পাবনার সুজানগরে বিস্ফোরক মামলায় আবদুল ওহাব নামে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের গাড়ি থামিয়ে তাকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। রোববার বিকেলে উপজেলার মথুরাপুর স্কুলমাঠে এ ঘটনা ঘটে।

ছিনিয়ে নেওয়া আবদুল ওহাব সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি মথুরাপুর স্কুল গেট এলাকার বাসিন্দা। জেলা শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে করা একটি মামলার আসামি তিনি।

এদিকে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, আবদুল ওহাবকে গ্রেপ্তার করে গাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিলেন পুলিশ সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় লোকজন দৌড়ে এসে গাড়ির গতিরোধ করেন। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ওহাবকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

স্থানীয় লোকজন জানান, আসরের নামাজ আদায় করে মসজিদ থেকে বের হচ্ছিলেন আবদুল ওহাব। এ সময় পুলিশ এসে তাকে গ্রেপ্তার করে। মুহূর্তেই তার গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে মথুরাপুর, নারায়ণপুর, ভবানীপুর, বলরামপুরসহ কয়েকটি গ্রামের কয়েক শত লোক জড়ো হয়ে পুলিশের গাড়ি থামিয়ে ওহাবকে ছিনিয়ে নেন। এ ঘটনার পর ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা সাংবাদিকদের বলেন, আবদুল ওহাব বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় করা একটি মামলার আসামি। গ্রেপ্তারের পর কিছু লোক তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। একই সঙ্গে পুলিশের ওপর হামলা করেন। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প বন স জ নগর

এছাড়াও পড়ুন:

নৌ উপদেষ্টার সঙ্গে নেদারল্যান্ডসের বিশেষ দূতের  সাক্ষাৎ      

শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের যুব, শিক্ষা ও উন্নয়নবিষয়ক বিশেষ দূত জুরিয়ান মিডেলহফ।                                

মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশের যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, নতুন উদ্যোক্তা তৈরি, দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টি, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি, ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়ন, ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন সহজ করা, শ্রম অসন্তোষ নিরসন, শ্রম আইন সংশোধন, শ্রমিকদের অধিকার বাস্তবায়ন, শ্রম সংস্কার, যুবকদের প্রশিক্ষণ এবং তৈরী পোশাক খাতের বিকাশ নিয়ে আলোচনা করেন।

এ সময় উপদেষ্টা বলেন, “কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে কর্মসংস্থান অধিদপ্তর নামে নতুন একটি অধিদপ্তর সৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট ৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৯ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া, শ্রম সংস্কার কমিশন বাংলাদেশের সব (প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক) শ্রমিকদের অধিকার ও মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে।” 

তিনি বলেন, “শ্রমঘন এলাকায় অস্থিরতা নিরসনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিজিএমইএ, টুরিস্ট পুলিশ এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে। বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, শ্রমিক প্রতিনিধি এবং মালিকপক্ষ একযোগে কাজ করছে। এক্ষেত্রে আইএলও, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী এবং অংশীজনদের বাস্তবসম্মত মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সব পক্ষের মতামত অনুযায়ী শ্রম আইন যুগোপযোগী করা হচ্ছে।”

এ সময় উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নেদারল্যান্ডসের চার্জ দি অ্যাফেয়ার্স থিজস ওয়াউডস্ট্রা, অর্থনীতি ও বেসরকারি খাত উন্নয়নবিষয়ক ফার্স্ট সেক্রেটারি সারা ভ্যান হোভ, নেদারল্যান্ডস এন্টারপ্রাইজ এজেন্সির প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর এরিক প্যারিগার।

ঢাকা/এএএম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ