নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেছেন, সাঈদ, মুগ্ধ ও স্বজনের রক্তের বিনিময়ে আজকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু আমরা দেখতে খুনি হাসিনা পালিয়ে গিয়ে আজকে আবার বাংলাদেশের নতুন করে অরাজকতা, নৈরাজ্য ও গণতন্ত্রকে হত্যার চেষ্টা করছে।

খুনি শেখ হাসিনা তার যুবলীগ ছাত্রলীগকে দিয়ে কর্মসূচি নামে এসকল পাঁয়তারা করছে। কিন্তু আমরা এই হরতাল, নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের শক্ত হাতে প্রতিহত করব। 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা মহানগর বিএনপি যুবদল ছাত্রদল স্বেচ্ছাসেবক দল শ্রমিক দল সকল সংগঠনের সকল নেতাকর্মীরা রাজপথে আছি। আজকে কিন্তু আমরা রাজপথে কোন ছাত্রলীগ যুবলীগ শ্রমিক লীগকে খুঁজে পাইনি। আওয়ামী লীগের নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে আমাদের এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। 

রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের নৈরাজ্য প্রতিরোধ করতে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বিক্ষোভ মিছিল শেষে  নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা আমরা রাজপথে আছি জনগণকে আমরা নিরাপত্তা দিব এবং জনগণের পাশে থাকবো। আমরা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পক্ষে থাকবো। যদি কোন আওয়ামী লীগ যুবলীগের কোন নেতাকর্মীরা কোন ধরনের নৈরাজ্য অরাজকতা করা সৃষ্টি করে তাহলে তাদেরকে দাঁত ভাঙ্গে জবাব দেওয়া হবে।

আর আপনারা সবাই পাড়ায় পাড়ায় ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মহল্লায় মহল্লায় পাহারায় থাকবেন। আর এইসব ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ যুবলীগ ছাত্রলীগ শ্রমিকলী কৃষকলীগ সকল অঙ্গ সংগঠন নেতাকর্মীদের তালিকা সংগ্রহ করে আমাদের কাছে দিবেন। আর তাদেরকে দেখামাত্র আপনারা তাদেরকে ধরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করবেন। 

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড.

সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্বে এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এড. রফিক আহমেদ, ডা. মজিবুর রহমান, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ, মহানগর শ্রমিকদলের সদস্য সচিব ফারুক হোসেন,মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মির্জা কামাল উদ্দিন জনি, মহানগর কৃষক দলের সভানেত্রী খন্দকার এনামুল হক স্বপন, বিএনপি নেতা আক্তার হোসেন, আবুল হোসেন রিপন, শেখ সেলিম, নাজমুল হক, চঞ্চল মাহমুদ, ইকবাল হোসেন, শাহাদুল্লাহ মুকুল, সাইফুল ইসলাম বাবু, হিরা সরদার, মহানগর মহিলাদলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহাদুল্লাহ মুকুল, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, গোগনগর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়াজী, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আঃ রহমান, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তাঁরা মিয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহমেদ, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক মহসিন মিয়া, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মামুন ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহেন শাহ্ মিঠু, বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাজু আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, মহানগর ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ মামুনসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: য বল গ ব এনপ ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ ন ত কর ম দল র স আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে র‌্যাব পরিচয়ে প্রবাসীদের সর্বস্ব লুট, ডাকাত বশির গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ভুয়া র‌্যাব পরিচয়ে প্রবাসীদের সর্বস্ব লুটের ঘটনায় কুখ্যাত ডাকাত মো. বশির আহমেদ (৫২) গ্রেপ্তার হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১১, সিপিএসসি’র কোম্পানি কমান্ডার মো. ইশতিয়াক হোসাইন।  

সোমবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব কমান্ডার মো. ইশতিয়াক হোসাইন জানান, গত ১৪ জানুয়ারি ভোরে কুমিল্লার বুড়িচং থানার আরাগ আনন্দপুর গ্রামের প্রবাসী আবু হানিফ (৩৫) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানার বিষ্ণুপুর গ্রামের প্রবাসী রাজিব ভূঁইয়া (৩৫) দুবাই থেকে দেশে ফেরেন।

ডলার ভাঙানোর পর দুপুরে এশিয়া লাইন বাসে করে কুমিল্লার উদ্দেশে রওনা হলে বন্দর থানাধীন কেওডালা এলাকায় একটি সাদা রঙের হাইয়েস গাড়ি বাসের গতিরোধ করে।

র‌্যাবের কটি পরিহিত ৩/৪ জন ব্যক্তি বাসে উঠে নিজেদের র‌্যাব সদস্য পরিচয় দিয়ে প্রবাসীদের বিরুদ্ধে মামলা থাকার কথা জানায়। এরপর জোরপূর্বক তাদের হাত-পা ও চোখ বেঁধে হাইয়েস গাড়িতে তুলে মারধর করে এবং নগদ ২১, লাখ ৩৫ হাজার টাকা, ব্রিটিশ ও অস্ট্রেলিয়ান পাউন্ড, মোবাইল ফোন, পাসপোর্টসহ মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নেয়।  

এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া এবং সংবাদমাধ্যমে ভাইরাল হলে বিষয়টি নিয়ে র‌্যাব-১১ ছায়া তদন্ত শুরু করে। তদন্তের ভিত্তিতে বাগেরহাট জেলার মোংলা থানাধীন মোংলা গ্রাম থেকে কুখ্যাত ডাকাত মো. বশির আহমেদকে র‌্যাব-১১ ও র‌্যাব-৬ এর যৌথ অভিযানে গ্রেফতার করা হয়।  

র‌্যাবরে এই কর্মকর্তা আরও জানান, বশির আহমেদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানায় ভুয়া র‌্যাব পরিচয়ে দস্যুতার মামলা, ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় ডাকাতির দুটি মামলা, ডিএমপির শাহজাহানপুর থানায় অস্ত্র ও ডাকাতির প্রস্তুতির মামলা, ঝালকাঠি সদর থানায় ডাকাতির মামলা এবং দাউদকান্দি থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা রয়েছে।

গ্রেপ্তার ডাকাত বশির আহমেদকে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।  
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা (তালিকা)
  • সিদ্ধিরগঞ্জে স্বামীর গোপনাঙ্গ কর্তন করল স্ত্রী
  • বসুন্ধরা শুভসংঘ’র নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটি গঠন 
  • সোনারগাঁয়ে মেঘনায় কারা চাঁদাবাজি করে আমরা জানি : ইমতিয়াজ বকুল
  • কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি-সেক্রেটারির সঙ্গে মহানগর যুবদলের সাক্ষাৎ
  • মামুন মাহমুদকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ঘোষণা করায় ১নং ওয়ার্ডে আনন্দ মিছিল  
  • বন্দরে লিফলেট বিতরণ করায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সহ আটক ২ 
  • অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে গাজী মনিরের ফুলেল শুভেচ্ছা
  • অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে সাবেক ছাত্রদল নেতা খোকনের ফুলেল শুভেচ্ছা
  • বন্দরে র‌্যাব পরিচয়ে প্রবাসীদের সর্বস্ব লুট, ডাকাত বশির গ্রেপ্তার