বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ‘জুলাই ৩৬’ হলের নাম পরিবর্তন নিয়ে গত ৯ জানুয়ারি রাতে হওয়া বিশৃঙ্খলায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।

রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডিশনাল রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওইদিন রাত ৯টা থেকে ১টা পর্যন্ত চলা ঘটনায় কতিপয় ছাত্রী হলের পূর্বের নাম বহাল রাখার দাবিতে আন্দোলন করে। এছাড়া কিছু ছাত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রাধ্যক্ষ ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করে আপত্তিকর পোস্ট ও মন্তব্য করেছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে।

এ ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ দিতে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ কমিটিকে দ্রুততম সময়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড.

জোয়াদ্দার ফারুক আহমেদ, সদস্য সচিব কৃষি সম্প্রসারণ শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ড. সোনিয়া সেহেলী এবং সদস্য জিটিআইয়ের অধ্যাপক ড. মো. মোজাম্মেল হক।

গত ৯ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাকৃবির শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ করেন হলটির আবাসিক শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের ‘মানি না, মানবো না’, ‘দাবি মোদের একটাই, হলের নাম ফেরত চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। 

বিক্ষোভে তারা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের পরিবর্তিত নাম ‘জুলাই ৩৬’ বাদ দিয়ে পূর্বের নাম বহাল রাখার দাবি জানান। একইসঙ্গে তারা সিন্ডিকেটের প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার দাবিও জানান।

ঢাকা/লিখন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হল র ন ম সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

এবার বিএসইসির সার্ভিলেন্স বিভাগে দুদকের অভিযান

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) আবারো অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানে সার্ভিলেন্স ও মনিটরিং বিভাগে এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে বলে দুদক সূত্র জানা গেছে।

সোমবার (১০ মার্চ) ঢাকার আগারগাঁওয়ে সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে বিএসইসির কার্যালয়ে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে এই অভিযান শুরু হয়েছে। দুইজন সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি টিম এই অভিযান পরিচালনা করছেন।

জানা গেছে, দুদকের তদন্ত দল প্রথমে এসেই বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরপর বিএসইসির সার্ভিলেন্স ও মনিটরিং বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগে অভিযান পরিচালনা করছেন।

এর আগে গত ২ মার্চ বিএসইসিতে অভিযান পরিচালনা করে দুদক। অভিযানকালে পাওয়া অনিয়মগুলো শিগগিরই কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে বলেও জানায় দুদক।

এর আগে অভিযানকালে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম ২০১০ সাল পরবর্তী দুই কমিশনের মেয়াদের অনিয়ম ও দুর্নীতির অনেক প্রমাণ পেয়েছেন বলে জানা গেছে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন কোম্পানির প্রসপেক্টাসে থাকা আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্যেও ম্যানিপুলেট করা হয়। আর্থিক অবস্থা দুর্বল থাকা কোম্পানিকে সবল দেখানো হয়। তারপর মার্কেটে ছাড়া হয় আইপিও। সেই কোম্পানি অব্যাহত প্রবৃদ্ধিও করেছে। তারপর একপর্যায়ে তাদের শেয়ারদর পড়তে শুরু করে। এতে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে বিভিন্ন সময় এসব কোম্পানির বিষয়ে সতর্ক করে সুপারিশ করা হলেও বিএসইসি তা আমলে নেয়নি। 

এছাড়া, প্রাইভেট প্লেসমেন্ট জালিয়াতি ও বাণিজ্য, অধিক মূল্যে শেয়ার প্রাইস নিয়ে মার্কেটে প্রবেশ ও অল্প সময়ে শেয়ার বিক্রি, প্রাইসের দ্রুত অবনমনের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ার বিষয়টিও পরিলক্ষিত হয়েছে বলে দুদক জানায়। 

দুদক জানিয়েছে, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনায় টিম আরো প্রত্যক্ষ করে যে দুর্বল কোম্পানিগুলোকে অবৈধভাবে অনুমোদন দেওয়ায় ক্যাপিটাল মার্কেটে প্রবেশের অল্পদিনেই তাদের লো পারফর্মিং কোম্পানি হিসেবে জেড ক্যাটাগরিভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া, জালিয়াতির মাধ্যমে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের প্রস্তুতকৃত উইন্ডো ড্রেসড ব্যালান্সশিট ও ফ্যাব্রিকেটেড আর্নিং রিপোর্ট ও ইস্যু ম্যানেজারের তৈরীকৃত ওভারভ্যালুড কোম্পানি প্রোফাইলের পরিপ্রেক্ষিতে অনিয়মের আশ্রয়ে বিএসইসি আইপিওর অনুমোদন দিয়েছে। প্রাপ্ত অনিয়মগুলোর বিষয়ে দুদক টিম প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে কমিশন বরাবর একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ