নারায়ণগঞ্জে নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে সেমিনার
Published: 2nd, February 2025 GMT
৮ম জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে 'খাদ্য হোক নিরাপদ, সুস্থ থাকুক জনগণ' এই প্রতিপাদ্য নিয়ে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সুরাইয়া সাইদুন নাহারের সভাপতিত্বে এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা পুলিশ প্রশাসন, বিভিন্ন সরকারি অধিদপ্তরের অফিস প্রধান, ক্যাব প্রতিনিধি এবং রেস্টুরেন্ট ও বেকারি দোকান মালিকরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, ভেজাল খাদ্য নিয়ন্ত্রণে দেশের জনগণ সকলেই যদি সচেতন না হয় কোন আইন করেও ভেজাল খাদ্য প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। বিভিন্ন খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে ভেজাল রোধে একাধিকবার জরিমানা গ্রেফতার করলেও তার কোন সুরাহা হয়নি, তার কারণ হচ্ছে সবার মধ্যে সচেতন হওয়াটা জরুরী। তাহলেই নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত হবে বলে জানান তিনি।
নারায়ণগঞ্জ জেলার নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, ২০১৩ সাল থেকে নিরাপদ খাদ্য আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০১৫ সালে নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষ প্রতিষ্ঠিত হয়। এবং জেলা পর্যায়ে ২০২০ সাল থেকে যাত্রা শুরু হয়।
বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপদে জনমান নির্ধারণ করা, নিরাপদ এবং মান নিশ্চিত করা, নিরাপদ খাদ্য স্থাপনা পরিদর্শন, মনিটরিং গাইড করা, মোবাইল কোড পরিচালনা করা, ও নিরাপদ খাদ্য বিক্রয় বন্ধ ও আই নানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
জনসচেতনতা বৃদ্ধি প্রশিক্ষণ প্রধান ও বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তর।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র পদ খ দ য
এছাড়াও পড়ুন:
হাবিপ্রবিতে ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
দিনব্যাপী বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকাল ৯টায় এ উপলক্ষে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. এনামউল্যা এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর কবিরসহ সিনিয়র শিক্ষকবৃন্দ।
পরে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের ফেস্টুন ও বেলুন এবং শান্তির প্রতীক পায়রা অবমুক্ত করে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি ক্যাম্পাস ও এর সামনের মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এসে শেষ হয়। সেখানে মহান শহীদগণের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়।
এছাড়া দিসবটি উপলক্ষে উপাচার্যের বাণী পাঠ ও বিতরণ, টিএসসির সামনে মজার ইস্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং কেক কাটা হয়।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে দিনাজপুর গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানের পাশে অবস্থিত হাজী মোহাম্মদ দানেশ এর কবর জিয়ারত ও তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। সেখান থেকে ফরিদপুর কবরস্থানে গিয়ে সাবেক মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী খুরশীদ জাহান হক এমপির কবর জিয়ারত ও তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।
পরে অডিটোরিয়াম-১ এ ২৪তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে ‘মেধাভিত্তিক ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে হাবিপ্রবির ভূমিকা ও ক্রমবিকাশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক মো. এনামউল্যা। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবির প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য অধ্যাপক মোশাররফ হোসাইন মিঞাঁ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও প্রক্টর ।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক মো. আবু হাসান এবং সাদা দলের সভাপতি অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান বাহাদুর।
অন্যদিকে, দিবসটি উপলক্ষে বাদ জোহর কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
ঢাকা/সংগ্রাম/মেহেদী