সমালোচনা ও বিতর্কের মাঝেও জমজমাটভাবে শেষ হয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) লিগ পর্ব। উত্তেজনায় ঠাসা গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে সেরা চারের দল নির্ধারণের জন্য।

এবারের বিপিএলের লিগ পর্ব ছিল অনিশ্চয়তায় ভরা। রংপুর রাইডার্স টানা আট ম্যাচ জিতে সবার আগে প্লে-অফ নিশ্চিত করলেও শীর্ষ দুইয়ে থাকতে পারেনি, ফলে তাদের খেলতে হবে এলিমিনেটর ম্যাচ। অন্যদিকে টুর্নামেন্টের মাঝপথে শঙ্কায় থাকা চিটাগং কিংস ঘুরে দাঁড়িয়ে কোয়ালিফায়ারে জায়গা করে নিয়েছে। খুলনা টাইগার্সও শেষ ম্যাচে এসে নিশ্চিত করেছে সেরা চারে জায়গা।

প্লে-অফের সূচি:

এলিমিনেটর ম্যাচ: রংপুর রাইডার্স ও খুলনা টাইগার্স মুখোমুখি হবে সোমবার দুপুর ১:৩০টায় মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এই ম্যাচে হারলেই বিদায় নিতে হবে, আর জয়ী দল খেলবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে।

প্রথম কোয়ালিফায়ার: সোমবার সন্ধ্যা ৬:৩০টায় মাঠে নামবে ফরচুন বরিশাল ও চিটাগং কিংস। এই ম্যাচের জয়ী দল সরাসরি ফাইনালে উঠবে, আর হারা দল দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খেলার সুযোগ পাবে।

দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার: প্রথম কোয়ালিফায়ারে হারা দল ও এলিমিনেটর জয়ী দলের মধ্যে বুধবার অনুষ্ঠিত হবে এই ম্যাচ। জয়ী দল জায়গা করে নেবে ফাইনালে।

গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস, দুর্বার রাজশাহী ও সিলেট স্ট্রাইকার্স। এখন সেরা চার দল লড়বে ট্রফির জন্য, দেখার অপেক্ষা কে হাসবে শেষ হাসি!

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন রোডম্যাপ বাস্তবায়ন জরুরি: বাণিজ্য উপদেষ্টা 

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, “স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন রোডম্যাপ বাস্তবায়ন করা জরুরি। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের দক্ষতা ও প্রতিযোগী মনোভাব তৈরি করতে হবে।”

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রয়ারি) দুপুরে ঢাকার বিয়াম ফাউন্ডেশনের মাল্টিপারপাস হলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ন্যাশনাল ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন কমিটির (এনটিএফসি) অষ্টম সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়-সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সভায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সেতু বিভাগের সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব),বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান, এফবিসিসিআইর প্রশাসক, স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবসহ (এফটিএ) কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “আমরা ২০২৬ সালের নভেম্বরে এলডিসি গ্র্যাজুয়েট হতে যাচ্ছি। এই গ্র্যাজুয়েশনের কারণে সামনে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে আমাদের ওপর বিভিন্ন নিয়ম আসবে। এতে আমাদের অর্থনীতিতে যে ধাক্কাটা আসবে, তা থেকে পরিত্রাণের নিয়ামক হচ্ছে সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। এ কারণে আমাদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে হবে দক্ষতার মাধ্যমে। আর কোনো বিকল্প নেই।”

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “২০৩০ সাল পর্যন্ত আমাদের সময় আছে। আমি মনে করি, এটা দীর্ঘ সময়। যদি ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে আমরা গ্রাজুয়েট করি, আমি মনে করি, আমাদের ওয়ার্কিং গ্রুপগুলো একসাথে কাজ করলে একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ সম্ভব।”

লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, “আমাদের একটি সুনির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে। সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। পাশাপাশি, ব্যবসা সহজ করতে হবে। আমরা সমন্বয় ও সহযোগিতা বাড়াতে চাই।”

ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন এগ্রিমেন্টের মূল উদ্দেশ্য— বাণিজ্য উদারীকরণের স্বার্থে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্কিত বিধি-বিধান ও কর্মপদ্ধতি পর্যালোচনা করে আমদানি ও রপ্তানি পণ্যের প্রসার ও চলাচল ত্বরান্বিত করা।

ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন এগ্রিমেন্টের আওতায় গৃহীত কার্যক্রমকে তিনটি (এ, বি, সি) ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়। এ ক্যাটাগরির ২১টি কার্যক্রমের বাস্তবায়ন সংক্রান্ত নোটিফিকেশন ২০১৮ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ডব্লিউটিওতে পাঠানো হয়। বি ক্যাটাগরির ১৮টি কার্যক্রম বাস্তবায়নের ভিন্ন ভিন্ন সময়সীমা নির্ধারিত ছিল। বি ক্যাটাগরির কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বাস্তবায়ন-সংক্রান্ত নোটিফিকেশন ভিন্ন ভিন্ন তারিখে ডব্লিউটিওতে পাঠানো হয়। সি ক্যাটাগরির ১৫টি কার্যক্রম বাস্তবায়নের সর্বশেষ সময়সীমা ২০৩০ সালের ৩০ জুন। ইতোমধ্যে সি ক্যাটাগরির পাঁচটি কার্যক্রম বাস্তবায়ন হয়েছে এবং এ- সংক্রান্ত নোটিফিকেশন ডব্লিউটিওতে পাঠানো হয়েছে। অবশিষ্ট ১০টি কার্যক্রম চলমান আছে।

ঢাকা/হাসনাত/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন রোডম্যাপ বাস্তবায়ন জরুরি: বাণিজ্য উপদেষ্টা 
  • অবৈধ বিদেশিদের বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে টাস্কফোর্স গঠন