ইসরায়েলের ‘ভাল বন্ধুর’ কাছে গেলেন নেতানিয়াহু
Published: 2nd, February 2025 GMT
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু রবিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতায় ফিরে আসার পর তিনিই হবেন প্রথম বিদেশী নেতা যিনি তার সঙ্গে দেখা করবেন।
গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে এবং লেবাননে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে একটি ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চলাকালীন তার এই সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বিমানে ওঠার আগে নেতানিয়াহু বলেন, তারা ‘হামাসের বিরুদ্ধে বিজয়, আমাদের সব জিম্মির মুক্তি এবং ইরানি সন্ত্রাসী অক্ষ মোকাবেলা’ নিয়ে আলোচনা করবেন।
প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন যে, “হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের এর চেয়ে ভাল বন্ধু আর কখনো ছিল না।” দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পরপরই ট্রাম্প ইসরায়েলে দুই হাজার পাউন্ড ওজনের বোমার চালানের অনুমোদন দেন। বাইডেন প্রশাসন এই চালান আটকে দিয়েছিল।
ইসরায়েল ছাড়ার আগে নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, তিনিই হবেন ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের পর প্রথম বিদেশী নেতা যিনি তার সাথে দেখা করবেন।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি মনে করি এটি ইসরায়েলি-আমেরিকান জোটের শক্তির প্রমাণ।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাঁশখালীর সংরক্ষিত বনে নির্মমভাবে বন্যহাতি হত্যা
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলে একটি হাতি নির্মম মৃত্যুর শিকার হয়েছে। হাতিটির বয়স আনুমানিক সাত বছর। এটির পিঠে গভীর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। হাতিটির দাঁত ও নখ কেটে নিয়ে গেছে কে বা কারা।
দাঁত কেটে নেওয়ার সময় ক্ষতবিক্ষত হাতিটির শুঁড়ও উপড়ে ফেলা হয়েছে। গতকাল বুধবার উপজেলার জলদী রেঞ্জের পাইরাং বিটের আওতাধীন মনুমার ঝিরি এলাকায় গহিন বনের ভেতর এমন প্রাণহীন হাতিটির সন্ধান মিলেছে। বন বিভাগের কর্মকর্তাদের ধারণা, ফাঁদ পেতে হাতিটিকে আটকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে মেরে ফেলা হয়েছে।
স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে বন বিভাগের কর্মীরা গিয়ে মৃত হাতিটিকে হেফাজতে নেয়। পরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (দক্ষিণ) আবদুল্লাহ আল মামুন হাতিটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন।
ময়নাতদন্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গভীরভাবে আঘাত করে হাতিটিকে মারা হয়েছে। ফাঁদ পেতে দুয়েক দিন আগেই হাতিটিকে আটকে মারা হয়েছে বলে আমাদের ধারণা। সম্ভবত হাতিটি দলছুট হয়ে গিয়েছিল। এ কারণে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কোনো একটি চক্র হাতিটিকে ফাঁদে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। এ ঘটনায় আদালতে মামলা করা হবে। হাতিটিকে বনের ভেতরেই মাটিচাপা দেওয়া হবে। ব
ন কর্মকর্তাদের ধারণা, দাঁত ও নখ পাচারের উদ্দেশ্যে হাতিটিকে মেরে ফেলা হয়েছে। এর সঙ্গে সংঘবদ্ধ পাচারকারী চক্র জড়িত। ঘটনাটির খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান কর্মকর্তারা।