লোকারণ্য যমুনাপাড়ে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।

টাঙ্গাইলের নাগরপুর থেকে লোকমান রহমান ছেলে রোরহানকে নিয়ে এসেছেন জুলহাসের বিমান দেখতে। তিনি বলেন, ‘‘জুলহাসের তৈরি বিমান টিভিতে দেখার পর ছেলে সামনে থেকে দেখার বায়না ধরেছে। ছেলের আবদার পূরণে আজ সকালে যমুনার পাড়ে ছুটে আসি। বিমানটি সামনে থেকে দেখতে পেরে বোরহান খুবই খুশি।’’

মানিকগঞ্জ শহরের উত্তর সেওতা থেকে এসেছেন জুয়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘‘ইচ্ছা এবং চেষ্টা থাকলে অনেক কঠিন কাজও সম্ভব। সেটাই প্রমাণ করেছেন মানিকগঞ্জের এক তরুণ। তিনি নিজের চেষ্টা ও পরিশ্রমে বিমান তৈরি করেছেন। শুধু তাই নয়, নিজেই সেটি সফলভাবে আকাশে উড়িয়েছেন।’’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জুলহাস মোল্লার বাড়ি মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার তেওতা ইউনিয়নের ষাইটঘর তেওতা গ্রামে। জুলহাসের বাবা জলিল মোল্লার গ্রামের বাড়ি ছিল জেলার দৌলতপুর উপজেলার বাঘুটিয়া এলাকায়।

নদীভাঙনের কারণে বর্তমানে তারা শিবালয় উপজেলার ষাইটঘর তেওতা এলাকায় পরিবারসহ বসবাস করেন। ছয় ভাই ও দুই বোনের মধ্যে জুলহাস পঞ্চম। তিনি জিয়নপুর উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেছেন। পরে অর্থাভাবে আর পড়তে পারেননি। পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি জুলহাস ঢাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চুক্তিভিত্তিক কাজ করেন। ছুটিতে বাড়িতে এসে তৈরি করেছেন বিমানটি।

জুলহাস মোল্লা জানান, তিন বছর গবেষণা এবং এক বছর সময় লেগেছে বিমানটি তৈরি করতে। অ্যালুমিনিয়াম ও লোহা দিয়ে বিমানটির অবকাঠামো তৈরি। পানির পাম্পের ‘সেভেন হর্স পাওয়ারের’ ইঞ্জিন ব্যবহার করেছেন।

তিনি বলেন, ‘‘বিমানটি পরীক্ষামূলকভাবে প্রশিক্ষণের জন্য তৈরি করা হয়েছে। তবে, সরকারি অর্থায়ন ও পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এটি বাণিজ্যিকভাবে তৈরি করা যেতে পারে। বিমানটি ৫০ ফুট ওপরে উড়তে পারে।’’

বাংলাদেশ বিমানের অবসরপ্রাপ্ত পাইলট ক্যাপ্টেন আব্দুল্লাহ আল ফারুক বলেন, ‘‘জুলহাসের বিমানটি তৈরিতে যে গবেষণা হয়েছে, তা কীভাবে আরো উন্নয়ন ঘটানো যায় সে বিষয়ে সবাই কাজ করব। সেই সঙ্গে তার একাডেমিক রিসোর্স ও কারিগরি যেসব সহযোগিতা প্রয়োজন, সে বিষয়ে আমরা সহযোগিতা করব।’’

ঢাকা/চন্দন/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইফতার উৎসবে রাবি শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা
  • খুশির খবর দিয়ে মেহজাবীন লিখলেন, ‘কী সুন্দর একটি সকাল’
  • ফের নিজের তৈরি বিমানে উড়লেন জুলহাস, যমুনাপাড়ে উৎসবের আমেজ
  • স্মার্টফোনে ঈদ উৎসব
  • জাতীয় নারী ফুটবল দলের অয়ন্তের বাড়িতে উৎসবের আমেজ
  • ঝোঁকের মাথায় অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার বদভ্যাস ত্যাগ করবেন যেভাবে
  • রাজ মাসুদ ফরহাদের দুটি কাব্যগ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত
  • বেড়েছে রোমান্টিক-পারিবারিক গল্পের চাহিদা
  • ঈদ নাটকের প্রস্তুতি, বেড়েছে রোমান্টিক-পারিবারিক গল্পের চাহিদা
  • পবিত্র রমজান: দেশে দেশে যত আচার-রীতি