আওয়ামী লীগ কোন কর্মসূচি পালন করতে পারবে না : সজল
Published: 2nd, February 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল বলেছেন, আওয়ামী লীগের বিচার না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেয়া হবে না।
অবিলম্বে যেসকল অস্ত্র দিয়ে নারায়ণগঞ্জের নিরীহ ছাত্র-জনতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে সেইসব অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে এবং সেইসব সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেফতার করতে হবে।
রবিবার ( ২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় আওয়ামীলীগ ঘোষিত ফেব্রুয়ারির কর্মসূচির প্রতিবাদে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল শেষে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে বক্তব্যেকালে তিনি একথা গুলো বলেন।
তিনি বলেন, বিগত সাড়ে ১৭টি বছর আমরা ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। আমরা আমাদের অনেক ভাই বন্ধু কে হারিয়েছি। তাদের এই রক্তের বিনিময়ে কিন্তু আজকে এই ফ্যাসিবাদী শক্তি দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। বলতে চাই এদেশে আওয়ামী লীগের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কোন নেতাকর্মীকে রাজপথে কোন কর্মসূচি করতে দেয়া হবে না। অবিলম্বে তাদের বিচার করতে হবে এবং তাদের কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে।
সজল যুবদলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, যারা নতুন করে দেশকে অস্থিশীল করার চেষ্টা করছে মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা আপনারা সবাই সজাগ থাকবেন। যারা নতুন করে নৈরাজ্য করার পাঁয়তারা করবে তাদেরকে ধরে পুলিশের হাতে দিয়ে দিবেন। কারণ তাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে শতশত হত্যা মামলা রয়েছে। আওয়ামী লীগের এই হত্যাকারীদের নারায়ণগঞ্জে কোন কর্মসূচি করার সুযোগ যুবদল দিবে না। যদি কোন প্রকার নৈরাজ্য করার চেষ্টা করে তাহলে তাদেরকে শক্ত হাতে দমন করবেন। যুবদলের নেতাকর্মীরা রাজপথে আছে এবং রাজপথেই থাকবে।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: য বদল ব এনপ ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ ন র য়ণগঞ জ ন ত কর ম ল ইসল ম য বদল র র রহম ন র জপথ আওয় ম র করত
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে ছাত্রদলের সাবেক নেতা জাকির কারামুক্ত, গাড়িবহর নিয়ে অনুসারীদের বরণ
নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খান সাজার মেয়াদ শেষে কারামুক্ত হয়েছেন। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে কারামুক্ত হন তিনি।
এদিকে জাকির খানকে বরণ করে নিতে তাঁর অনুসারীরা মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কার নিয়ে জেলা কারাগারের সামনে অবস্থান নেন। এতে ওই এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়।
জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক ফোরকান ওয়াহিদ জানান, ১৯৯৪ সালের সন্ত্রাস দমন আইনের একটি মামলার রায়ে জাকির খানের ১৪ বছরের সাজা হয়েছিল। আপিল করার পর উচ্চ আদালতে সাজা কমিয়ে আট বছর করা হয়। পরে সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ আবেদনে তাঁর সাজা কমে পাঁচ বছর করা হয়। পাঁচ বছরের সাজার মেয়াদ শেষে আজ রোববার সকালে জাকির খানকে কারামুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, জাকির খানের মুক্তির খবরে আজ সকাল থেকে তাঁর অনুসারীরা মোটরসাইকলে ও প্রাইভেট কারের বহর নিয়ে জেলা কারাগারের সামনে অবস্থান নেন। নেতা-কর্মীরা ট্রাকে সাউন্ড বক্স লাগিয়ে উচ্চ শব্দে গান বাজিয়ে মোটরসাইকেলের বহর বের করেন। জেলা কারাগারের সামনে নেতা-কর্মীদের ভিড় হয়। এতে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে যানজটের সৃষ্টি হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কারাগার থেকে বের হন জাকির খান। এ সময় তাঁর অনুসারীরা তাঁকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। পরে তিনি হুডখোলা গাড়িতে চড়ে নারায়ণগঞ্জ শহরে দেওভোগের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন।
থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জাকির খানের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নেতা শাব্বির আলম খন্দকার হত্যাসহ ৪টি হত্যাসহ মোট ৩৩টি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় বিভিন্ন সময় কারাগারে ছিলেন তিনি। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর জাকির খান আবারও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। শহরের দেওভোগ এলাকায় জাকির খান তাঁর বিশাল বাহিনী গড়ে তোলেন। দেওভোগ এলাকার সন্ত্রাসী দয়াল মাসুদকে হত্যা করে শহরে ত্রাস সৃষ্টি করেন। ২০০৩ সালে ব্যবসায়ী নেতা শাব্বির আলম হত্যাকাণ্ডের পর থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে জাকির খান দেশ ছেড়ে থাইল্যান্ডে পাড়ি জমান। তিনি দীর্ঘদিন বিদেশে পালিয়ে থাকার পর গোপনে দেশে ফিরে এসে রাজধানীর বসন্ধুরা আবাসিক এলাকায় পরিচয় গোপন করে সপরিবার বসবাস শুরু করেন। ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিদেশি পিস্তলসহ জাকির খানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এর পর থেকে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে ছিলেন তিনি। সর্বশেষ চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি ব্যবসায়ী নেতা শাব্বির আলম হত্যা মামলার রায়ে জাকির খানসহ সব আসামি খালাস পান।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) প্রত্যুষ কুমার মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, সাজা শেষে জাকির খান কারামুক্ত হয়েছেন। তিনি ২৬টি মামলায় খালাস পেয়েছেন। তিনটি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে, সেই মামলাগুলোতে তিনি জামিনে রয়েছেন।