রেমিট্যান্স পাঠানোর তালিকায় শীর্ষে যেসব দেশ
Published: 2nd, February 2025 GMT
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে দেশে রেমিট্যান্স আসার শীর্ষে রয়েছে আমেরিকা। এ দেশ থেকে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। এছাড়া অন্য যেসব দেশ থেকে রেমিট্যান্স এসেছে সেগুলোর তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইউনাইটেড আরব আমিরাত (ইউএই), তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে সৌদি আরব। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ডিসেম্বর মাসে রেমিট্যান্স পাঠানোর শীর্ষে থাকা আমেরিকা থেকে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৫৬ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬ মাসে আমেরিকা থেকে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২৪৯ কোটি ৫৫ লাখ মার্কিন ডলার। এরপরের অবস্থানে থাকা ইউনাইটেড আরব আমিরাত থেকে ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৭ কোটি মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে এসেছে ২০২ কোটি ৭৪ লাখ মার্কিন ডলার। এছাড়া সৌদি আরব থেকে ডিসেম্বর মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২৯ কোটি মার্কিন ডলার।
রেমিট্যান্স পাঠানোর তালিকায় শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে রয়েছে-মালয়েশিয়া, দেশটি থেকে ডিসেম্বরে ২৫ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যুক্তরাজ্য থেকে ২৪ কোটি ৮৪ লাখ, ওমান থেকে ১৫ কোটি , কুয়েত থেকে ১৩ কোটি ১৬ লাখ, ইতালি থেকে ১১ কোটি ১০ লাখ, কাতার থেকে ১০ কোটি ১৮ লাখ এবং সিঙ্গাপুর থেকে ৮ কোটি ১৪ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
আরো পড়ুন:
টিসিবির ১ কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর ৩৭ লাখই ভুয়া: বাণিজ্য উপদেষ্টা
চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর কার কত মুনাফা
ঢাকা/এনএফ/এসবি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ম ট য ন স এস ছ
এছাড়াও পড়ুন:
চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে বিদেশি ঋণ শোধ ৩০০ কোটি ডলার ছাড়াল
চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই–মার্চ) বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল বাবদ ৩২১ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে, যা গত অর্থবছরের পুরো সময়ের প্রায় সমান। গত অর্থবছরে (২০২৩–২৪) মোট ৩৩৭ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে হয়েছে। এর মানে হলো, এবার প্রথম ৯ মাসেই গত অর্থবছরের কাছাকাছি ঋণ পরিশোধ হয়ে গেছে।
আজ বুধবার বিকেলে প্রকাশিত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তৈরি জুলাই–মার্চ মাসের বিদেশি ঋণ পরিস্থিতির হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে। সেখানে বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধের এই তথ্য পাওয়া গেছে।
ইআরডির তথ্য অনুসারে, ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই–মার্চ) দেশে মোট প্রায় ৪৮১ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ বিদেশি ঋণ এসেছে। এ সময়ে ঋণের সুদাসল পরিশোধ করতে হয়েছে অর্থছাড়ের প্রায় দুই–তৃতীয়াংশের সমান।
অন্যদিকে আলোচ্য ৯ মাসে বিদেশি ঋণ বাবদ পরিশোধের মধ্যে আসলের পরিমাণ ২০১ কোটি ডলার। আর সুদ বাবদ ১২০ কোটি ডলার পরিশোধ হয়েছে। ২০২৩–২৪ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ২৫৭ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছিল। এক বছরের ব্যবধানে ৬৪ কোটি ডলার বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে বাংলাদেশ সরকারকে।
এদিকে গত জুলাই–মার্চ সময়ে ৩০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ বিদেশি সহায়তার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ, যা গতবারের একই সময়ে পাওয়া প্রতিশ্রুতির অর্ধেকের কম। গত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ৭২৪ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গিয়েছিল।
জুলাই–মার্চ সময়ে সবচেয়ে বেশি ১২২ কোটি ডলার ছাড় করেছে এডিবি। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংক ১০৭ কোটি ডলার ও জাপান ৮৯ কোটি ডলার দিয়েছে।