অমর একুশে বইমেলার দ্বিতীয় দিনে নতুন ১৩টি বই প্রকাশিত হয়েছে।

রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমির জনসংযোগ বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, রবিবার বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘হেলাল হাফিজের রাজনৈতিক পাঠ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. কুদরত-ই-হুদা। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মৃদুল মাহবুব। সভাপতিত্ব করেন সুমন রহমান।

আরো পড়ুন:

বইমেলায় ‘সেরা লেখক’ স্বীকৃতির আয়োজনের প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

সংস্কৃতি উপদেষ্টা
বই ছাপানোর আগে একাডেমি বা পুলিশকে পড়তে দেওয়া হাস্যকর

প্রাবন্ধিক বলেন, উনসত্তরের গর্ভ থেকে যেসব কবির জন্ম হয়েছিল, কবি হেলাল হাফিজ তাদের মধ্যে অন্যতম। তার কবিতার উচ্চারণ ছিল রাখঢাকহীন, স্পষ্ট, অনাবিল ও অভাবিত। কবিতা তার কাছে কেবল ব্যক্তিগত দীর্ঘশ্বাসের বিষয় ছিল না। তিনি মনে করতেন, সমষ্টির জন্যও কবিতার একটা দায় আছে। সত্তর থেকে চুয়াত্তরের মধ্যে যে রাজনৈতিক কবিতাগুলো তিনি লিখেছেন, সেগুলোর মূল সুর কখনো মুক্তিযুদ্ধ, কখনো স্বাধীনতাত্তোর রাজনৈতিক পরিস্থিতিজাত হতাশা, আশাবাদ, উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা। রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রের সাধারণ মানুষের অবস্থা ও অবস্থান, রাষ্ট্রের কাছে কবির প্রত্যাশা, দ্রোহ-এসবই তার কবিতায় কখনো প্রত্যক্ষভাবে, কখনো পরোক্ষভাবে উঠে এসেছে।

আলোচক বলেন, কবি হেলাল হাফিজের কবিতার কথা বললেই পাঠকের মানসপটে ভেসে ওঠে-‘এখন যৌবন যার, যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’ পংক্তিটি। বাংলা ভাষার যেসব কবি কবিতা, নিজস্ব জীবনদর্শন ও জীবনযাপন দিয়ে মিথ হয়ে উঠতে পেরেছেন, কবি হেলাল হাফিজ তাদের একজন। কবিতার ভেতর প্রেম, বিদ্রোহ ও রাজনৈতিক চেতনা কবিকে মানুষের অনুভূতির কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারে। হেলাল হাফিজ তার কবিতার মাধ্যমে মানুষের অনুভূতির সেই সুরটি স্পর্শ করতে পেরেছিলেন।

সভাপতির বক্তব্যে সুমন রহমান বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ঊনসত্তর ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি সময়। কবি হেলাল হাফিজ তার কবিতায় সেই সময়টিকে ধারণ করেছেন। পাশাপাশি, স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতায় উদ্ভূত দ্রোহ, সংগ্রাম, আশাবাদ, বিষাদ সবকিছুই তিনি কবিতায় তুলে এনেছেন।

লেখক বলছি মঞ্চে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কবি রাসেল রায়হান, কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন শফিক এবং শিশুসাহিত্যিক আশিক মুস্তাফা।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন কবি হাসান হাফিজ এবং জাকির আবু জাফর। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী অনন্যা লাবণী এবং শিপন হোসেন মানব।

সবশেষ সুমন মজুমদারের পরিচালনায় ছিল সাংস্কৃতিক সংগঠন সঙ্গীতমঞ্জুরী শিল্পীগোষ্ঠীর পরিবেশনা। এতে সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী রিজিয়া পারভীন, প্রিয়াংকা গোপ, ইসরাত জাহান, মিজান মাহমুদ রাজীব, মো.

মাইদুল হক এবং নাফিজা ইবনাত কবির।

ঢাকা/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ল এক ড ম বইম ল বই র র জন ত ক বইম ল

এছাড়াও পড়ুন:

আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে রূপগঞ্জে ছাত্রদলের মশাল মিছিল 

আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিচার ও আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধের দাবীতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে  উপজেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে  রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি পদ প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম বাবুর নেতৃত্বে উপজেলার গাউসিয়া এলাকার ঢাকা টু সিলেট মহা সড়কে এ মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিতি ছিলেন রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লা রহমান,সরকারি মুড়াপাড়া কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হৃদয় মিয়া, আহ্বায়ক সদস্য তারিকুল ইসলাম শান্ত,সদস্য আরিফুল, রূপগঞ্জ উপজেলা  ছাত্রদল নেতা রাসেল ফকির, গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা, ফারুক আশরাফুল, ফেরদৌস, সানি, কাউছার, নাইম, নাফিজ, সাইফুল, দিপু, সুজন, ভোলাব ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা আনাস, মিরাজ, ছাব্বির, মুড়াপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা ফয়সাল, নাছিম, রুবেল , ভূলতা ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা সোহান, দিপু,আল-আমিন, বাইজিদ,সোহান,আবু রজিন, রূপগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা, ইমরান, সাইফুল, অমিত, চনপাড়া  ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা হোসাইন ফরাজী,অমিত, রিফাত, হাসান প্রমুখ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ