ভারত থেকে এলো ১৬ হাজার ৪০০ টন চাল
Published: 2nd, February 2025 GMT
উন্মুক্ত আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ভারত থেকে আমদানি করা ১৬ হাজার ৪০০ টন চাল নিয়ে বাগেরহাটের মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে দুটি বাণিজ্যিক জাহাজ। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে জাহাজ দুটি বন্দরে নোঙর করে।
ভারতের ধামরা বন্দর থেকে ৭ হাজার ৭০০ টন চাল নিয়ে আসা পানামা পতাকাবাহী জাহাজ ‘বিএমসি আলফা’ বন্দরের ৭ নম্বর মুরিং বয়ায় নোঙর করেছে। আর থাইল্যান্ডের পতাকাবাহী ‘এমভি সি ফরেস্ট’ জাহাজটি ৮ হাজার ৭০০ টন চাল নিয়ে ফেয়ারওয়ে বয়ায় অবস্থান করছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-সচিব মো.
আরো পড়ুন:
ভিয়েতনাম থেকে কেনা হচ্ছে এক লাখ মেট্রিক টন চাল
টাঙ্গাইলে ওএমএসের চাল বাজারে বিক্রি
জাহাজ দুটির শিপিং এজেন্ট ম্যাঙ্গো শিপিং লাইনসের ব্যবস্থাপক সিদ্দিকুর রহমান জালাল বলেন, দাপ্তরিক প্রক্রিয়া শেষে দ্রুততম সময়ের মধ্যে খালাস কার্যক্রম শুরু হবে।
মোংলা বন্দর এলাকার সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুস সোবাহান জানান, এটি ভারত থেকে উন্মুক্ত আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে আমদানি করা চালের দ্বিতীয় চালান। আজ রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) ভৌত পরীক্ষার জন্য আমদানি করা চালের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামীকাল (৩ ফেব্রুয়ারি) খালাস শুরু হবে।
তিনি আরো জানান, গত ২০ জানুয়ারি ভিয়েতনামের পতাকাবাহী ‘এমভি পুথান-৩৬’ জাহাজে ৫ হাজার ৭০০ টন চাল মোংলা বন্দরে আসে, যা এ দরপত্রের প্রথম চালান ছিল।
ঢাকা/শহিদুল/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
১ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ও ১০ হাজার টন মসুর ডাল কিনবে সরকার
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ফ্যামিলি কার্ডধারীদের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির জন্য ১ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ও ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কিনবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে দুটি ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এসব তেল ও ডাল কিনতে মোট ব্যয় হবে ২৮০ কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকা।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটির সভায় প্রস্তাবগুলোতে অনুমোদন দেওয়া হয়। এ সময় কমিটির সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল (৫০ কেজির বস্তায়) ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী ১ কোটি পরিবারের কাছে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির লক্ষ্যে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে চারটি দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। তার মধ্যে তিনটি দরপ্রস্তাব কারিগরিভাবে ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপ্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশ অনুযায়ী রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান শেখ অ্যাগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ এসব মসুর ডাল সরবরাহ করবে। প্রতি কেজি ৯২.৭৫ টাকা হিসেবে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কিনতে ব্যয় হবে ৯২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে মসুর ডাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৮৮ হাজার মেট্রিক টন। এ পর্যন্ত ১ লাখ ৫২ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অপর এক প্রস্তাবে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী ১ কোটি পরিবারের কাছে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির লক্ষ্যে ২ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ১ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল সরবরাহের জন্য মাত্র একটি দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। দরপ্রস্তাবটি আর্থিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপ্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশ অনুযায়ী রেসপনসিভ একমাত্র দরদাতা প্রতিষ্ঠান থাইল্যান্ডের লাইফ অ্যান্ড হেলথ (থাইল্যান্ড) এসব তেল সরবরাহ করবে। প্রতি লিটার ১৫৬.১৬ টাকা হিসেবে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনতে ব্যয় হবে ১৮৭ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার টাকা।
দরপত্রে ২ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল সরবরাহের চাহিদা থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি ১ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল সরবরাহের আগ্রহ প্রকাশ করে।
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ভোজ্য তেল কেনার লক্ষ্যমাত্রা ২৮ কোটি লিটার। এ পর্যন্ত কেনা হয়েছে ১৫ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার লিটার।
ঢাকা/হাসনাত/রফিক