বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহার, সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে গাইবান্ধায় সমাবেশ করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।

রবিবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা শহরের ডিবি রোডের গানাসাস মার্কেটের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 

বাম গণতান্ত্রিক জোট গাইবান্ধা জেলা সমন্বয়ক মোস্তাফিজুর রহমান মুকুলের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন- বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড মিহির ঘোষ, বাসদ মার্কসবাদী গাইবান্ধা জেলা আহ্বায়ক কমরেড আহসানুল হাবীব সাঈদ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের গাইবান্ধা জেলা সম্পাদক কমরেড রেবতী বর্মন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) জেলা আহ্বায়ক গোলাম রব্বানী।

বক্তারা বলেন, দুর্নীতি, লুটপাট, মামলা-হামলা, বাজার সিন্ডিকেট, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, ভোটাধিকার হরণসহ নানা অপকর্মের কারণে বিগত সরকারের পতন হয়েছিল। এসব থেকে মুক্তির আকাঙ্খায় মানুষ রাস্তায় নেমেছিল। অন্তর্বর্তী সরকারের পাঁচ মাস অতিবাহিত হয়েছে। এরই মধ্যে মানুষের আকাঙ্খার বিপরীত কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে। তারা সিন্ডিকেট ভাঙার বদলে নিত্যপণ্যের ওপর ভ্যাট আরোপ করেছে। নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা না করে মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়। 

বক্তারা প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণার দাবি জানান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে। 

সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন নেতারা। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

ঢাকা/মাসুম/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ম গণত ন ত র ক জ ট

এছাড়াও পড়ুন:

সৎ মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় সৎ মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে আনোয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর পাশাপাশি তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক সাবেরা সুলতানা খানম এ রায় ঘোষণা করেছেন।

রায় ঘোষণার আগে আনোয়ার হোসেনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিমের মাকে তালাক দেন তার বাবা। এরপর ২০১৫ সালে আনোয়ার হোসেনকে বিয়ে করেন ভিকটিমের মা। দুই সন্তানকে নিয়ে মাদারীপুরে বাবার বাড়িতে থাকতেন তিনি। আনোয়ার হোসেন একা সংসার চালাতে পারছিলেন না। ভিকটিমের মা ঢাকায় এসে গৃহকর্মীর কাজ শুরু করেন। তার দ্বিতীয় সংসারে ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। তাকে দেখাশোনার জন্য কেউ ছিল না। আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে কথা বলে ভিকটিমকে ঢাকায় নিয়ে আসেন তার মা। হঠাৎ ভিকটিমের মাকে আনোয়ার হোসেন জানিয়ে দেন, তিনি সংসারের খরচ দিতে পারবেন না। সন্তানদের কথা চিন্তা করে আনোয়ার হোসেনকে ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর তালাক দেন ভিকটিমের মা। ৪ আগস্ট বাসায় এসে আনোয়ার হোসেন ভয় দেখিয়ে সৎ মেয়েকে ধর্ষণ করেন।

এ ঘটনায় ভিকটিমের মা ২০ সেপ্টেম্বর আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় মামলা করেন। মামলা তদন্ত করে ২০২৩ সালের ১ এপ্রিল হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ছয় জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

ঢাকা/মামুন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ