কুকুর ধাওয়া দেওয়ায় তার মালিককে ডেকে নিয়ে খাস কামরায় পিঠমোড়া করে বেঁধে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে রাজবাড়ী জেলা জজ আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমন হোসেনের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় শনিবার রাতে রাজবাড়ী সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ভ্যানচালক আফজাল খান। তাঁর বাড়ি সদরের চন্দনী ইউনিয়নের বাড়াইজুড়ি গ্রামে। 

অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে ম্যাজিস্ট্রেট সুমন হোসেন বলেন, ‘কুকুরের বিষয়ে জানতে আফজাল খানকে ডেকে আনা হয়। কিন্তু গালাগাল কিংবা মারধর করা হয়নি। কোনো মহলের ইশারায় আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করতে তিনি এমন অভিযোগ করেছেন।’

আফজাল বর্তমানে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি বলেন, ‘ম্যাজিস্ট্রেট সুমন হোসেনের শ্বশুরবাড়ি আমাদের এলাকায়। গত ৩০ জানুয়ারি হাঁটাহাঁটি করার সময় একটি কুকুর তাঁকে ধাওয়া করে। পরে সুমন স্থানীয়দের কাছে কুকুরটি আমার জানতে পেরে পুলিশ পাঠিয়ে খাস কামড়ায় ডেকে নেন।’

আফজালের দাবি, ‘প্রথমে সুমন কুকুরের বিষয়ে জানতে চান। কুকুরটি আমার না বললে তিনি অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করেন। এক পর্যায়ে দড়ি দিয়ে পিঠমোড়া করে বেঁধে চেয়ারের ওপর নিচু হতে বলেন। এর পর তিনি রুল দিয়ে আমার নিতম্বে অন্তত ৩০ বার আঘাত করেন। ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে আমার কখনও কোনো বিরোধ হয়নি। মামলা-মোকদ্দমাও নেই। এমন জায়গায় আঘাত করেছেন কাউকে দেখাতে পারছি না।’

সদর থানার ওসি মাহমুদুর রহমান জানান, বিচারকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন আফজাল খান। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম রধর আফজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ছুরিকাঘাতে নিহত ছাত্রদলকর্মী অপূর্বর দাফন সম্পন্ন

নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়া বালুর মাঠে ছুরিকাঘাতে নিহত ছাত্রদলকর্মী অপূর্বর দায়িত্ব নিয়ে তার দাফন সম্পন্ন করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক সাবেক ছাত্রনেতা মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ।

সোমবার (১০ মার্চ) বাদ আছর নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে ছাত্রদল কর্মী অপূর্বর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। 

এতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন কমল, সাইফুল আলম সজিব, সদস্য সাইফুল ইসলাম আপন, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম রাজিব, মহানগর ওলামা দলের আহ্বায়ক হাফেজ শিবলীসহ মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

এদিকে সকাল থেকেই ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে অবস্থান করেন মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদের নেতৃত্বে মহানগর যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ভীড় জমায় ছাত্রদল কর্মী অপূর্বর মৃত দেহের জন্য। 

দুপুরের পর পর ময়নাতদন্ত শেষে অপূর্বর মৃত দেহ লাশ বাহি এসি গাড়ি ব্যবস্থা করে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে বাদ আছর জানাজার ব্যবস্থা করেন। এরপরও অপূর্ব মৃতদেহ মাসদাইরের বাড়িতে নিয়ে যায়। বাদ মাগরিব সেখানে জানাজার শেষে মাসদাইর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। 

এর আগে গত রবিবার রাতে ঘটনা শুনা মাত্রই নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ হাসপাতালে ছুটে যান এবং নিহত ছাত্রদলকর্মী অপূর্বর দাফন কাফনসহ সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেন।

উল্লেখ্য, গত রবিবার চাষাড়ার বালুর মাঠ এলাকায় এক বৃদ্ধের সাথে বাক-বিতন্ডায় জড়ায় ছিনতাইকারী সম্রাট। এসময় মিছিল শেষে যাওয়ার পথে বাক-বিতন্ডা করতে নিষেধ করে ছাত্রদল কর্মী অপূর্ব। নিষেধ করার কারণেই তার বুক বরাবর চাকু দিয়ে আঘাত করে সম্রাট।

এসময় সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তখন উত্তেজিত জনতা ছিনতাইকারীকে মারধর শুরু করে করে পুলিশে সোপর্দ করে।  ছাত্রদল কর্মী অপূর্ব (২০), মাসদাইর এলাকার খোকন মিয়ার ছেলে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ