অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যাক টু ব্যাক চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারতের মেয়েরা। আজ রোববার (০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার কিশোরীদের ৯ উইকেটের ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়ে শিরোপা জিতে নেয় ভারতের মেয়েরা।
টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা আগে ব্যাট করতে নামে। ২০ ওভারে মাত্র ৮২ রানে অলআউট হয় তারা। জবাব দিতে নেমে ১১.
রান তাড়া করতে নেমে ৩৬ রানেই প্রথম উইকেট হারায় ভারতের মেয়েরা। কমলিনি ১৩ বলে ১ চারে ৮ রান করে ফেরেন সাজঘরে। তাতে মনে হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা হয়তো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিবে ভারতকে। কিন্তু এরপর গঙ্গাদী তৃষা ও সানিকা চালকে দ্বিতীয় উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৭৬ রানের জুটি গড়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। তৃষা ৩৩ বলে ৮ চারে ৪৪ রানে ও সানিকা ২২ বলে ৪ চারে ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
আরো পড়ুন:
হোটেলবন্দী বার্ল-হারিসরা, পাচ্ছেন না দেশে ফেরার টিকিট
জাতীয় দলের নির্বাচক হান্নান সরকারের পদত্যাগ
তার আগে ভারতের বোলিং তোপে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে প্রোটিয়া মেয়েরা। তাদের মধ্যে কেবল চারজন দুই অঙ্কের কোটায় রান করতে পারেন। তার মধ্যে মিকে ফন ভ্রস্ট ১৮ বলে ৩ চারে ২৩ রান করেন। উদ্বোধনী ব্যাটার জেমা বোথা ১৪ বলে ৩ চারে করেন ১৬ রান। এছাড়া ফেই কাউলিং ১৫ ও কারাবো মেসো করেন ১০ রান।
বল হাতে ভারতের তৃষা ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট নেন পারুনিকা সিসোদিয়া, আয়ুশি শুক্লা ও বৈষ্ণবী শর্মা।
ব্যাট হাতে অপরাজিত ৪৪ ও বল হাতে ১৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন ভারতের গঙ্গাদী তৃষা। শুধু তাই নয়, টুর্নামেন্ট জুড়ে ৩০৯ রান ও ৭ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কারও জিতে নেন তিনি।
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
তুরস্কের পর্যটন আয় রেকর্ড ৬১১০ কোটি ডলার
বিদায়ী ২০২৪ সালে প্রাক-কভিড স্তরের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বৈশ্বিক পর্যটন খাত। এ সময় প্রধান পর্যটন গন্তব্যগুলো আগের বছরের তুলনায় বেশি দর্শনার্থী পেয়েছে। এর সুফল পেয়েছে এশিয়া ও ইউরোপের সংযোগস্থল তুরস্ক। দেশটি এ সময় পর্যটন থেকে ৬ হাজার ১১০ ডলার আয় করেছে। খবর আনাদোলু।
এ বিষয়ে তুরস্কের সরকারী পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সালে দেশটিতে আতিথেয়তা নিয়েছে ৫ কোটি ২৬ লাখ আন্তর্জাতিক পর্যটক, যা আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ বেশি।
আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য বরাবরই শীর্ষ গন্তব্য থাকে তুরস্কের সবচেয়ে জনবহুল শহর ইস্তানবুল। ২০২৪ সালেও তাই হয়েছে। এ শহর পেয়েছে ১ কোটি ৮৬ লাখ দর্শনার্থী।
উপকূলীয় রিসোর্ট শহর অ্যান্টালিয়া ছিল দ্বিতীয় স্থানে। শহরটি ২০২৪ সালে ১ কোটি ৫৯ লাখ বিদেশী দর্শনার্থীকে স্বাগত জানিয়েছে।
পর্যটন আকর্ষণে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বুলগেরিয়া ও গ্রিসের সঙ্গে সীমান্তবর্তী উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ এডিরন। এখানে এসেছে ৪৮ লাখ দর্শনার্থী। এজিয়ান সাগরতীরবর্তী মুগলায় ভ্রমণ করেছে ৩৭ লাখ বিদেশী।
২০২৪ সালে তুরস্কের বিদেশী দর্শনার্থীদের মধ্যে এগিয়ে ছিল রাশিয়া থেকে আগতরা, যা মোট পর্যটকের ১২ দশমিক ৮ শতাংশ। আগের বছরের তুলনায় ৬ শতাংশ বেড়ে এ সময় তুরস্কে ভ্রমণ করেছে ৬৭ লাখ রুশ। জার্মান পর্যটক ৬ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৬৬ লাখ। এরপর রয়েছে ব্রিটিশরা ৪৪ লাখ (১৬ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি), ইরানি ৩২ লাখ (৩০ দশমিক ৯ শতাংশ) ও বুলগেরিয়ান ২৯ লাখ (দশমিক ৯ শতাংশ বৃদ্ধি)।
তুর্কি পরিসংখ্যান ইনস্টিটিউট (টার্কস্ট্যাট) প্রকাশিত আলাদা পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৪ সালে তুরস্কের পর্যটন আয় ১৮ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৬ হাজার ১১০ কোটি ডলার।
এনজে