সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়ে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে সড়কে নামা গণঅভ্যুত্থানে আহতরা শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় ‘আন্দোলনে বিরতি’ দিয়েছেন। সন্ধ্যা ৫টা ৫৭ মিনিটে আন্দোলনকারীরা তাদের অবস্থান ত্যাগ করলে ৮ ঘণ্টা পর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। 

এর আগে তারা রাজধানীর শ্যামলীর শিশুমেলা মোড় অবরোধ করেছিলেন।

আন্দোলনকারীদের অন্যতম মুখপাত্র মোহাম্মদ শরীফ বলেন, ‘‘মাগরিবের আজান এবং সকলের শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় সাময়িক বিরতিতে যাচ্ছি আমরা। বিরতি শেষে আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি জানিয়ে দেব।’’

আরো পড়ুন:

সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আহত আন্দোলনকারীদের আল্টিমেটাম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিজয় র‍্যালি, ব্যানারে ‘৪৭-৭১-২৪’

এর আগে, বিকেলে মোহাম্মদ শরীফ বলেছিলেন, “আমাদের দুজন সহযোদ্ধা আহত হওয়ায় ৪টার পরিবর্তে ৬টা পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিলাম। এর মধ্যে যদি কোনো উপদেষ্টা দেখা না করেন, তাহলে আমরা সচিবালয় নয়, সরাসরি প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ঘেরাও করতে যাব।’’

দরকার হলে কেউ শরীরে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার পথ বেছে নেবেন— এমন হঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি।

ঢাকা/সুকান্ত/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

ড. ইউনূসের নেতৃত্ব বাংলাদেশের জন্য সমৃদ্ধি বয়ে আনবে: আমিরাতের রাষ্ট্রপতি

সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ দেশটির রাষ্ট্রপতি শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের কাছে তাঁর পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। এ সময় উভয় দেশের জনগণের জন্য শান্তি কামনাসহ আমিরাতের রাষ্ট্রপতি শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্ব বাংলাদেশের জন্য সমৃদ্ধি বয়ে আনবে। 

বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকারের উদ্যোগে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের পরিচয়পত্র পেশ উপলক্ষে আবুধাবির কাসর আল ওয়াতানে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে অন্যান্য দেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতগণও তাদের পরিচয়পত্র পেশ করেন। 

বাংলাদেশ দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আমিরাতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে এক সংক্ষিপ্ত মতবিনিময়ের সুযোগে দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি তাঁর সদয় অনুভূতির জন্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা তুলে ধরার পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ, দৃঢ় ও দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের ভিত্তিতে চলমান সহযোগিতা আরো জোরদার করার বিষয়ে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ পুনর্ব্যক্ত করেন।

একইসঙ্গে আমিরাতের রাষ্ট্রপতি শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান বন্ধুত্বপূর্ণ দুই দেশের স্বার্থের উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধির প্রতি তার আগ্রহও জ্ঞাপন করেন। সবশেষে তিনি তাঁর শুভকামনা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে পৌঁছানোর জন্য রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেন।

একই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ ছাড়াও গুয়াতেমালা, দক্ষিণ সুদান, কিরগিজস্তান, পূর্ব তিমুর, তুরস্ক, টুভালু, ইসরায়েল, পানামা, কিংডম অব স্পেন, চাদ, জর্জিয়ার রাষ্ট্রদূতগণ তাদের পরিচয়পত্র পেশ করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ