দেশে প্রথম পরিবেশবান্ধব গ্রাহকসেবা কেন্দ্র স্থাপন করেছে গ্রামীণফোন। সিলেটের আম্বরখানায় কেন্দ্রটি ইতোমধ্যে গ্রাহকসেবায় নিয়োজিত। কারিগরি মাধ্যমে টেকসই ব্যবস্থাপনায় নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করল অপারেটরটি। এমন উদ্যোগে একদিকে যেমন পরিবেশ সুরক্ষিত থাকবে, অন্যদিকে গ্রাহক পরিষেবায় যুক্ত হবে নতুন অভিজ্ঞতা।
পরিবেশবান্ধব ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে নির্মিত পরিষেবা কেন্দ্রটি টেলিযোগাযোগ খাতে অগ্রগামী পদক্ষেপ, যেখানে ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশ কার্যক্রমই হবে কাগজহীন ও প্লাস্টিকমুক্ত। নির্মাণ থেকে শুরু করে কেন্দ্রের ভেতরের সাজসজ্জা ও দৈনন্দিন কার্যক্রমের প্রতিটি ধাপে পরিবেশের ছোঁয়া নিশ্চিত করা হয়েছে। নির্মাণে ব্যবহৃত প্রতিটি উপাদানই টেকসই উপকরণ দিয়ে তৈরি। প্রচলিত উপকরণের বদলে টেকসই ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান ব্যবহৃত হয়েছে। গ্রাহক পরিষেবা হবে কাগজহীন। ফলে ডিজিটাল উদ্ভাবনের সহায়তায় সেবায় গতি আসবে। অন্যদিকে, পরিবেশের ক্ষতিও কম হবে।
জানা গেছে, দেয়াল বাগান (ভার্টিক্যাল গার্ডেন) ও পরিবেশবান্ধব দৃশ্যের (ল্যান্ডস্কেপিং) সমন্বয়ে সেবাকেন্দ্রের আবহ তৈরি। নকশায় যুক্ত হয়েছে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শীতল পাটি। উদ্ভাবন ও প্রকৃতির সমন্বয়ে এমন পদক্ষেপ প্রথম।
উদ্যোগ প্রসঙ্গে গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার ফারহা নাজ জামান বলেন, আমরা যা কিছু করি, তার কেন্দ্রে থাকেন গ্রাহক। যখন সেটি হয় টেকসই পদক্ষেপ, তখন তা আরও অর্থবহ হয়। সিলেটের গ্রিন গ্রাহকসেবা কেন্দ্রটি পরিবেশবান্ধব ও টেকসই ভবিষ্যৎ গড়তে সংকল্পের প্রতিফলন। দ্রুত ও মানোন্নত গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করবে এমন কেন্দ্র। উদ্ভাবন, স্থায়িত্ব ও স্থানীয় ঐতিহ্যেকে আমরা কাজে লাগিয়েছি, যা শিল্প খাত ও সমাজকে পরিবেশবান্ধব ভবিষ্যৎ উদ্যোগ গ্রহণে উৎসাহিত করবে।
শুধু পরিবেশগত দায়িত্ব পালন নয়, এমন উদ্যোগ কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও বৈশ্বিক টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য পূরণে সহায়ক। নিজস্ব সংস্কৃতিকে সম্মান জানিয়ে স্থানীয়দের ক্ষমতায়নে অপারেটরটি কাজ করবে। পরিবেশবান্ধব এ সেবাকেন্দ্র পরিবেশের সুরক্ষায় বিশেষ উদাহরণ হবে বলে উদ্যোক্তারা জানান।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর ষ ব পর ব শ ট কসই

এছাড়াও পড়ুন:

বৈশাখের কয়েক পদ

আসছে পহেলা বৈশাখ। বাংলা বছরের নতুন দিনটি বরণ করে নিতে বাঙালিয়ানা পোশাকের সঙ্গে চলে খাবারের রকমারি আয়োজন। পহেলা বৈশাখে ঘরে তৈরি করতে পারেন এমন কয়েক পদ খাবারের রেসিপি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী মিতা আজহার ও আফরোজা খানম মুক্তা

ইলিশ মাসালা
উপকরণ: ইলিশ মাছ ৪ টুকরা, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, টকদই ২ টেবিল চামচ, চিনি সামান্য, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, ধনে গুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, কাঁচামরিচ ৪টি, তেল আধা কাপ।
প্রস্তুত প্রণালি: মাছ ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। তেল, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ বাদে সব উপকরণ দিয়ে মাছ ম্যারিনেট করে রেখে দিন আধা ঘণ্টা। এবার চুলায় ফ্রাইপ্যান বসিয়ে তেল দিন, গরম হলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে বাদামি করে ভেজে ম্যারিনেট করা মাছ দিয়ে রান্না করুন। উল্টে দিন, আধা কাপ পানি দিন, কাঁচামরিচ ফালি করে দিন, তেল ওপরে ভেসে এলে নামিয়ে নিন। ভাত ও পোলাওয়ের সঙ্গে পরিবেশন করুন মজাদার ইলিশ মাসালা।

কাঁচা আমে টেংরা মাছের ঝোল 
উপকরণ: টেংরা মাছ ১০টি, কাঁচা আম ২টি, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা চামচ, মরিচ গুঁড়া সামান্য, ধনে গুঁড়া আধা চা চামচ, জিরা গুঁড়া সামান্য, পাঁচফোড়ন গুঁড়া চা চামচের চার ভাগের ১ ভাগ, কাঁচামরিচ ২/৩টি, লবণ স্বাদমতো, তেল ২ টেবিল চামচ।
প্রস্তুত প্রণালি: মাছ কেটে ধুয়ে নিন। আম কেটে ফালি করে নিন। ফ্রাইপ্যানে তেল দিয়ে গরম হলে রসুন কুচি দিয়ে বাদামি রং করে ভেজে অল্প একটু পানি দিয়ে পেঁয়াজ বাটা দিয়ে নেড়েচেড়ে দিন। এবার পাঁচ ফোড়ন গুঁড়া ও কাঁচামরিচ বাদে একে একে বাকি সব উপকরণ দিয়ে কষিয়ে পানি দিয়ে ঝোল ঝোল করে রান্না করুন। পাঁচ ফোড়ন গুঁড়া ও কাঁচামরিচ ফালি দিয়ে দিন। এভাবে তৈরি করে নেন কাঁচা আমে টেংরা মাছের ঝোল।

রসগোল্লা 
উপকরণ: ১. ছানা–২০০ গ্রাম, ২. সুজি–১ চা চামচ, ৩. ময়দা–৩ চা চামচ, 8. এলাচ গুঁড়া–১ চিমটি, ৫. চিনি অর্ধেক চা চামচ, ৬. সিরা চিনি–২৫০ গ্রাম, ৭. পানি দেড় কাপ।
প্রণালি: ১ লিটার তরল দুধ ফুটে উঠলে টক দই বা লেবুর রস বা সিরকা দিয়ে ছানা তৈরি করে নিন। পরে চালনিতে পাতলা কাপড় রেখে ৩০ মিনিট ঝুলিয়ে রাখতে হবে। ছানা, সুজি, ময়দা, চিনি, এলাচ গুঁড়া একসঙ্গে মিশিয়ে হাতে তেল মাখিয়ে ১৬টি ভাগ করে মিষ্টি বা বল বানিয়ে নিন। চিনি, পানি একসঙ্গে জাল দিয়ে সিরা তৈরি করে নিতে হবে। সিরা ফুটে উঠলে সব মিষ্টি ছেড়ে চুলার তাপ বাড়িয়ে ১০ মিনিট ঢাকনাসহ রান্না করুন। পরে চুলার তাপ মিডিয়াম করে ঢাকনাসহ ২০ মিনিট রান্না করুন। চুলা থেকে নামিয়ে সিরার ভেতর ৮-১০ ঘণ্টা রেখে দিন। তারপর পরিবেশন করুন। তৈরি হয়ে গেল রসগোল্লা।

শুঁটকি ভর্তা 
উপকরণ: টেংরা, পুঁটি, ছোট মাছের শুঁটকি ১ কাপ, পেঁয়াজ টুকরো করে কাটা ২টি, রসুনের কোয়া 
৬/৭টি, কাঁচামরিচ ৭/৮টি, লবণ স্বাদমতো, সরিষার তেল ১ চা চামচ।
প্রস্তুত প্রণালি: প্রথমে ফ্রাই প্যানে তেল দিয়ে রসুন, পেঁয়াজ একটু ভেজে নিন। এবার কাঁচামরিচ দিয়ে ভেজে উঠিয়ে নিন। ওই প্যানে শুঁটকি ভেজে নিন। লবণ দিয়ে পাটায় বেটে অথবা ব্ল্যান্ডারে অল্প সময় ব্ল্যান্ড করে নিন। তৈরি হয়ে গেল শুঁটকি ভর্তা। ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন মজাদার ঝাল ঝাল শুঁটকি ভর্তা।

নারকেলের নাড়ু
উপকরণ: নারিকেল ২টা, গুড় বা চিনি ১ কাপ, এলাচ ও দারচিনি ২/৩ পিস করে, গুঁড়া দুধ ২ টেবিল চামচ, মুড়ি বা চাল ভাজা গুঁড়া আধা কাপ, ঘি ২ টেবিল চামচ। 
প্রস্তুত প্রণালি: প্রথমে নারকেল কুরিয়ে নিতে হবে। কোরানো নারকেল, গুড়, চিনি, এলাচ ও দারচিনি একসঙ্গে মাখিয়ে ঘণ্টাখানেক রেখে দিন। পরে চুলায় হাঁড়ি বসিয়ে নারকেলের মিশ্রণ দিয়ে নাড়াচাড়া করে এমন অবস্থায় নামাতে হবে যেন নারকেল ও গুড় বা চিনি আঠালো হয়ে আসে। পরে গুঁড়া দুধ ও মুড়ি বা চাল ভাজা গুঁড়ো দিয়ে আবারও নেড়ে নামিয়ে নিন। হাতে ঘি মাখিয়ে গরম গরম গোল করে নাড়ু বানিয়ে মুড়ির গুঁড়োয় গড়িয়ে মাখিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল নারকেলের নাড়ু। 

শজিনা ডাঁটায় মসুর ডাল 
উপকরণ: শজিনা ডাঁটা ১ আঁটি, মসুর ডাল ১ কাপ, পেঁয়াজ কুচি ২টি, রসুন কুচি ১ টেবিলে চামচ, কাঁচামরিচ ৪/৫ টি, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ, জিরা গুঁড়া আধা চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল ৩ টেবিল চামচ।
প্রস্তুত প্রণালি: শজিনা ডাঁটা টুকরো করে কেটে ধুয়ে নিন। মসুর ডাল ধুয়ে নিন। এবার চুলায় হাঁড়ি বসিয়ে তেল দিন, গরম হলে পেঁয়াজ ও রসুন কুচি দিয়ে নেড়েচেড়ে বাদামি রং হলে শজিনা দিয়ে মসুর ডালসহ একে একে বাকি উপকরণ দিয়ে কষিয়ে নিন। পরিমাণমতো পানি দিন, শজিনা ডাঁটা ও ডাল সেদ্ধ হয়ে মাখা মাখা হলে নামিয়ে নিন। গরম ভাতের সঙ্গে খেতে মজা শজিনা ডাঁটার মসুর ডাল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈশাখে ভাজতে পারেন পাটপাতার বড়া, দেখুন রেসিপি
  • গাজা মানুষ ‘হত্যার ক্ষেত্র’, বললেন গুতেরেস, অবরুদ্ধ অবস্থা কাটাতে বিশ্বকে কাজ করার আহ্বান ৬ সংস্থার
  • বৈশাখের কয়েক পদ