বেরোবিতে দিনাজপুর জেলা সমিতির নবীন বরণ
Published: 2nd, February 2025 GMT
রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) নবাগত শিক্ষার্থীেদের বরণ করে নিয়েছে দিনাজপুর জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতি।
শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটোরিয়ার দ্বিতীয় তলায় এই নবীন বরণ ও কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক সোহাগ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আগামী নির্বাচনে দিনাজপুর-৪ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী কর্নেল (অব.
প্রধান অতিথি নবাগত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে তাদেরকে পড়াশোনায় আরও মনোযোগী হতে পরামর্শ দেন। পড়াশোনার পাশাপাশি তাদেরকে ডিবেটিং, ক্লাব সাইন্স ক্লাব, শরীরচর্চা ও খেলাধুলার মাধ্যমে নিজেদের প্রতিভা বিকাশের আহ্বান জানান।
দিনাজপুর জেলা সমিতির সভাপতি বলেন, ‘আমাদের দিনাজপুর জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতি দিনাজপুরের শিক্ষার্থীদের যে কোনো সহায়তামূলক সাহায্য সহযোগিতা, অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের সহায়তা, বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক সেমিনার প্রদানের মাধ্যমে তাদের মধ্যে একটা ভালো বন্ডিং তেরি করা, সবার সঙ্গে একটা ভালো সম্পর্ক তৈরি করা ও জেলার বিভিন্ন ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরা ইত্যাদির কাজ করছে এবং আগামীতেও করবে।’
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মহাকাশে অবস্থান পরিবর্তন করছে বিরল এক কৃষ্ণগহ্বর
সম্প্রতি একটি অতিকায় গতিশীল কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ধারণা করা হচ্ছে, কৃষ্ণগহ্বরটি দুটি কৃষ্ণগহ্বরের সংযুক্তির কারণে দ্রুতগতিতে ছুটে চলছে। বিরল এই কৃষ্ণগহ্বরের রহস্য উন্মোচনের জন্য কাজ শুরু শুরু করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, কৃষ্ণগহ্বরটি তার ছায়াপথ ৩সি ১৮৬ থেকে প্রতি সেকেন্ডে এক হাজার কিলোমিটারের বেশি গতিতে ছুটে যাচ্ছে। হাবল স্পেস টেলিস্কোপ ব্যবহার করে দেখা গেছে, ছায়াপথের নক্ষত্রের অবস্থান বিশ্লেষণের সময় গতিশীল কৃষ্ণগহ্বরটি গ্যালাকটিক কেন্দ্র থেকে প্রায় ৩৩ হাজার আলোকবর্ষ দূরে ছিল; কিন্তু বর্তমানে কৃষ্ণগহ্বরটি তার আগের অবস্থানে নেই। কৃষ্ণগহ্বরটির এই অবস্থান পরিবর্তন কোনো বড় ঘটনার ইঙ্গিত দিচ্ছি। বিজ্ঞানীদের ধারণা, সম্ভবত কোনো গ্যালাকটিক সংঘর্ষ বা সংযুক্তির কারণে এমনটা ঘটছে।
আরও পড়ুনকৃষ্ণগহ্বর থেকে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে শক্তিশালী রশ্মি২০ জানুয়ারি ২০২৫গভীর অনুসন্ধানের জন্য বিজ্ঞানীরা কৃষ্ণগহ্বরের নির্গত আলো বিশ্লেষণ করতে চিলির টেলিস্কোপ ও হাওয়াইয়ের সুবারু টেলিস্কোপ ব্যবহার করেছেন। দেখা গেছে, কৃষ্ণগহ্বরের অ্যাক্রিশন ডিস্ক থেকে নীল আলো আশপাশে ছড়িয়ে পড়ছে। যার অর্থ কৃষ্ণগহ্বরটি দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। ইতিমধ্যে কৃষ্ণগহ্বরের চারপাশে গ্যাস অনেক দুর্বল নীল আলো প্রদর্শন করছে, যার কারণে বোঝা যাচ্ছে কৃষ্ণগহ্বরটি তার অন্যান্য ছায়াপথের তুলনায় বেশি গতিতে ছুটছে।
আরও পড়ুনআকারে বড় কৃষ্ণগহ্বর বিজ্ঞানীদের নজর এড়িয়ে যায় কেন১৫ জানুয়ারি ২০২৫বিজ্ঞানীরা জানান, দুটি ছায়াপথের সংঘর্ষের ফলে তৈরি হয়েছে কৃষ্ণগহ্বরটি। এর ফলে সেখানে থাকা কেন্দ্রীয় কৃষ্ণগহ্বর একটি বৃহত্তর ছায়াপথে মিশে গেছে। এই সংমিশ্রণের ফলে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ তৈরি হয়েছে, যা বাইরের দিকে বিকিরণ শুরু করেছে। বিরল ধরনের এই অতিকায় কৃষ্ণগহ্বরের বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা চলছে।
সূত্র: এনডিটিভি