বন্দরে কাঁচামাল ব্যবসায়ী শুক্কুর আলীর বাড়িতে মাদক সন্ত্রাসী দুলাল, রানা, দিপু, নান্টু ও মাইচ্ছা স্বপন বাহিনী হামলা,ভাংচুর,তান্ডব ও লুটপাটের ঘটনায় এখনো মামলা নেয়নি পুলিশ। রোববার লৌমহর্ষক এ ঘটনার ৩দিন অতিবাহিত হলেও রহস্যজনক কারণে পুলিশ নিরীহ শুক্কুর দম্পতির মামলা গ্রহণে অনীহা প্রকাশ করছে। 

এদিকে ৩দিনেও মামলা না নেয়ায় সন্ত্রাসীরা দীঘলদী এলাকায় প্রতিনিয়তই অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছে। এ কারণে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ভয়ে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এ ব্যাপারে শুক্কুর আলীর স্ত্রী সালমা বেগম জানান,দেশে এখন কোন রাজনৈতিক সরকার নেই অথচ তারপরও আমরা আইনের সহযোগিতা পাচ্ছি না। 

সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়ি-ঘরে হামলা-ভাংচুর লুটপাট চালিয়ে গেল অথচ প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালণ করছে। প্রশাসনের গুরুত্ব না থাকায় সন্ত্রাসীরা আমাকে এবং আমার স্বামীকে হত্যার উদ্দেশ্যে অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিষয়টি প্রশাসনের উচ্চ মহলসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া উচিত। নইলে এই পরিস্থিতিতে আমরা কোথায় যাবো। 

ঘটনার বর্ননা দিয়ে তিনি বলেন, বাসার গেইটের দরজা দিয়ে খেয়াল করে দেখি বিবাদীগন প্রত্যেকে ধারালো অস্ত্র-শস্ত্র সজ্জিত হইয়া বাসার বাহিরে অবস্থান নিয়ে আছে। আমি হামলাকারীদের দেখে ভয় পেয়ে আমার স্বামী মোঃ শুকুর আলীকে বাসার পিছন দিয়ে দেয়াল টপকিয়ে যেতে বলি। 

বাসা থেকে অন্যত্র সরে যাওয়ার সময় হামলাকারীরা আমার স্বামীকে ধাওয়া করে ধরে ফেলে এবং দুলালের নেতৃতে অন্যান্য অস্ত্রধারীরা আমার স্বামী মোঃ শুকুর আলীকে হত্যা করার জন্য এবং তাদের সাথে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। 

তখন আমার স্বামী এবং আমার ডাক চিৎকারে পুরো এলাকাবাসী জড়ো হয়ে আমাদের বাড়ীর পিছনে থেকে আমার স্বামীকে হামলাকারীদের নিকট হইতে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে এলাকাবাসীর তোপের মুখে আমাদেরকে প্রান নাশের হুমকি প্রদান করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। 

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শুকুর আলীর স্ত্রী সালমা আরও জানান হামলাকারীরা যাওয়ার সময় ৫ ভরি সোনা,৩০ ভরি রূপা,নগদ ৮০ হাজার টাকা, ৪টা সিসি ক্যামেরা,৪০ ইঞ্চি টিভি, বৈদ্যুতিক চুলা,গ্যাসের চুলা,ওভেন,১০টা মুরগীসহ দামী জামাকাপড় নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে সালমা (৪০) বাদী হয়ে বন্দর থানায় গত শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) অভিযোগ দায়ের করলেও আসামীদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ বা মামলাও নিচ্ছে না। 

ভুক্তভোগী সালমা গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে প্রশাসনের নিকট সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক সঠিক বিচার দাবি করেন।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব যবস য় ন র য়ণগঞ জ ক র আল

এছাড়াও পড়ুন:

নিজেদের দোষে নারীরা কুপ্রস্তাব পান: মমতা শঙ্কর

পশ্চিমবঙ্গের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী মমতা শঙ্কর। সাম্প্রতিক সময়ে তার এক মন্তব্যকে ঘিরে স্যোশাল মিডিয়ায় তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। নারী দিবসের আগে দেওেয়া অভিনেত্রীর এ বক্তব্য নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়া ও সমালোচনা করছেন নেটিজেনরা। এর আগে নায়িকাদের শাড়ি পরার ধরন নিয়ে মন্তব্য করে সমালোচনা মুখ পড়েছিলেন তিনি। এছাড়া প্রকাশ্যে চুম্বন নিয়ে মন্তব্য করেও পড়েছিলেন বিতর্কে। এবার নতুন এক বিতর্কে নাম জুড়ালেন মমতা।

 কুপ্রস্তাব পাওয়ার ক্ষেত্রে নারীদেরকেই দায়ী করে দেওয়া মমতার বক্তব্যে সমালোচনা তৈরি হয়েছে। নারী দিবসের আগে তার এমন বক্তব্য নিয়ে বিরুপ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন অনুরাগীরাও। 

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, সম্প্রতি মমতা দাবি করেন যে নারীরা কুপ্রস্তাব পাওয়ার জন্য নিজেরাই দায়ী। অভিনেত্রীর মতে, নারীরা যদি নিজেদের ব্যক্তিত্ব দৃঢ়ভাবে প্রকাশ করতে পারেন, তবে এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়তে হবে না। মমতা শঙ্কর বলেন, ‘আত্মসম্মান, আত্ম মর্যাদা নিজেকে ধরে রাখতে হবে। অনেকে আমায় অনেক মানুষের সঙ্গে কথা বলতে দেখার পর এসে বলেছেন উনি তোমার সঙ্গে কথা বলছিলেন, খারাপ লোক কিন্তু উনি, সাংঘাতিক। সাবধানে থেকো। আমি পাল্টা জবাবে বলেছি যে আমার তো তাঁকে ভালোই, সজ্জন বলে মনে হল।

রাত জেগে, গভীর রাত পর্যন্ত কত শ্যুটিং করেছি, কত মানুষের সঙ্গে বসে আড্ডা দিয়েছি। গান গেয়েছি। কেউ কখনও খারাপ প্রস্তাব দেওয়ার কথা ভাবতে পারেননি।’

এদিকে অভিনেত্রীর সাম্প্রতিক মন্তব্যের পর অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী সামাজিক মাধ্যমে একটি ব্যঙ্গাত্মক পোস্ট দেন। তিনি নাম উল্লেখ না করেই লেখেন, উনি শঙ্কর প্রজাতির শিল্পী, সঙ্গে জুড়ে দেন একটি ভাবুক ইমোজি। নেটিজেনদের বুঝতে দেরি হয়নি যে অভিনেতা কাকে ইঙ্গিত করেছেন। অনেক ভক্ত-অনুরাগীকেই তার মন্তব্যের সঙ্গে একমত প্রকাশ করে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া জানাতে দেখা গেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ