খেলাধুলার সময় ছবি তোলা নিয়ে স্কুল শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারিকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার দুই ইউনিয়নের মানুষ ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া বাজারে ও যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া এলাকায় হাজারো মানুষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জড়ো হন। তবে, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ চেষ্টায় দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা সংঘর্ষে জড়ানো থেকে বিরত থাকেন।

এলাকাবাসী জানান, শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ফুলবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে খেলাধুলা নিয়ে যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া ও বল্লভদী ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া গ্রামের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। মারামারির বিষয়টি দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা মেনে নিতে পারেননি। তাদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। রাতেই উভয় ইউনিয়নের মানুষ ঘোষণা দেন সংঘর্ষের।

ঘোষনা অনুযায়ী বল্লভদী ইউনিয়নের পক্ষে ফুলবাড়িয়া বাজারে অন্তত ৬-৭ হাজার লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জড়ো হন। অপরদিকে যদুনন্দী ইউনিয়নের পক্ষে খারদিয়া এলাকায় ২-৩ হাজার লোক জড়ো হন। খবর পেয়ে প্রথমে সালথা থানা পুলিশ ও পরে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে যৌথ চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

আরো পড়ুন:

ফরিদপুরে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২২

নঙ্গলকোটে বিএনপির ২ পক্ষের সংঘর্ষ, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নিহত

বল্লভদী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো.

খন্দকার সাইফুর রহমান শাহিন বলেন, “খেলাধুলার সময় ছবি তোলা নিয়ে ফুলবাড়িয়া গ্রামের শিক্ষার্থীদের মারধর করে খারদিয়া গ্রামের শিক্ষার্থীরা। যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া গ্রামটি অনেক বড়। ওরা অন্য ইউনিয়নের কাউকে মানুষই মনে করে না। তাই বাধ্য হয়ে আমাদের ইউনিয়নের লোকজন জড়ো হয়েছিল প্রতিবাদ করতে। তবে ইউএনও, ওসি, সেনাবাহিনী ও উপজেলা বিএনপির নেতাদের চেষ্টায় সংঘর্ষে জড়াতে পারেনি কেউ।”

যদুনন্দী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. রফিক মোল্যা বলেন, “ঘটনাটি মীমাংসার কথা হয়েছে। এলাকার পরিবেশ এখন শান্ত।” 

কি কারণে সংঘর্ষের এমন প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল, সে বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।

সালথা থানার ওসি মো. আতাউর রহমান বলেন, “শনিবার বিকেলে ফুলবাড়িয়া স্কুলে খেলার সময় ছবি তোলা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঝামেলা হয়। এ সময় খারদিয়া গ্রামের শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে ফুলবাড়িয়া গ্রামের শিক্ষার্থীদের মারধর করে। বিষয়টি নিয়ে উভয় গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায় ঘটনাটি ইউনিয়ন পর্যায় চলে যায়।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা গত রাতভর উভয় ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেছি। তারপরও আজ সকালে দুই ইউনিয়নের অন্তত ১০ হাজার লোক সংঘর্ষের জন্য প্রস্তুতি নেন। পুলিশ ও সেনাবাহিনী মিলে পরিস্থিতি শান্ত করে। এখন উভয় ইউনিয়নের পরিবেশ শান্ত রয়েছে।”

সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিচুর রহমান বালী বলেন, “আমি খবর পেয়ে উভয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে ফোন দিয়েছি। চেয়ারম্যানরা আমাকে বলেছেন, কোনোভাবেই কেউ যাতে সংঘর্ষে না জড়ান, সেজন্য তারাও চেষ্টা করছেন।”

ঢাকা/তামিম/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ পর স থ ত স ঘর ষ র শ ন ত কর উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

গুলশানে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানোর দাবিতে সমাবেশ

রাজধানীর গুলশান এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানোর দাবিতে মিছিল–সমাবেশ করেছেন রিকশাচালকেরা। আজ শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত গুলশানের কালাচাঁদপুর ও বনানী ১১ নম্বর সড়কে সমাবেশ করেন তাঁরা।

সমাবেশে অংশ নেওয়া রিকশাচালকেরা অভিযোগ করেন, গুলশান সোসাইটির নিবন্ধিত রিকশা ছাড়া অন্য কোনো ব্যাটারিচালিত রিকশা গুলশান এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এতে তাঁরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। রিকশাচালক কাইয়ুম প্রথম আলোকে বলেন, গুলশান সোসাইটির নিবন্ধন নেই, এমন অটোরিকশা গুলশান এলাকায় গেলে রিকশার ক্ষতি করা হচ্ছে। গুলশান এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলার অনুমতি দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, কালাচাঁদপুরে সমাবেশের সময় রিকশাচালকদের কেউ কেউ সড়কে শুয়ে পড়েন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সড়কে যান চলাচল বন্ধ না করতে তাঁদের অনুরোধ করে। তবে পুলিশের অনুরোধে সাড়া না দিয়ে বেশ কয়েকজন রিকশাচালক সড়কে শুয়েই থাকেন। পরে পুলিশ সদস্যরা তাঁদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেন।

ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানোর দাবিতে গুলশান এলাকার সড়কে শুয়ে পড়েন রিকশাচালকেরা। পরে পুলিশ তাঁদের সেখান থেকে উঠিয়ে দেয়। ঢাকা, ১৯ এপ্রিল

সম্পর্কিত নিবন্ধ