চট্টগ্রামে মেহজাবীন চৌধুরী, টাঙ্গাইলে পরীমণির পর বাধার মুখে রেস্তোরাঁ উদ্বোধন করতে পারেননি চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। গত ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের একটি রেস্তোরাঁ উদ্বোধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও ‘মুসল্লিদের আপত্তির’ মুখে যেতে পারেননি এই অভিনেত্রী। বিষটি নিয়ে উদ্বে জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে টেলিভিশন নাটকের অভিনয়শিল্পীদের সংগঠন অভিনয়শিল্পী সংঘ বাংলাদেশ।

গত ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে সংগঠনটির তৃতীয় বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকে সদস্যদের সম্মতিক্রমে এ বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। লিখিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা আমাদের উদ্বিগ্ন ও শঙ্কিত করেছে এবং শিল্পীর স্বাধীনতা ও পেশার প্রতি হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আমরা লক্ষ করেছি, নারী অভিনয়শিল্পীদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে বাধা দেওয়া হয়েছে।”

সরকার ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “যদি কোনো অভিনয়শিল্পী কোনো রকম অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকেন, তবে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ সাপেক্ষে রাষ্ট্রের প্রচলিত আইনে তার বিচার হবে। কিন্তু অহেতুক হয়রানি বন্ধ করা না গেলে ভয়-শঙ্কাহীন ও স্বাধীনভাবে শিল্প–সংস্কৃতির চর্চা করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। এতে দেশীয় শিল্প–সংস্কৃতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং ভিনদেশি ও অপসংস্কৃতির বিস্তার ঘটার আশঙ্কা তৈরি হবে। আমরা এ বিষয়ে সরকার ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং আশু সমাধান দাবি করছি।”

আরো পড়ুন:

শামীম-তানিয়ার ‘শ্বশুর আব্বার টি-স্টল’

তাহসানের সঙ্গী নাদিয়া

সংগঠনটির সভাপতি আহসান হাবীব নাসিম ও সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান স্বাক্ষরিত এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই মুহূর্তে সকলকে সাথে নিয়ে আগামী দিনের বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক ও সংস্কৃতিবান্ধব বাংলাদেশ বিনির্মাণ হোক আমাদের সকলের লক্ষ্য।’

উল্লেখ্য, গত বছরের ২ নভেম্বর চট্টগ্রামে একটি শো-রুম উদ্বোধন করতে গিয়ে তাওহীদি জনতার বাধার মুখে ফিরে আসেন অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। গত ২৫ জানুয়ারি টাঙ্গাইলে একটি শো-রুম উদ্বোধন করার কথা ছিল চিত্রনায়িকা পরীমণির। কিন্তু হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আপত্তির কারণে টাঙ্গাইলে যেতে পারেননি এই অভিনেত্রী।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক

এছাড়াও পড়ুন:

ফলের বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহার না হলে সরবরাহ বন্ধ

তাজা ফল আমদানিতে বর্ধিত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহর করা না হলে আজ মঙ্গলবার থেকে দেশের সব স্থল ও নৌবন্দর দিয়ে আসা ফল খালাস ও সরবরাহ বন্ধ রাখার হুমকি দিয়েছেন আমদানিকারকরা। 
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এ ঘোষণা দেন তারা। আমদানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। 
সংগঠনটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, এখন ফল হয়ে গেছে বড়লোকের খাদ্য। গরিব মানুষ ফল খেতে পারছে না। আগে ফল আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ ছিল। গত ৯ জানুয়ারি এক আদেশে এই হার বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে। এর ফলে আপেল, আঙুর, মালটাসহ আমদানি করা সব ধরনের ফলের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ। ফলকে বিলাসী পণ্যের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে নিত্যপণ্যের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আপেল, কমলা, মেন্ডারিন, আঙুর, নাসপাতি ও আনার মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। কারণ বর্তমানে ফল আমদানিতে শুল্ক ২৫ শতাংশ, সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ, ভ্যাট ১০ শতাংশ, অগ্রিম কর ৫ শতাংশ, নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ২০ শতাংশসহ মোট ১৩৬ দশমিক ২ শতাংশ শুল্ককর দিতে হচ্ছে। 
সিরাজুল ইসলাম বলেন, ১০০ টাকায় ফল আমদানি করলে এর সঙ্গে সরকারকে ১৫০ টাকা ভ্যাট-ট্যাক্স দিতে হয়। এতে আমদানি খরচ দাঁড়ায় ২৫০ টাকা। তাহলে বাজারে বিক্রি করতে হবে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। ফলের দাম বাড়ার কারণে বিক্রি কমে গেছে। তাতে ফল পচে যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়েছেন। মানববন্ধন শেষে সংগঠনটির নেতারা এনবিআরের চেয়ারম্যানকে স্মারকলিপি দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • উত্তরাঞ্চলে পেট্রলপাম্পে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট, ভোগান্তিতে চালকেরা
  • হাবিপ্রবিতে শিবিরের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত
  • শহীদ আবু বকর হত্যা মামলা পুনরায় চালুর দাবি বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের
  • ফলের বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহার না হলে সরবরাহ বন্ধ