বাকৃবিতে ‘জুলাই ৩৬’ হলের নাম পরিবর্তন নিয়ে বিশৃঙ্খলা, তদন্ত কমিটি গঠন
Published: 2nd, February 2025 GMT
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ‘জুলাই ৩৬’ হলের নাম পরিবর্তন নিয়ে গত ৯ জানুয়ারি রাতে হওয়া বিশৃঙ্খলায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডিশনাল রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওইদিন রাত ৯টা থেকে ১টা পর্যন্ত চলা ঘটনায় কতিপয় ছাত্রী হলের পূর্বের নাম বহাল রাখার দাবিতে আন্দোলন করে। এছাড়া কিছু ছাত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রাধ্যক্ষ ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করে আপত্তিকর পোস্ট ও মন্তব্য করেছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে।
এ ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ দিতে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ কমিটিকে দ্রুততম সময়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড.
গত ৯ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাকৃবির শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ করেন হলটির আবাসিক শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের ‘মানি না, মানবো না’, ‘দাবি মোদের একটাই, হলের নাম ফেরত চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
বিক্ষোভে তারা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের পরিবর্তিত নাম ‘জুলাই ৩৬’ বাদ দিয়ে পূর্বের নাম বহাল রাখার দাবি জানান। একইসঙ্গে তারা সিন্ডিকেটের প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার দাবিও জানান।
ঢাকা/লিখন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হল র ন ম সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ঈদ বোনাস ২৫ শতাংশ বাড়ছে
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ঈদ বোনাস ২৫ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে সরকার। আজ শনিবার ফেসবুকে এক পোস্টে এ তথ্য জানান যুব ও ক্রীড়া ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুদ পেজে তিনি লিখেছেন, বর্তমানে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা মূল বেতনের ২৫ শতাংশ হারে ঈদ বোনাস পেয়ে থাকেন। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ঈদুল আজহার বোনাস ২৫% থেকে বাড়িয়ে ৫০% করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
আগে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা উৎসব ভাতা পেতেন না। ২০০৩ সালের জুলাইয়ে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ড. এম ওসমান ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের উৎসব ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই বছরের অক্টোবর থেকে তা কার্যকর হয়। তখন সিদ্ধান্ত হয়, শিক্ষকদের দেওয়া হবে মূল বেতনের ৫০ শতাংশ। দুই ঈদে (অথবা পূজায়) ২৫ শতাংশ করে ভাগ করে তা দেওয়া হবে। সেই থেকে প্রতি ঈদে শিক্ষকরা ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা পান। কর্মচারীদের জন্য ওই সভায় শতভাগ বোনাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। দুই ঈদে ৫০ শতাংশ করে তা ভাগ করে দেওয়া হচ্ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এ বছরের ৫ মার্চ উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিদায় নেওয়ার আগে শিক্ষকদের উৎসব, বিনোদন, বাড়ি ভাড়াসহ অন্যান্য ভাতা বাড়ানোর একটি প্রস্তাবে সই করেন। এরপর এ নিয়ে কাজ শুরু করে মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের বাজেট শাখা থেকে জানায়, গত ঈদুল ফিতরে সারাদেশের প্রায় ৩০ হাজারের বেশি এমপিওভুক্ত বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা মিলে প্রায় ২৪০ কোটি টাকার উৎসব ভাতা দেওয়া হয়। এর মধ্যে শুধু স্কুল ও কলেজ ২০ হাজার ৫৬৭টি। এর সঙ্গে মার্চ/২০২৫ মাসের বেতন হিসেবে দেওয়া হয় ৮৮৩ কোটি ৫১ লাখ ৪ হাজার ৭৫০ টাকা।
ঈদ বোনাস বর্তমানের চেয়ে অন্তত ২৫ শতাংশ বাড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে শিক্ষকরা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ আর কর্মচারীরা ৭৫ শতাংশ বোনাস পেতে পারেন।