ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করাকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও বংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কেউ আহত হননি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।

রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে ঘটনাটি ঘটে। ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শফিকুল ইসলাম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

ওসি শফিকুল ইসলাম খান বলেন, “আজ সকাল থেকেই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম চলছিল। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির কর্মীদের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। পরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় বহিরাগতরাও কলেজ ক্যাম্পাসে ছুটে আসেন। পরে পুলিশ ও কলেজ কর্তৃপক্ষের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।” 

আরো পড়ুন:

গাইবান্ধার ২ আ.

লীগ নেতা কারাগারে 

টুঙ্গিপাড়ায় পু‌লিশের সঙ্গে আ.লীগের সংঘর্ষ, আহত ৮

ময়মনসিংহ মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি শরিফুল ইসলাম খালিদ বলেন, “ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ঘটনার সঙ্গে ছাত্রশিবিরের কোনো কর্মী জড়িত না। ছাত্রদলের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদের হাতাহাতি হয়েছে।”

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাজমুল হাসান খান বলেন, “এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থীদের ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই দল শিক্ষার্থীর মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।”

ঢাকা/মিলন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল হ ম ড ক ল কল জ পর স থ ত ছ ত রদল র ঘটন ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্যানেল মেয়র ডন আবারও গ্রেপ্তার

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের সাবেক ১নং প্যানেল মেয়র ও ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আসিফ হোসেন ডনকে আবারও গ্রেপ্তার করেছে ময়মনসিংহ গোয়েন্দা পুলিশ।

রোববার দুপুরে নগরীর পাটগুদাম এলাকায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসিফ হোসেন ডন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রেদোয়ান আহমেদ সাগরকে হত্যা ও বিএনপির দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর মামলার আসামি। গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। পরে তার অবস্থান জানতে পেরে গত ২৫ অক্টোবর রাতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উত্তরার আজমপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ডনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর গত ২৫ ডিসেম্বর আদালত তাকে জামিন দিলে তিনি আবারও পালিয়ে যান।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ডনের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে রোববার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাটগুদাম এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নেত্রকোনায় মাকে ছেলের মারধর, শাসন করতে গিয়ে মামা খুন
  • লিফলেট বিতরণ করায় আ.লীগ নেতাকে বেঁধে পুলিশে সোপর্দ
  • ‘জেরিনের বড় ভাই দায়ী’ পোস্ট দিয়ে বাঙলা কলেজছাত্রের আত্মহত্যা
  • আরও ৯০ থানা-উপজেলায় জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি কমিটি
  • বিএনপির কমিটি ঘোষণার পর দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, সাংবাদিকসহ আহত ৫
  • শিবির-ছাত্রদলের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  • বিয়ে করতে চাপ দেওয়ায় খুন
  • মসিকের সাবেক প্যানেল মেয়র ডন গ্রেপ্তার
  • পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্যানেল মেয়র ডন আবারও গ্রেপ্তার