প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও শিশুদের মাঝে হুইল চেয়ার ও শিক্ষা সহায়তা উপকরণ বিতরণ
Published: 2nd, February 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের আয়োজনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও শিশুদের মাঝে হুইল চেয়ার ও শিক্ষা সহায়তা উপকরণ বিতরণ কার হয়েছে।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইসলাম জাহিদুল মিঞা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ হুইল চেয়ার ও শিশুদের শিক্ষা সহায়তা উপকরণ বিতরণ করেন।
এ ষময় জেলা প্রশাসক বলেন, সূর্যের সৌন্দর্য হচ্ছে তাপে। সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ না থাকলে ফোটে উঠেনা। তেমনি মানুষির সৌন্দর্য তার মানবিকতায়। মানুষ সৃস্টির সেরা জীব সেটা প্রকাশ করার মাধ্যম হলো তার মানবিকতায়।
পরিবারের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন তাদের জন্য আমাদের এই ছোট্ট আয়োজন। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন সবাইকে নিয়ে কাজ করবো। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তি যারা আছেন তারা যোগ্য নাগরিক হিসাবে গড়ে উঠে নিজেকে সমাজে কাজে লাগাবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক সাকিব আল রাব্বির সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক মোঃ মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি মোহাম্মদ মাশফাক রহমান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনে আরা বেগম, সমাজসেবা উপ-পরিচালক মোঃ আসাদুজ্জামান, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিবন্ধী কর্মকর্তা মোঃ সোহাইল প্রমুখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ জ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ওসমান পরিবারের বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার দায় সরকার এড়াতে পারে না : রফিউর রাব্বি
সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক ও নিহত ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি বলেন, শেখ হাসিনা সাড়ে ১১ বছর ত্বকী হত্যার বিচারের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে রেখেছিলেন। বর্তমান সরকারে পুনরায় কাজ শুরু করলেও তাতে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয় নাই।
অন্যদিকে ঘাতক ওসমান পরিবারের সকলে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার দায় সরকারের বিভিন্ন সংস্থা, বাহিনী এড়াতে পারে না। আমরা আগামী ৩ মাসের মধ্যে ত্বকী হত্যার নির্দেশদাতা শামীম ওসমান সহ সকল ঘাতকদের অভিযোগপত্রের আওতায় এনে একটি নির্ভুল অভিযোগপত্র আদালতে পেশ করার দাবি জানাচ্ছি।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাতে নারায়ণগঞ্জ চাষাঢ়স্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা ও বিচারহীনতার ১৪৫ মাস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে আলোক প্রজ্বালন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
রফিউর রাব্বি বলেন, শেখ হাসিনা দেশে বিচার-ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে রেখে গেছে। তার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এখনো হয় নাই। শেখ হাসিনার সহযোগিতায় ওসমান পরিবার নারায়ণগঞ্জে মাফিয়াতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিল। সে মাফিয়াতন্ত্র এখনো বহাল রয়েছে। এখন তা বিএনপির দখলে।
বিএনপির লোকজন শামীম ওসমানের বহু লোকদের নিরাপত্তা দিয়ে চলেছে। ওসমান পরিবারের ছত্রছায়ায় নীট কনসার্ন বিগত সরকারের সময়ে নারায়ণগঞ্জে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছিল। এখন ওসমানদের ফেলে যাওয়া সম্পত্তি রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে ফকির গ্রুপ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি জিয়াউল ইসলাম কাজলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ধীমান সাহা জুয়েলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দৈনিক খবরের পাতার সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহাবুবুর রহমান মাসুম, শিশু সংগঠক রথীন চক্রবর্তী, নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হক দীপু, ন্যাপ জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আওলাদ হোসেন, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা ভবানী শংকর রায়, সিপিবি জেলা সাধারণ সম্পাদক শীবনাথ চক্রবর্তী, গণসংহতি আন্দোলন জেলার সমন্বয়ক তরিকুর সুজন, বাসদ জেলা সংগঠক সেলিম মাহমুদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির জেলা সংগঠক শওকত আলী ও সামাজিক সংগঠন সমমনা’র সাবেক সভাপতি দুলাল সাহা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ নগরীর শায়েস্তা খাঁ রোডের বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয় তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী। দু’দিন পর ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী খাল থেকে ত্বকীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে ২০১৪ সালের ৫ মার্চ তদন্তকারী সংস্থা র্যাব সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, নারায়ণগঞ্জের ওসমান পরিবারের নির্দেশে তাদেরই টর্চারসেলে ১১ জন মিলে ত্বকীকে হত্যা করেছে। অচিরেই তারা অভিযোগপত্র আদালতে পেশ করবে।
কিন্তু এর তিন মাস পর শেখ হাসিনা সংসদে দাঁড়িয়ে ওসমান পরিবারের পাশে থাকার ঘোষণা দিলে বিচার কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। সে অভিযোগপত্র আজও পেশ করা হয় নাই।
ত্বকী হত্যার পর থেকে বিচার শুরু ও চিহ্নিত আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে প্রতি মাসের ৮ তারিখ আলোক প্রজ্বালনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট।