সাত কলেজ: জনতুষ্টি নয়, বাস্তবসম্মত সমাধান
Published: 2nd, February 2025 GMT
বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা এক দীর্ঘমেয়াদি সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সাতটি সরকারি কলেজ নিয়ে চলমান অস্থিরতা এ সংকটের অন্যতম প্রতিফলন। সাতটি কলেজকে ঢাবির অধিভুক্ত করার সিদ্ধান্ত প্রথম থেকেই বিতর্কিত ছিল। এ কলেজগুলো আগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকলেও ২০১৭ সালে এক নীতিগত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে হঠাৎ ঢাবির অধীনে আনা হয়। কিন্তু কোনো সুস্পষ্ট প্রশাসনিক বা একাডেমিক পরিকল্পনা ছাড়াই নেওয়া এ সিদ্ধান্ত খুব দ্রুত সমস্যা তৈরি করে। সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বহন করলেও তারা ঢাবির মূলধারার শিক্ষার্থীদের মতো কোনো সুযোগ-সুবিধা পাননি এবং সমাজেও তাদের মর্যাদায় কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন আসেনি। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বঞ্চনাবোধ ও পরিচয় সংকট তৈরি হয়েছে, যা একাডেমিক
সমস্যার পাশাপাশি তাদের মানসিক ভঙ্গুরতারও কারণ।
সাত কলেজ নিয়ে সমস্যার সমাধানে অনেকে কলেজগুলোকে পৃথক বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করার প্রস্তাব দিয়েছেন। আবার কেউ বলছেন, একটি ফেডারেটিভ বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা যেতে পারে, যা ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের মডেলের অনুরূপ হবে। কিন্তু এসব প্রস্তাব বাস্তবতা বিবর্জিত। কারণ এগুলো উচ্চশিক্ষার কাঠামোগত দুর্বলতাগুলো উপেক্ষা করে কেবল একটি কাগুজে সমাধান হাজির করছে।
বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার সবচেয়ে বড় সংকট শিক্ষার মানের অভাব। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবকাঠামো, গবেষণা সুবিধা, দক্ষ শিক্ষক ও কার্যকর প্রশাসনিক কাঠামোর অভাবই এই সমস্যার মূল কারণ। ঢাবিসহ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পিছিয়ে আছে। এ পরিস্থিতিতে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করলে শিক্ষার মানোন্নয়ন না হয়ে বরং আরও অবনতি ঘটবে।
নতুন বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি স্বয়ংক্রিয়ভাবে শিক্ষার মান বাড়িয়ে তুলবে না। বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য দক্ষ প্রশাসন, গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত তহবিল, সর্বোপরি মানসম্পন্ন অভিজ্ঞ শিক্ষক প্রয়োজন, যা বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় চরমভাবে অনুপস্থিত। সাতটি পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় গঠন করলে সাতটি নতুন প্রশাসনিক কাঠামো, নতুন শিক্ষক ও কর্মকর্তার নিয়োগ এবং নতুন অবকাঠামো গড়ে তুলতে হবে, যা বর্তমান শিক্ষা বাজেটের সীমাবদ্ধতা ও মানসম্পন্ন অভিজ্ঞ শিক্ষকের অপ্রতুলতার কারণে প্রায় অসম্ভব।
এ ছাড়া এটি এক বিপজ্জনক সংক্রামক ‘ডমিনো প্রভাব’-এর দৃষ্টান্ত তৈরি করবে। যদি সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়, তাহলে দেশের অন্যান্য বৃহৎ ও ঐতিহ্যবাহী কলেজের শিক্ষার্থীরাও একই দাবিতে আন্দোলনে নামবে। ফলে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা কাঠামো আরও ভেঙে পড়বে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে শিক্ষার মান আরও নিম্নমুখী হবে।
অনেকে মনে করেন, ফেডারেটিভ বিশ্ববিদ্যালয় মডেল এ সমস্যার সমাধান হতে পারে। বাস্তবে এটি আরও জটিলতা তৈরি করবে। অক্সফোর্ড, কেমব্রিজ বা ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের মতো প্রতিষ্ঠান শত শত বছরের স্বশাসন, বিকেন্দ্রীকরণ ও আর্থিক স্বনির্ভরতার ওপর দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু বাংলাদেশের বাস্তবতায় স্বায়ত্তশাসিত একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাঠামোর অভাব, সরকারি তহবিলের ওপর নির্ভরতা এবং দুর্বল প্রশাসনিক দক্ষতা থাকায়, এমন একটি মডেল কার্যকর করা প্রায় অসম্ভব ও স্বপ্নবিলাস।
কলেজগুলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই বর্তমান শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের চাহিদার ভিত্তিতে নেওয়া উচিত নয়। কারণ, তারা এই কাঠামোর স্বল্পমেয়াদি সুবিধাভোগী হলেও দীর্ঘমেয়াদি রূপান্তরের ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা সীমিত। শিক্ষার্থীরা কয়েক বছরের মধ্যে ডিগ্রি সম্পন্ন করে বেরিয়ে যাবে। অনেক শিক্ষক বিসিএস প্রশাসনিক কাঠামোর অংশ হওয়ায় একাডেমিক গবেষণা ও শিক্ষা উন্নয়নের পরিবর্তে চাকরির নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক সুবিধার দিকেই বেশি গুরুত্ব দেন। শিক্ষার্থীদের দৃষ্টিকোণ মূলত তাৎক্ষণিক সমস্যাগুলোর সমাধানে সীমাবদ্ধ। কিন্তু উচ্চশিক্ষার কাঠামোগত পরিবর্তন কেবল তাৎক্ষণিক স্বার্থের ভিত্তিতে নির্ধারিত হওয়া উচিত নয়।
জেলায়-জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের মতো জনতুষ্টিমূলক, অদূরদর্শী ও আবেগপ্রসূত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কারণে জাতিকে অপরিসীম মূল্য দিতে হচ্ছে। সুতরাং এ ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত কেবল বর্তমান শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের দাবির ভিত্তিতে হওয়া উচিত নয়। বরং এটি নির্ধারিত হওয়া উচিত শিক্ষানীতি নির্ধারক, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, অভিজ্ঞ শিক্ষাবিদ এবং অর্থনৈতিক পরিকল্পনাবিদদের দ্বারা।
নতুন বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করার পরিবর্তে সাত কলেজকে ফের উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ফিরিয়ে আনা উচিত। বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার অন্যতম বড় সমস্যা হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার আগেই শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় একাডেমিক দক্ষতা অর্জন করতে পারে না। বিশ্লেষণধর্মী চিন্তা ও একাডেমিক লেখার দক্ষতার অভাব দেশের বিদ্যমান উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে অন্যতম প্রধান বাধা।
অন্যান্য পুরোনো বিভাগীয় কলেজের মতো সাত কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার সুনাম আমাদের সবার জানা। কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এনে যখন এসব কলেজে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম সংযোজন করা হয়, তখন থেকেই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের মানের ওপর চরম নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করে। কারণ এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমেই এসব কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের প্রতি এক ধরনের বৈষম্যের বীজ বোনা হয়। অতএব সাত কলেজকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ফিরিয়ে আনলে একটি সুসংগঠিত শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে উঠবে, যেখানে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের আগেই প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করতে পারবে। তবে এই পরিবর্তন হঠাৎ চাপিয়ে দেওয়া যাবে না।
বর্তমানে সাত কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ও নিরবচ্ছিন্নভাবে তাদের ডিগ্রি সম্পন্ন করার যে অঙ্গীকার ঢাবি করেছে, এর যথাযথ বাস্তবায়ন জরুরি যাতে তারা কোনো অনিশ্চয়তার শিকার না হয়। তবে ভবিষ্যতে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর কাঠামোগত পরিবর্তনের জন্য ধাপে ধাপে নতুন ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হবে, যাতে পরিবর্তনটি ক্রমশ বাস্তবায়িত হয় এবং শিক্ষার্থীরা আকস্মিক সিদ্ধান্তের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
এ ধরনের পরিবর্তন কার্যকর করতে হলে শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদেরও পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে এবং নতুন ব্যবস্থার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সুযোগ প্রদান করতে হবে। উচ্চ মাধ্যমিকসহ মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাদান পদ্ধতিতে দক্ষতা অর্জনের জন্য কলেজের শিক্ষকদের পাশাপাশি স্কুল শিক্ষকদেরও পুনঃপ্রশিক্ষণ দেওয়া হলে শিক্ষার মান আরও উন্নত হবে। এটি শিক্ষকদের জন্য যেমন পেশাগত মানোন্নয়নের সুযোগ তৈরি করবে, তেমনি নিশ্চিত করবে শিক্ষার্থীদের জন্যও উচ্চমানের শিক্ষা।
সাত কলেজ নিয়ে সংকট শুধু সাত কলেজের নয়। এটি বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার সামগ্রিক ব্যর্থতার প্রতিফলন। দেশে প্রায় প্রতিটি জেলায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রবণতা ইতোমধ্যে শিক্ষার গুণ-মানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বৃদ্ধির চেয়ে শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার দীর্ঘমেয়াদি উন্নতির জন্য প্রয়োজন বাস্তবসম্মত ও সুসংগঠিত পরিকল্পনা। সাময়িক জনতুষ্টিমূলক সমাধানের পথে না গিয়ে মূল সমস্যাগুলো চিহ্নিত এবং সে অনুযায়ী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করাই হবে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য টেকসই সমাধান। শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি, প্রশাসনিক দক্ষতার উন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীদের একাডেমিক সাফল্য নিশ্চিত করাই হবে সবচেয়ে কার্যকর পথ।
যদি উচ্চশিক্ষার কাঠামোগত সমস্যাগুলো নিরসন করা না হয়, তাহলে এই সংকট বারবার ফিরে আসবে, যা শুধু শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নয়, বরং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্থিতিশীলতা এবং দেশের সামগ্রিক উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থাকেও আরও অনিশ্চিত করে তুলবে। এ কারণে এখনই সংকটের মূল কারণ চিহ্নিত করে দীর্ঘমেয়াদি ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি, যাতে উচ্চশিক্ষার উন্নয়ন কেবল সংখ্যা বৃদ্ধির মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে প্রকৃত মানোন্নয়নের দিকে অগ্রসর হয়।
ড.
huda@du.ac.bd
ড. সাজ্জাদ সিদ্দিকী: সহযোগী অধ্যাপক, শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
sazzadhsiddiqui@du.ac.bd
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ত কল জ র ক ঠ ম গত ম ন ন নয়ন ক র যকর প শ ক ষকদ র ব যবস থ র স ত কল জ এক ড ম ক সমস য র র জন য কল জ র র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
গাজার জন্য ‘বাস্তবসম্মত’ আরব পরিকল্পনায় সমর্থন ৪ ইউরোপীয় দেশের
ইউরোপের প্রধান দেশগুলো বলেছে, তারা ফিলিস্তিনের গাজা পুনর্গঠনে আরব-সমর্থিত পরিকল্পনাকে সমর্থন করে।
আরব-সমর্থিত পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত না করেই পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে।
গাজা পুনর্গঠনে মিসরের পরিকল্পনাটি আরব নেতারা অনুমোদন করেছেন। কায়রোতে গত মঙ্গলবার আরব লিগের সম্মেলনে মিসরের প্রস্তাবটি অনুমোদন করা হয়। এর তিন দিন পর গতকাল শনিবার জেদ্দায় ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) বৈঠকে প্রস্তাবটি আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করা হয়।
আরও পড়ুনআরব নেতাদের গাজা পুনর্গঠন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল০৫ মার্চ ২০২৫কিন্তু আরব-সমর্থিত পরিকল্পনাটি ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাখ্যান করেছে। যুদ্ধ-পরবর্তী গাজায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গাজা জোর করে খালি করার পরিকল্পনা রয়েছে ট্রাম্পের।
ট্রাম্পের প্রস্তাবে গাজাবাসীকে জর্ডান ও মিসরে সরিয়ে দিতে বলা হয়েছে। গাজাকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরা’য় (ভূমধ্যসাগরীয় উপকূল বরাবর একটি রিসোর্ট এলাকা) পরিণত করার বিষয়ে ট্রাম্প তাঁর নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেছেন। ট্রাম্পের পরিকল্পনা ফিলিস্তিনিদের পাশাপাশি আরব নেতারা নাকচ করেছেন।
আরও পড়ুনগাজা পুনর্গঠনে বিকল্প প্রস্তাবে সমর্থন ওআইসির ১৪ ঘণ্টা আগেগাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে আরব-সমর্থিত পরিকল্পনাটি ট্রাম্পের ধারণার একটি বিকল্প। গতকাল শনিবার ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আরব-সমর্থিত পরিকল্পনাটিকে ‘বাস্তবসম্মত’ বলে স্বাগত জানিয়েছেন। এই পরিকল্পনায় পাঁচ বছরের মধ্যে গাজা পুনর্গঠনের কথা বলা আছে।
এক বিবৃতিতে ইউরোপের এই দেশগুলো পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলেছেন, আরব-সমর্থিত প্রস্তাবটিতে গাজার বিপর্যয়কর জীবনযাত্রার দ্রুত ও টেকসই উন্নতির প্রতিশ্রুতি আছে।
আরও পড়ুনগাজা পরিস্থিতি নিয়ে ট্রাম্পের প্রস্তাবের বিকল্প প্রস্তুত০৪ মার্চ ২০২৫আরও পড়ুনগাজা নিয়ে বিকল্প প্রস্তাব গ্রহণ করল আরব দেশগুলো০৪ মার্চ ২০২৫