বাংলা একাডেমির আদব-কায়দা না থাকলে কী করব, প্রশ্ন সলিমুল্লাহ খানের
Published: 2nd, February 2025 GMT
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে পুরস্কৃতদের পেছনে দাঁড় করিয়ে রাখা নিয়ে সমালোচনা করেছেন লেখক ও প্রাবন্ধিক সলিমুল্লাহ খান। তিনি বলেছেন, ‘বাংলা একাডেমি যদি মানুষকে সম্মান প্রদর্শন করতে না জানে আমরা তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করব নাকি? তাদের আদব-কায়দা যদি না থাকে আমরা কী করব?’
তিনি বলেন, ‘লোকজন বলছে, আপনি পুরস্কার নিলেন কেন? আরে.
আজ রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার সংলগ্ন হাকিম চত্বরে জাতীয় কবিতা উৎসবের সমাপনী দিনে ‘স্বাধীনতা সাম্য ও সম্প্রীতি: বাংলাদেশের কবিতা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন লেখক ও প্রবীণ অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।
গত শনিবার অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কার প্রদানের পর পুরস্কৃতদের পেছনে রেখে প্রধান উপদেষ্টা, সংস্কৃতি উপদেষ্টা, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক চেয়ারে বসেছিলেন। এটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রসঙ্গ টেনে সলিমুল্লাহ খান বলেন, বাংলা একাডেমির পুরষ্কার প্রদানের অনুষ্ঠান নিয়ে অনেকে ট্রল করছে। আমাকে জিজ্ঞেস করছে- ছাত্রদের সামনে বসিয়ে আপনারা পেছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন কেন? আমি বলেছি, তারা ক্ষমতার প্রতীক হিসেবে বসেছে। বাংলা একাডেমি যদি মানুষকে সম্মান প্রদর্শন করতে না জানে আমরা তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করব নাকি? তাদের আদব-কায়দা যদি না থাকে আমরা কী করব?
তিনি বলেন, এখানেও দাসত্বের অবসান করতে হবে। দাসত্বের অবসান করতে হলে সবাইকে এক করতে হবে। সকলেই যদি আমরা সমান না হই তাহলে আমরা এক হব না।
জাতীয় কবিতা পরিষদ আয়োজিত এই উৎসবে আরও আলোচনা করেন মঞ্জুরুর রহমান, কুদরতে খোদা, সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক সোহরাব হোসেন।
সভাপ্রধানের বক্তব্যে আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, বাংলা ভাষার সাহিত্য অনেক উন্নতমান সমৃদ্ধ। আমাদের কবিরা যদি বাংলা ভাষায় অসাধারণ কিছু লেখেন যেটা ক্লাসিকাল পর্যায়ের, কালজয়ী হয় তাহলে সেটা আমাদের ভাষার জন্য-জাতির জন্য সমৃদ্ধির হবে, অসাধারণ কৃতিত্বের হবে। রবীন্দ্রনাথও এই ভাষায় কবি হয়েছেন। মাইকেল মধুসূদনও এই ভাষায় কবি হয়েছেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব ল এক ড ম প রস ক র এক ড ম ন করত
এছাড়াও পড়ুন:
৭ ফেব্রুয়ারি দেশের সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে ‘বলী’
২৮তম বুসান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা সিনেমার পুরস্কার জয় করে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ‘বলী’। পরে আন্তর্জাতিক অনেক চলচ্চিত্র উৎসবে সুনাম কুড়িয়েছে সিনেমাটি। আগামী শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
সিনেমাটির প্রযোজক পিপলু আর খান গণমাধ্যমকে জানান, ৭ ফেব্রুয়ারি দেশের হলে মুক্তি পাবে সিনেমাটি। সেভাবেই এখন সব প্রস্তুতি নিচ্ছেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে সেন্সর সার্টিফিকেশন সনদ পায় ‘বলী’।
পিপলু আর খান জানান, তাদের পরিকল্পনা ছিল আরও সপ্তাহখানেক পেছানোর।
১৪ ফেব্রুয়ারি বেছে নিয়েছিলেন মুক্তির তারিখ। পরে পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে, বেশ কিছু কারণে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। ৭ তারিখে মুক্তি দেওয়াই এখন লক্ষ্য নির্মাতাদের। পরিচালক ইকবাল হোসাইন চৌধুরী জানান, সিনেমা মুক্তি নিয়েই তিনি ব্যস্ত।
২০২১ সালে বাংলাদেশ সরকারের অনুদান পায় ‘বলী’। পরে সিনেমাটির চিত্রনাট্য পড়ে ভারতের এনএফডিসি ফিল্ম বাজারসহ বেশ কিছু আয়োজনের কো-প্রোডাকশন মার্কেটেও নির্বাচিত হয়। পরের বছরই কক্সবাজারের প্রত্যন্ত অঞ্চলে শুরু হয় সিনেমাটির শুটিং। বুসানে নির্বাচিত হওয়ার পর পরিচালক সিনেমা নির্মাণের খবরটি জানান।
সিনেমায় মূল বলীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাসির উদ্দীন খান। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন প্রিয়াম অর্চি, ইতমাম, এনজেল। বাংলাদেশ থেকে সিনেমাটি এবার অস্কারে প্রতিনিধিত্ব করে।