যমুনার দিকে যাত্রা করা গণঅভ্যুত্থানে আহতদের পুলিশের বাধা
Published: 2nd, February 2025 GMT
উন্নত চিকিৎসাসহ দাবি আদায়ে দিনব্যাপী অবস্থান শেষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাত্রাকালে পুলিশের বাধায় পড়েছেন জুলাই আন্দোলনে আহতরা।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সাড়ে ৭টার পর রাজধানীর ভিআইপি সড়কে পৌঁছালে ব্যারিকেড দিয়ে তাদের আটকে দেয় পুলিশ।
এর আগে, সকাল ১১টা থেকে রাজধানীর শ্যামলীতে মিরপুর রোড অবরোধ করেন আহত আন্দোলনকারীরা। এরপর সন্ধ্যা ৬টার দিকে শ্যামলী রোড ছেড়ে দিলে সেখানে যান চলাচল শুরু হয়।
আরো পড়ুন:
রাজধানীতে মাইক্রোবাসচাপায় নারী নিহত
ছয় খালের সংস্কার কর্মসূচি উদ্বোধন
আহতদের ৭ দাবি হলো-২৪ এর যোদ্ধাদের মধ্যে আহত এবং শহীদদের হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের পূর্ণাঙ্গ বিচার। ফ্যাসিস্ট সরকারের অনুসারীদের সরকারের বিভিন্ন পদ থেকে অপসারণপূর্বক গ্রেপ্তার। আহতদের কেটাগরি সঠিকভাবে প্রণয়ন। আহতদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া সঠিকভাবে বাস্তবায়ন। আহতদের চিকিৎসার সর্বোচ্চ সুব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। আহত এবং শহীদদের রাষ্ট্রীয় সম্মাননাসহ প্রয়োজনীয় আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। আহতদের আর্থিক অনুদানের অঙ্ক বৃদ্ধিসহ ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার বিষয়টা সুসংহত করতে হবে।
ঢাকা/রায়হান/সাইফ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের সহায়তার জন্য অধিদপ্তর হচ্ছে
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, “শহীদদের আত্মত্যাগেই বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছে, ফ্যাসিবাদ পালিয়েছে। বর্তমান সরকার আহতদের যতদিন প্রয়োজন ততদিন চিকিৎসা সুবিধা দেবে। আহত এবং শহীদ পরিবারদের সহায়তার জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি অধিদপ্তর হচ্ছে।”
রোববার (৯ মার্চ) খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘আহত যোদ্ধাদের পাশে বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, “জুলাই আন্দোলনে শহীদ এবং আহতদের কাছে আমরা সবাই ঋণী। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যদের যে আর্থিক সাহায্য করা হচ্ছে তা যথেষ্ট নয়।”
আরো পড়ুন:
চার মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের সেবা ডিজিটাইজড করার নির্দেশ দিল সরকার
পতিত স্বৈরাচার নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করছে: প্রধান উপদেষ্টা
তিনি আরো বলেন, “তাদের কারণেই আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। অন্যায় এবং অবিচার বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ এবং সাধারণ মানুষ কখনোই মেনে নেয় না, এটি ২০২৪ এর ছাত্র আন্দোলন আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে।”
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে জুলাই বিপ্লবে আহত খুলনার ৬১ জনের মধ্যে ৪০ জনের প্রত্যেককে এক লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়। এ নিয়ে মোট ৫৩ জনকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হলো।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন- খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার টিএম মোশাররফ হোসেন ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।
এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই বিপ্লবে শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং জুলাই বিপ্লব নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ