সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুল হত্যাকাণ্ডের আট বছরেও বিচার পায়নি তাঁর পরিবার। ২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি শাহজাদপুর পৌর এলাকায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। পরদিন ৩ ফেব্রুয়ারি তাঁর মৃত্যু হয়। হত্যার বিচার শেষ না হওয়ায় হতাশ স্বজন ও সহকর্মীরা।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পৌরসভার সাবেক মেয়র হালিমুল হক মিরুসহ ৪০ জনকে আসামি করে শাহজাদপুর থানায় মামলা করেন শিমুলের স্ত্রী। ২০১৭ সালের ২ মে ৩৮ জনকে আসামি করে পুলিশ অভিযোগপত্র দেয়। পরে মামলাটি শাহজাদপুর আমলি আদালত থেকে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়। এর পর আসামিদের নানা পদক্ষেপের কারণে অভিযোগ গঠন বিলম্বিত হতে থাকে। এর মধ্যে উচ্চ আদালতের আদেশে আসামি অনেক আগেই জামিনে ছাড়া পান। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মামলার জামিনপ্রাপ্ত আসামিরা শাহজাদপুর ছেড়ে পালিয়ে যায়।
শিমুলের স্ত্রী নুরন্নাহার বলেন, মিরুসহ ৩৮ আসামি জামিনে। উপজেলা চেয়ারম্যান হয়ে মামলা তুলে নিতে মিরু ও তার লোকজন প্রায় চাপ দেয়। পালিয়ে থেকেও মিরু ও তার দোসররা নানা কায়দায় চাপ দিচ্ছে। বর্তমানে বিচার পেতে অন্তর্বর্তী সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
শাহজাদপুর প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি বিমল কুমার কুণ্ডু জানান, ২০১৯ সালের ৩ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ ছয় সপ্তাহের মধ্যে শিমুল হত্যা মামলায় হাইকোর্টে স্থগিতাদেশের রুল নিষ্পত্তির আদেশ দেন। এর পরও বিচার কাজ স্থবির হয়ে আছে।
প্রতিবছর ৩ ফেব্রুয়ারি শিমুলকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন সহকর্মীরা। শাহজাদপুর প্রেস ক্লাবে স্মরণসভায় শিমুলের স্বজনকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়। এবারও এ আয়োজন করা হয়েছে। 
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মানুষের দোয়া ও ভালোবাসায় চূড়ান্ত বিচারে তিনি উত্তীর্ণ হবেন

শ্রদ্ধা–ভালোবাসায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিককে স্মরণ করলেন তাঁর সহকর্মী ও শিক্ষার্থীরা। অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এই স্মরণসভার আয়োজন করেন।

আজ বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক মোজাফ্‌ফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে এই স্মরণসভা হয়। সকাল ১০টায় স্মরণসভা শুরু হয়ে শেষ হয় বেলা দুইটার দিকে। সভায় অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের পরিবারের সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান, বিভিন্ন বিভাগের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষক এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রয়াত এই শিক্ষকের কথা বলতে গিয়ে তাঁদের অনেকে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। সহকর্মীরা প্রয়াত এই অধ্যাপকের প্রতি তাঁদের ভালোবাসার কথা উল্লেখ করেন।

অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক গত ১৩ মার্চ রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁকে স্মরণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘তিনি আপাদমস্তক একজন ভদ্রলোক ছিলেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষমতায় থেকে ক্ষমতা যখন থাকবে না এই চিন্তাটি করা অত্যন্ত কঠিন একটি কাজ। এ কাজটি মূলত আরেফিন সিদ্দিক স্যার করেছিলেন।’ ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘আমি আমার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়ে যাঁদের সঙ্গে পরামর্শ করতাম, তাঁদের মধ্যে তিনি ছিলেন। আমি বিশ্বাস করি, মানুষের দোয়া ও ভালোবাসায় চূড়ান্ত বিচারে তিনি উত্তীর্ণ হবেন।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের স্মরণসভার শুরুতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। আজ বুধবার মোজাফ্‌ফর আহমেদ চৌধুরী অডিটরিয়াম, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঘুষসহ গ্রেপ্তার নৌ অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলীর ৩ বছরের দণ্ড
  • মানুষের দোয়া ও ভালোবাসায় চূড়ান্ত বিচারে তিনি উত্তীর্ণ হবেন