বিপিএলে প্লে-অফের আগে ব্যাটে-বলে সেরা যারা
Published: 2nd, February 2025 GMT
বিতর্কের ছায়া থাকলেও মাঠের লড়াই জমজমাটই ছিল এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল)। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে গ্রুপ পর্ব, সামনে প্লে-অফের লড়াই। তবে দলগুলোর চূড়ান্ত লড়াইয়ের পাশাপাশি ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সেও খেলোয়াড়দের প্রতিযোগিতা ছিল নজরকাড়া।
ব্যাট হাতে এবারের আসরে দারুণ পারফর্ম করেছেন দেশি ক্রিকেটাররা। শীর্ষ পাঁচ রান সংগ্রাহকের মধ্যে প্রথম চারজনই বাংলাদেশি। তবে তাদের মধ্যে তিনজনের দল বিদায় নিয়েছে গ্রুপ পর্ব থেকেই। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তানজিদ হাসান তামিমের দল ঢাকা ক্যাপিটালস আগেই ছিটকে গেছে। অন্যদিকে বিপিএলের ইতিহাসে এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলার তাসকিন আহমেদের দল দুর্বার রাজশাহীও প্লে-অফে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে।
রানের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন ঢাকার তানজিদ তামিম। দল ব্যর্থ হলেও ব্যক্তিগতভাবে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন এই ওপেনার। ১২ ম্যাচে ৫টি ফিফটি ও ১টি সেঞ্চুরির সাহায্যে করেছেন ৪৮৫ রান, গড় ৪৪ এর বেশি ও স্ট্রাইকরেট ১৪১.
তৃতীয় স্থানে থাকা এনামুল হক বিজয়ের (দুর্বার রাজশাহী) সংগ্রহ ৩৯২ রান। ১৩০ স্ট্রাইকরেটে তিনি ১টি সেঞ্চুরি ও ২টি ফিফটি করেছেন। চতুর্থ স্থানে থাকা সিলেট স্ট্রাইকার্সের জাকির হাসানের রান ৩৮৯, আর পঞ্চম স্থানে থাকা চিটাগাং কিংসের ইংলিশ ব্যাটার গ্রাহাম ক্লার্ক করেছেন ৩৭৭ রান।
বোলিংয়ে সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন দুর্বার রাজশাহীর তাসকিন আহমেদ। পুরো আসর জুড়ে দারুণ ফর্মে থেকে ২৫ উইকেট শিকার করেছেন এই পেসার। তার দল বিদায় নেওয়ায় তাকে টপকে যাওয়ার সুযোগ থাকছে বরিশালের ফাহিম আশরাফ ও রংপুর রাইডার্সের আকিব জাভেদের সামনে। বরিশালের বিদেশি পেসার ফাহিম আশরাফ ২০ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। রংপুরের আকিব জাভেদ এখন পর্যন্ত শিকার করেছেন ১৯ উইকেট। ১৮ উইকেট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছেন চিটাগাং কিংসের দেশি পেসার খালেদ আহমেদ। খুলনার আবু হায়দার রনি ও রংপুরের খুশদিল শাহ নিয়েছেন ১৭টি করে উইকেট।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব প এল কর ছ ন উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
বছরজুড়ে দেশের মাঠে বাজে পারফরম্যান্স
, জয়ের জন্য জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেরা দল
২০২৩ বিশ্বকাপের পরপর দেশের মাঠে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ টেস্ট জিতেছিল বাংলাদেশ। এরপর ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুটি সিরিজ খেলে লাল সবুজের দল। জয় তো দূরে থাক ড্র'ও করতে পারেনি টাইগাররা।
এবার বাংলাদেশ সফরে আসছে জিম্বাবুয়ে। সিলেট ও চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে দলটি। প্রথম টেস্টের জন্য মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
অভিজ্ঞতা আর তারুণ্যের মিশেলে শক্তিশালী দল গঠন করেছে বিসিবি। ইনজুরির কারণে দলে নেই তাসকিন আহমেদ আর পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) জন্য ছুটিতে থাকায় লিটন দাসকে রাখা হয়নি।
সবমিলিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শক্তিশালী দল গঠনের কারণ ব্যাখা করেছেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। দেশের মাঠে গত এক বছরের বাজে পারফরম্যান্স থেকে বেরিয়ে আসতেই মূলত এমন দল গড়া।
লিপু বলেন, “গত এক বছরে আমাদের দেশের পারফরম্যান্স নিয়ে আমরা যথেষ্ট চিন্তিত। সেকারণে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে আমাদের সম্ভাব্য সেরা দলটি নিয়ে আমরা খেলার চেষ্টা করছি।”
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ সব মিলিয়ে ১৮টি টেস্ট খেলেছে। তাতে শান্তরা জয় পেয়েছেন ৮টিতে আর হেরেছেন ৭টিতে। ৩টি ম্যাচ ড্র হয়েছে। সবশেষ ২০২০ সালে বাংলাদেশে এসেছিল জিম্বাবুয়ে। সেবার ধবলধোলাই হয় সফরকারীরা। এরপর ২০২১ সালে বাংলাদেশ জিম্বাবুয়েতে খেলতে যায়। সেবারও জয়ী দলের নাম বাংলাদেশ।
তিনজন ওপেনার, তিন জন স্পিনার এবং ৪ জন পেসার নিয়ে দল সাজিয়েছে বাংলাদেশ। কনকাশনের বিষয়টি মাথায় রেখে এমন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক।
“কনকাশন আসার পর থেকে লাইক টু লাইক রিপ্লেসমেন্টের (একই ধরণের ক্রিকেটার) যে কথাটা চলে আসছে, সে কারণে একজন বাড়তি ওপেনার, মিডল অর্ডারে একটা রাখা, স্পিনে একজন রাখা, পেস বোলিংয়ে যদি তিনজন সিমার থাকে সেখানেও একজন রাখে। সেকারণে আমাদের স্কোয়াডটা আমরা ১৫ জনের করেছি।”
লিটন দাস না থাকায় ছয় কিংবা সাতে দেখা যেতে পারে জাকের আলী অনিক কিংবা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে। দুজনেই টেস্টে নবাগত। কে খেলবেন এটা বাছাইয়ের জন্য ম্যানেজম্যান্টকে মধুর সমস্যায় পড়তে হবে বলে মনে করেন আশরাফ।
“৬ বা ৭ এ লিটন দাস না থাকাতে এখানে একটা মধুর সমস্যা আছে। এটা বেশি চ্যালেঞ্জিং হবে। পাশাপাশি আমাদের স্পিনে অনেক অপশন আছে, মেহেদী মিরাজ অলরাউন্ডার হিসেবে আছেন, তাইজুল আছেন, নাঈম আছেন, সো এই অপশনটাও রাখা হয়েছে। চারজন পেসার আছেন, সেখানেও অপশন থাকবে।”
ঢাকা/রিয়াদ/নাভিদ