লক্ষ্মীপুরে আদালত প্রাঙ্গণে আ.লীগের লিফলেট বিতরণের চেষ্টা, আটক ১
Published: 2nd, February 2025 GMT
লক্ষ্মীপুরে আদালত প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের পক্ষে কিছু ব্যক্তি লিফলেট বিতরণের চেষ্টা করেছেন। এসময় গণপিটুনি দিয়ে পরান চৌধুরী নামে একজনকে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা। এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন আইনজীবীরা।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে লক্ষ্মীপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে ঘটনাটি ঘটে বলে জানান লক্ষ্মীপুর সদর থানার ওসি মো.
পুলিশ, আইনজীবী ও স্থানীয়রা জানান, আজ সকাল ১১টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চার শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। কয়েকজন জামিনে থাকা আসামিও আদালতে হাজিরা দিতে আসেন। হাজিরা দিয়ে বের হয়ে আসামিরা আদালত প্রাঙ্গণে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন।
আরো পড়ুন:
গণপিটুনি দিয়ে ৫ অপহরণকারীকে পুলিশে সোপর্দ
মাদারীপুরে মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যকে গণপিটুনি
আটক পরান চৌধুরী
একপর্যায়ে জামিনে থাকা আসামি সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কয়েকজন কর্মী লিফলেট বিতরণের চেষ্টা করেন। এসময় উত্তেজিত জনতা তাদের ধাওয়া করে একজনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন। অন্যরা পালিয়ে যান। এ ঘটনায় আদালত প্রাঙ্গণে লক্ষ্মীপুর জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ও ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের আইনজীবীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ওসি মো. আব্দুল মোন্নাফ বলেন, “আদালত প্রাঙ্গণে গণপিটুনি দিয়ে পরান চৌধুরী নামে একজনকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা। এ ঘটনায় আদালত প্রাঙ্গণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রধর আটক আওয় ম ল গ গণপ ট ন আইনজ ব স পর দ
এছাড়াও পড়ুন:
ইজতেমায় আখেরি মোনাজাতের সময় ড্রোন আতঙ্ক, আহত শতাধিক
তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার দুই ধাপের প্রথম পর্ব আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়েছে। তবে মোনাজাতের শেষের দিকে হঠাৎ মুসল্লিরা আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করেন। ড্রোনের বাতাস ও ড্রোন মাটিতে পড়ার শব্দ থেকে এই আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।
এতে ঘটনাস্থলে সংবাদ সংগ্রহে থাকা অবস্থায় সমকালের টঙ্গী প্রতিনিধি আবু সালেহ মুসাসহ শতাধিক মুসল্লি আহত হয়েছেন।
রোববার শুরায়ে নেজামের আখেরি মোনাজাত চলাকালে টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী মুসল্লিরা জানান, তারা মোনাজাতে মগ্ন ছিলেন। এসময় হঠাৎ প্রচণ্ড বাতাস আসে। পরে একটি ড্রোন মাটিতে পড়ে যায়। এই আতঙ্কে তারা ছুটাছুটি করতে থাকেন। এসময় বেশ কয়েকজন মুসল্লি পড়ে গিয়ে আহত হন।
আহত মুসল্লি ফয়সাল বলেন, আমার সামনে হঠাৎ ড্রোন পড়ে গিয়ে বাঁশের সঙ্গে লেগে শব্দ হয়। এতে আতঙ্ক দেখা দিলে মুসল্লিরা দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন। আমিসহ অনেক মুসল্লি আহত হয়েছেন।
টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে কর্তব্যরত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) বেলায়েত হোসেন বলেন, আতঙ্কে অনেক মুসল্লি দৌড়ে হাসপাতালে আসেন। তাদের চিকিৎসা দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম জানান, ড্রোনটি ইজতেমার মাঠের কাছে পড়ে যাওয়ায় মুসল্লিদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। পরে ছুটাছুটি করলে কিছু মুসল্লি আহত হয়েছেন। ড্রোনের ব্যাটারি শেষ হওয়ার কারণে মাটিতে পড়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ড্রোনটি কার তা জানা যায়নি।