শহীদুল ইসলাম বাবুল ও শামা ওবায়েদ গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২৫
Published: 2nd, February 2025 GMT
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফয়জুল হক মুন্সীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়া একই ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য ইদ্রিস মোল্লার বাম হাত কেটে নেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদেরকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
আজ রোববার সকালে উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের খারদিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়।
ভাঙ্গা উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি মো.
ঘারুয়া ইউনিয়নের খারদিয়া ৮নং ওয়ার্ড কৃষক দলের সভাপতি করিম মোল্লা বলেন, ‘গত ২৫ জানুয়ারি মালিগ্রামে কৃষক দলের কর্মী সভায় আমরা নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। সেখানে প্রতিপক্ষের চান মিয়া মাতুব্বর, ইয়াদ আলী মীর গ্রুপের লোকজনের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান আমাদের লোকজন। তারই জেরে গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে কৃষক দলের কর্মী মল্লিক ফরাজী, আনসার মীর, তোতা খলিফাসহ ৭-৮ জনের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। এর পর আজ সকালে শরিফাবাদ বাজারে পুনরায় কৃষক দলের নেতা-কর্মীকে মারধর করেন নান্নু, ইয়াদ আলী, জাহাঙ্গীর খলিফা ও কুতুবউদ্দিন ফরাজীর লোকজন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়ান।’
তিনি দাবি করেন, প্রতিপক্ষের চান মিয়া মাতুব্বর ও ইয়াদ আলী মীর আগে নিক্সন চৌধুরীর কর্মী ছিলেন। ৫ আগস্টের পর তারা বিএনপিতে যোগ দিয়ে এ অপকর্ম করছেন।’
এদিকে শ্যামা ওবায়েদ এর পক্ষের চান মিয়া মাতুব্বর ও ইয়াদ আলী মীরের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার সেলিম বলেন, ‘গত ৫ আগস্টের পর ভাঙ্গায় অনেকেই আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে যোগ দিয়েছে। তারাই এ সংঘর্ষ চালাচ্ছে। সকালে খারদিয়া গ্রামে সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের আওয়ামী লীগের লোকজন ঘারুয়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতা-কর্মীর ওপরে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এ হামলায় ঘারুয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সভাপতি ফয়জুল হক মুন্সীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়াও সংঘর্ষে ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য ইদ্রিস মোল্লার বাম হাত কেটে নিয়েছে হামলাকারীরা। এছাড়াও কমপক্ষে ১২ নেতা-কর্মী ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি রয়েছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা) সার্কেল মো. আসিফ ইকবাল বলেন, ‘রাত সাতটার আগ পর্যন্ত কোনো পক্ষের অভিযোগ পাইনি। তবে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ স ঘর ষ আহত ব এনপ র স র ল কজন স ঘর ষ র কর ম উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ঈদের আগে ডিপিএলে খেলতে পারবেন না মুশফিক
ইনজুরি যেন পিছুই ছাড়ছে না পেসার মুশফিক হাসানের। এবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলতে নেমেই ইনজুরিতে পড়েছেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের এই পেসার।
রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে গত ৬ মার্চ মাংসপেশিতে টান লেগে মাঠের বাইরে চলে যান মুশফিক। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী রাইজিংবিডিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মুশফিকে মাঠে ফিরতে কমপক্ষে দুই সপ্তাহ লাগবে। তবে ঈদের আগে তাকে আর পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক। মুঠোফোনে দেবাশীষ বলেন, “ওর মাংসপেশিতে টান লেগেছে। দুই সপ্তাহ লাগবে কমপক্ষে সুস্থ হয়ে ফিরতে। ঈদের আগে খেলার সম্ভাবনা নেই। খুব কঠিন হবে।”
আরো পড়ুন:
নারী ডিপিএলে জ্যোতির সেঞ্চুরি
ইয়াসির আলীর ১৪৩, আফিফ-সাইফ নার্ভাস নাইন্টির শিকার
ধারণা করা হচ্ছে রোজা রেখে খেলায় পানিশূন্যতা থেকে এমন হতে পারে। তবে নিশ্চিত নন বিসিবির এই চিকিৎসক, “হতে পারে। কিন্তু এটার কোনো প্রমাণ নেই। এমনিতে আমাদের নির্দেশনা হচ্ছে ম্যাচের আগের দিন, ম্যাচের দিন এবং পরের দিন পরিচর্যা করতে। এটাতো লম্বা সময়ের খেলা। যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার।”
রূপগঞ্জের বিপক্ষে মুশফিক বোলিং করেছেন মাত্র ১.৩ ওভার। ওভারের মাঝেই ছিটকে যান। বাকি ৩ বল করে দেন রনি তালুকদার। মুশফিক এদিন ১৪ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ১ উইকেট।
এদিকে ইনজুরির কারণে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও ছিটকে গেছেন। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে বয়ে আনা চোটের কারণে লম্বা সময় তাকে পাবে না মোহামামেডান। মাহমুদউল্লাহর পর মুশফিকের চোট নিশ্চিতভাবে তামিম ইকবালের দলকে টুর্নামেন্টে ভোগাবে।
ঢাকা/রিয়াদ/নাভিদ