চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বিভিন্ন থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দায়ের করা সন্ত্রাস বিরোধী আইনসহ একাধিক মামলায় আসামী ছাত্রলীগ-যুবলীগের ২৮ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার নগর পুলিশের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সিএমপির উপ-কমিশনার (অপরাধ) রইছ উদ্দিন বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় সিএমপির বিভিন্ন থানা পুলিশের অভিযানে নগরের বিভিন্ন স্থান থেকে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ২৮ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারদের তথ্য উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- অভিযানে কোতোয়ালী থানার আসামী কর্ণফুলী থানার শিকলবাহা ইউপি যুবলীগের সক্রিয় কর্মী মো.

মামুন (৩৭), মো. আবুল কালাম আজাদ (৩৩), মো. শামীম (২৪), মো. হাসান (২৫), নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মো. এনামুল হক সাগর, ছোটন নাথ (৩২), মো. ইমরান হোসেন (৪০), শাহ জালাল ফিরোজ (৩৪), আব্দুল মোনাফ (৩৫), কর্ণফুলী থানা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর বাদশা (৪২), মো. রিপন মিয়া (৪১), মো. সাজ্জাদ হোসেন (২৫), মোহাম্মদ কুরবান আলী হোসেন হৃদয় (২০), পাহাড়তলী থানা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রায়হান (২২), মো. জিসান (২৪), মো. হানিফ, মো. মনির (৩৭), খোরশেদ আলম (৫০), বাকলিয়া থানা শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল আহম্মদ সেলু (৪০), আনোয়ারা সরকারী কলেজের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাছুদ (২৫), আবুল মোকারম সাকিব (২৭), মো. কাঞ্চন মোল্লা (৪৫), হাসান আলী (৪২), বন্দর থানা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মো. সালাহউদ্দিন অনিক (২৫), মো. তসলিম (৩৮), খুলশী থানা ছাত্র সংসদ এর সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুর রহমান (৩৪), সিফাতুল ইসলাম (জিহান) (১৮) এবং ইকবাল হোসেনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র জনতার ওপর হামলাসহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে ও সন্ত্রাসী বিরোধী আইনে এক বা একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স এমপ

এছাড়াও পড়ুন:

ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে উৎসবকে রাজনীতি মুক্ত রাখতে হবে: মোহাম্মদ আজম

ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে উৎসবকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ উপলক্ষে ‘বাংলা নববর্ষ: ইতিহাস, সংস্কৃতি ও উত্তরাধিকার’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারটির আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারডিসিপ্লিনারি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কনসোর্টিয়াম (আইআরডিসি)।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক বলেন, “রাজনীতির সঙ্গে রাষ্ট্র ও সমাজের সম্পর্ক সঠিকভাবে গড়ে উঠলে কোনো উৎসবই নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত হয় না। মানুষের দৈনন্দিন জীবনে সাংস্কৃতিক চিন্তা-চেতনার যে স্বকীয়তা রয়েছে, তা অক্ষুণ্ন রাখাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত। বুদ্ধিভিত্তিক ও সচেতন উদ্যোগের মাধ্যমে ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব। বাংলা নববর্ষের প্রতি জনগণের গভীর অনুরাগ রয়েছে, তাই এটিকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে।”

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. নাছির আহমেদ। তিনি বাংলা নববর্ষের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, সাংস্কৃতিক তাৎপর্য ও উত্তরাধিকার নিয়ে দুই পর্বে বিশদ আলোচনা করেন। প্রবন্ধে তিনি নববর্ষের উৎপত্তি, অর্থনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা এবং ধর্মীয়-সাংস্কৃতিক মাত্রা তুলে ধরেন।

প্যানেল আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন এবং বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. ফজলে এলাহি চৌধুরী।

সেমিনারটি সভাপতিত্ব করেন আইআরডিসি’র সভাপতি ও ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন এবং সঞ্চালনা করেন আইআরডিসি’র সাধারণ সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ