রাজধানীর টিকাটুলিতে মাইক্রোবাসচাপায় মরিয়ম আক্তার (৩১) নামে এক গৃহবধু নিহত হয়েছেন।

রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে টিকাটুলি রাজধানী সুপার মার্কেটের সামনের রাস্তায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় স্বজনরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মরিয়ম আক্তারের স্বামী মো.

স্বপন মিয়া জানান, তাদের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ উপজেলায়। বর্তমানে টিকাটুলি অভিসার সিনেমা হলের পাশে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন তারা। বাসার পাশেই পাশেই স্বপন স্টোর নামে একটি মুদি দোকান রয়েছে তার। তাদের ঘরে দুই সন্তান রয়েছে।

আরো পড়ুন:

সিলেটে ট্রাক-প্রাইভেটকার সংঘর্ষ, নিহত ৫

পিকআপের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু, আহত ২

মরিয়মের স্বামী স্বপন বলেন, “দুপুরে বাসা থেকে তার দোকানে এসেছিলেন মরিয়ম। সেখান থেকে বাজার করার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন তিনি। কিছু সময় পর মরিয়মের ফোন থেকে কল করে তাকে জানানো হয়, একটি মাইক্রোবাস মরিয়মকে চাপা দিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে স্বপন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, একটি মাইক্রোবাসকে স্থানীয় লোকজন ধরে রেখেছে এবং জানতে পারেন পথচারীরা মরিয়মকে ঢামেকে নিয়ে গেছেন।”

ঢামেকের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, টিকাটুলি এলাকা থেকে ওই নারীকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন স বপন

এছাড়াও পড়ুন:

ডাকাতির চেষ্টার অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতা আটক

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ডাকাতির চেষ্টার অভিযোগে মাকসুদ মজুমদার (৩৯) ও মনির হোসেন (৩৭) নামের দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

রবিবার (৯ মার্চ) দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের নবাবগঞ্জ গ্রামের সরকার বাড়ি থেকে পুলিশ তাদের আটক করে।

আটক মনিরের বাড়ি সুলতানগঞ্জ ও মাকসুদের বাড়ি নীলগঞ্জ গ্রামে। মাকসুদ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং মনির নীলগঞ্জ ইউনিয়নে স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক।

আরো পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক মাদকসহ আটক

বোনের বাড়িতে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, এবার দুলাভাই আটক

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রাতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ১০-১২ জনের একটি ডাকাতদল সরকার বাড়িতে প্রবেশ করে। ওই বাড়িতে ৭-৮টি ঘর রয়েছে। ডাকাতদল ওই বাড়ির নীল কান্তি সরকারের ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় পার্শ্ববর্তী ঘরের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে ৯৯৯ নম্বরে কল করেন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ গিয়ে ওই ঘর থেকে দুজনকে আটক করে। এ সময় পালিয়ে যায় বাকিরা।

সরকার বাড়ির মিঠুন সরকার বলেন, ‘‘১০-১২ জনের ডাকাতদল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে। প্রথমে আমার ঘরের সামনে গিয়ে দরজায় লাথি মারে। এ সময় জানালা দিয়ে লাইট মেরে তাদের হাতে অস্ত্র দেখতে পাই। পরে তারা আমার ঘরের কাছ থেকে সরে গিয়ে নালিকান্তি সরকারের ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় বাড়ির সবাই একত্রিত হয়ে তাদের ওই ঘরের মধ্যে আটকে ফেলি। এর আগে, প্রতিবেশীরা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেয়।’’

কলাপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জুয়েল ইসলাম বলেন, ‘‘আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এর মধ্যে, মাকসুদ আগে থেকেই পুলিশের সন্দেহেরে তালিকায় ছিল।’’

ঢাকা/ইমরান/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ