Risingbd:
2025-03-09@23:43:35 GMT

ব্যাক টু ব্যাক চ্যাম্পিয়ন ভারত

Published: 2nd, February 2025 GMT

ব্যাক টু ব্যাক চ্যাম্পিয়ন ভারত

অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যাক টু ব্যাক চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারতের মেয়েরা। আজ রোববার (০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার কিশোরীদের ৯ উইকেটের ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়ে শিরোপা জিতে নেয় ভারতের মেয়েরা।

টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা আগে ব্যাট করতে নামে। ২০ ওভারে মাত্র ৮২ রানে অলআউট হয় তারা। জবাব দিতে নেমে ১১.

২ ওভারে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে দাপুটে জয় তুলে নেয় ভারত। অক্ষুন্ন রাখে দুই বছর আগে জেতা শিরোপা।

রান তাড়া করতে নেমে ৩৬ রানেই প্রথম উইকেট হারায় ভারতের মেয়েরা। কমলিনি ১৩ বলে ১ চারে ৮ রান করে ফেরেন সাজঘরে। তাতে মনে হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা হয়তো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিবে ভারতকে। কিন্তু এরপর গঙ্গাদী তৃষা ও সানিকা চালকে দ্বিতীয় উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৭৬ রানের জুটি গড়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। তৃষা ৩৩ বলে ৮ চারে ৪৪ রানে ও সানিকা ২২ বলে ৪ চারে ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন।

আরো পড়ুন:

হোটেলবন্দী বার্ল-হারিসরা, পাচ্ছেন না দেশে ফেরার টিকিট

জাতীয় দলের নির্বাচক হান্নান সরকারের পদত্যাগ

তার আগে ভারতের বোলিং তোপে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে প্রোটিয়া মেয়েরা। তাদের মধ্যে কেবল চারজন দুই অঙ্কের কোটায় রান করতে পারেন। তার মধ্যে মিকে ফন ভ্রস্ট ১৮ বলে ৩ চারে ২৩ রান করেন। উদ্বোধনী ব্যাটার জেমা বোথা ১৪ বলে ৩ চারে করেন ১৬ রান। এছাড়া ফেই কাউলিং ১৫ ও কারাবো মেসো করেন ১০ রান।

বল হাতে ভারতের তৃষা ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট নেন পারুনিকা সিসোদিয়া, আয়ুশি শুক্লা ও বৈষ্ণবী শর্মা।

ব্যাট হাতে অপরাজিত ৪৪ ও বল হাতে ১৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন ভারতের গঙ্গাদী তৃষা। শুধু তাই নয়, টুর্নামেন্ট জুড়ে ৩০৯ রান ও ৭ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কারও জিতে নেন তিনি।

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উইক ট ন

এছাড়াও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল কর্মী নিহত

নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া বালুর মাঠ এলাকায় ছুরিকাঘাতে অপূর্ব নামের এক ছাত্রদল কর্মী নিহত হয়েছেন। তিনি পঞ্চবটির বিসিক শিল্পনগরীর টি-শার্ট গার্মেন্টসের শ্রমিক ছিলেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে আয়োজিত ছাত্রদলের মিছিল শেষে রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছাত্রদল কর্মীরা সম্রাট নামের একজনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা নিহত ও হামলাকারী দুইজনকেই ছাত্রদল কর্মী বললেও, স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, হামলাকারী বিএনপির কেউ না। তাদের কর্মসূচি বানচাল করতে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও বিএনপির কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া মোহাম্মদ ইয়ামিন জানান, ধর্ষণের প্রতিবাদে ছাত্রদলের মিছিলের কর্মসূচি শেষ করে তারা চাষাড়াস্থ শহীদ মিনারের পেছন দিয়ে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় তিনি দেখতে পান, পপুলারের পেছন দিকে নিহত অপূর্ব ও হামলাকারী সম্রাটের মধ্যে বাকবিতণ্ডা চলছে। এক পর্যায়ে দুইজনের মধ্যে হাতাহাতি লেগে যায়। এসময় তিনি অপূর্বকে মাটিতে পড়ে যেতে দেখেন। পরে তার বুকে ছুরিবিদ্ধ দেখতে পান।

তিনি জানান, হামলার পরে সম্রাট পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাকে ধরে গণপিটুনি দেয়। তাকে ছাড়িয়ে নিতে তার ভাই আসলে তাকেও গণপিটুনি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে সম্রাটকে উদ্ধার করে। এসময় অপূর্বকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ও সম্রাটকে পুলিশ নারায়ণগঞ্জ তিনশ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক অপূর্বকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের বাবা মাসদাইর জামালের গ্যারেজ এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ খোকন ও নিহতের স্ত্রী সাথী আক্তার জানান, নিহত যুবক বিসিকের টি-শার্ট গার্মেন্টসের শ্রমিক। তিনি ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবচেয়ে ছোট ছিলেন। তাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার জাবুটিয়া গ্রামে। কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা তারা বুঝতে পারছেন না।

হাসপাতালে সম্রাট হোসেন নিজেকে নির্দোষ দাবি করে জানান, যারা হামলা করেছিল তারা চলে গেছে। তিনি শহীদ মিনারের পাশের বেইলি টাওয়ারের একটি ফাস্টফুডের দোকানের কর্মচারী।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু জানান, সারাদেশে ধর্ষণের বিভিন্ন ঘটনার প্রতিবাদে ধর্ষণকারীদের বিচারের দাবিতে ছাত্রদলের মিছিলে নিহত অপূর্ব এসেছিল। যে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে তিনি বিএনপির কেউ না। আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তাদের কর্মসূচি বাতিল করতে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।        

সম্পর্কিত নিবন্ধ