ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে মোটরসাইকেলে চড়ে রক্ত দিতে গিয়ে ছিলেন শিহাব উদ্দিন (২৫) ও বোরহান উদ্দিন (২৪) নামে আপন দুই চাচাতো ভাই। তবে পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় দুই ভাইয়ের। 

রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে নবীনগর কোম্পানীগঞ্জ সড়কের আলীয়াবাদ এলাকায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত শিহাব উপজেলার আলীয়াবাদ গ্রামের রফিক মিয়ার ছেলে, বোরহান উদ্দিন একই এলাকার ফরিদ মিয়ার ছেলে।

নবীনগর উপজেলায় ব্লাডগ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা আজহারুল জানান, শিহাব ও বোরহান অতন্ত ভদ্র ও নম্র ছিলেন। এই দুইজন মানুষের বিপদে যেকোন অবস্থায় ছুটে যেতেন। আজ সকালে কম্পানিগঞ্জে এক রোগীকে মোটরসাইকেলযোগে রক্ত দিতে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় শিহাবের মৃত্যু হয়। গুরুতর অবস্থায় ঢাকা নেওয়ার পথে বোহানের মৃত্যু হয়।

নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক ইলিয়াস আহম্মেদ জানান, ঘটনাস্থলেই মারা যায় শিহাব। ঢাকা নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় বোরহানের।

নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘‘শিহাব ঘটনাস্থলে ও বোরহানকে ঢাকা নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়। দুজনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।”

ঢাকা/রুবেল/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কে এই আনিসুজ্জামান চৌধুরী

প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে আজ সোমবার নিয়োগ পেয়েছেন বিশিষ্ট গবেষক আনিসুজ্জামান চৌধুরী। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, প্রধান উপদেষ্টাকে সহায়তা করবেন তিনি। তবে কাজ করবেন অর্থ মন্ত্রণালয়ে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আনিসুজ্জামান চৌধুরীকে প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। বিশেষ সহকারী পদে থাকাকালে তিনি প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা, বেতন-ভাতা ও আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অর্থ মন্ত্রণালয়ে কীভাবে যুক্ত থাকবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আনিসুজ্জামান চৌধুরী যোগ্য ব্যক্তি। পুঁজিবাজার, আর্থিক খাতের সংস্কার, স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর ইত্যাদি বিষয় তিনি গুরুত্ব নিয়ে দেখবেন। কাল (মঙ্গলবার) তাঁর কার্যপরিধি (টিওআর) ঠিক করা হতে পারে।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। তিনি অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় ব্যাচের ছাত্র। পরে কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবা থেকে পিএইচডি ও এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন আনিসুজ্জামান চৌধুরী।

জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ আনিসুজ্জামান চৌধুরী প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় আজ সোমবার অনুষ্ঠিত ‘বিদেশে পাচারকৃত অর্থ পুনরুদ্ধার: গৃহীত পদক্ষেপ, চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ বিষয়ক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তিনি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক বিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরামর্শক হিসেবে কাজ করে আসছিলেন এত দিন।

আনিসুজ্জামান চৌধুরী ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটির স্কুল অব সোশ্যাল সায়েন্সেস অ্যান্ড সাইকোলজি এবং অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্স ফোর্স একাডেমি, ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলসের স্কুল অব বিজনেসে একযোগে অতিথি শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ও থাইল্যান্ডের ব্যাংককে জাতিসংঘের শীর্ষ পদে ২০০৮-১৬ সময়ে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০০১-১২ সময়ে ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটিতে ছিলেন অর্থনীতির শিক্ষক। সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব নিউ ইংল্যান্ড (অস্ট্রেলিয়া) এবং কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবায় শিক্ষকতা করেন তিনি।

‘জার্নাল অব দ্য এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনমি’র প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুজ্জামান চৌধুরী। তিনি ১৯৯৫-০৮ সময়ে এ দায়িত্বে ছিলেন। এর সম্পাদকীয় পরিষদের সহসম্পাদক হিসেবে এখনো যুক্ত তিনি। ইকোনমিক অ্যান্ড লেবার রিলেশনস রিভিউর সম্পাদকীয় পরিষদেও তিনি আছেন।

পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অর্থনীতি এবং ম্যাক্রো-ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গবেষণা আছে আনিসুজ্জামান চৌধুরীর। তাঁর ৩০টির মতো বই রয়েছে এবং আন্তর্জাতিক মানের পত্রিকায় ১০০-এর বেশি জার্নাল প্রকাশিত হয়েছে।

জানতে চাইলে আনিসুজ্জামান চৌধুরী আজ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, দেশের জন্য অনেক কাজ করার আছে। কাল অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি এবং তাঁর পরামর্শ নিয়েই কাজের অগ্রাধিকার ঠিক করবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ