গণহত্যায় আহতদের চিকিৎসায় অবহেলা হয়নি: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
Published: 2nd, February 2025 GMT
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, ‘‘এ সরকার একটি চ্যালেঞ্জের মধ্যে দায়িত্ব নিয়েছে। ভঙ্গুর অর্থনৈতিক অবস্থার মধ্যে কাজ শুরু করতে হয়েছে। তারপরও জুলাই গণহত্যায় নিহত এবং আহতদের চিকিৎসায় অবহেলা করা হয়নি। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’’
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘‘আহতদের বিদেশে চিকিৎসার জন্য এখন পর্যন্ত ১৬ কোটি টাকা খরচ হয়েছে, এই খরচ শুধুমাত্র ১৫ জনের জন্য। বিদেশে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৩০ জন। চিকিৎসার জন্য এখন পর্যন্ত পাঠানো হয়েছে ২০ কোটি টাকা। আরও কত টাকা লাগতে পারে সে হিসেব হয়নি। একজনের জন্য ৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা এবং আরেকজনের জন্য ৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।’’
এ সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী প্রফেসর সায়েদুর রহমান বলেন, ‘‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতরা যে কারণে মনঃকষ্ট নিয়ে আন্দোলন করছে তাদের সেসব দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হবে। কোনোভাবেই সরকার তাদের দাবি দাওয়াকে অবহেলা করছে না। তাদের দাবি অনুযায়ী ক্যাটাগরি অনুযায়ী আহতদের চিকিৎসা, পুনর্বাসন এবং আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। সেজন্য নতুন করে তালিকা তৈরি করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।’’
তিনি বলেন, ‘‘এখন পর্যন্ত কোনো আহতদের চিকিৎসার জন্য সরকারি খরচের বাইরে নিজেদের ব্যয় হয়নি। যদি কারো নিজস্ব অর্থ ব্যয় হয় সেটাও সরকারকে জানাতে পারেন।’’
ঢাকা/আসাদ/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদ লেজিসলেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের
ফিলিস্তিনের গাজা-রাফাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ইসরায়েলের নৃশংস হত্যাযজ্ঞ, বোমাবর্ষণ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ লেজিসলেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।
আজ এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়।
বাংলাদেশ লেজিসলেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এস. এম. শাফায়েত হোসেন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত দেড় বছর ধরে চলমান এই সামরিক আগ্রাসনে প্রায় এক লাখ নিরীহ ফিলিস্তিনি নারী, শিশু, বৃদ্ধ, সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মীসহ সকল পেশা ও শ্রেণির অগণিত মানুষ শহীদ হয়েছেন। ফিলিস্তিনের গাজা, রাফাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার প্রায় সব বাড়িঘর বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ধ্বংস হয়ে গেছে, ফলে কয়েক লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। মানব সভ্যতার ইতিহাসে এ এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। পরিতাপের বিষয় এই যে, মানবাধিকার, যুদ্ধ বিধি ও আন্তর্জাতিক আইনের সকল নীতিকে পদদলিত করে ইসরাইল ও তার মিত্ররা এই গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে, অথচ বিশ্ব সম্প্রদায় নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ লেজিসলেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন গভীর শোক ও দুঃখ ভারাক্রান্ত হয়ে ফিলিস্তিনের শহীদদের স্মরণ করছে এবং তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে। যারা আহত বা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন, তাদের জন্য মানবিক সহায়তা নিশ্চিতকরণসহ এই মানবসৃষ্ট সংকটের দ্রুত অবসান ঘটাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ দাবি করছে।
এছাড়াও ফিলিস্তিনিদের আদি নিবাস রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখার জন্য বিশ্বের সকল দেশ, জাতিসংঘ, ওআইসি, আরব লীগসহ অন্যান্য সকল মানবাধিকার সংগঠনের প্রতি জোরালো আবেদন জানানো হয় ।
দখলদার ইসরাইলিদের অব্যাহত গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের সাথে অ্যাসোসিয়েশন একাত্মতা প্রকাশ করছে। সেই সাথে অবিলম্বে এই হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করে নৃশংসতার জন্য দায়ী যুদ্ধাপরাধীদের আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কার্যকরী ভূমিকা রাখার জন্য বিশ্ব নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানায় বাংলাদেশ লেজিসলেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।