চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইদ্রিস, সদস্যসচিব হেলাল
Published: 2nd, February 2025 GMT
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে জেলার পটিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ইদ্রিস মিয়া এবং সদস্যসচিব করা হয়েছে বিএনপি নেতা লায়ন হেলাল উদ্দিনকে।
আজ রোববার বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে ইদ্রিস মিয়া দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এবং লায়ন হেলাল উদ্দিন জেলার আনোয়ারা উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব ছিলেন। বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা এই দুটি পদের জন্য দৌঁড়ঝাপ করলেও শেষ পর্যন্ত এই দুইজনের ওপর আস্থা রাখলো দলের হাইকমান্ড।
পাঁচ সদস্যের কমিটিতে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে আলী আব্বাস এবং যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে বিএনপি নেতা লিয়াকত হোসেন ও মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পাকে।
এর আগেও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ছিল। বহুল আলোচিত সমালোচিত এস আলম গ্রুপের গাড়ি কেলেঙ্কারির ঘটনার পর গত ১ সেপ্টেম্বর আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বধীন বিএনপির এই সাংগঠনিক জেলার আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। এই ঘটনার দীর্ঘ পাঁচ মাস পর নতুন করে এ কমিটি ঘোষণা করা হলো।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ব এনপ র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
মারমাদের মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব যে কারণে হয়, যেভাবে এল
মারমা জনগোষ্ঠীর সাংগ্রাইং উৎসবের এক গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হয়ে আছে ‘মৈতা রিলং পোয়ে’ বা মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব। এই উৎসবে পরস্পরের দিকে পানি ছিটিয়ে মৈত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ হন মারমারা। ‘সাংগ্রাইংমা ঞি ঞি ঞা ঞা রিকোজাই পামে’(এসো হে সাংগ্রাইংয়ে সবাই মৈত্রী পানিবর্ষণে) গানটিও দীর্ঘদিন ধরে হয়ে আছে এই উৎসবের ‘থিম সং’।
গবেষক ও মারমা জনগোষ্ঠীর প্রবীণ ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশে মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসবের শুরু গত শতকের সত্তরের দশকে। কিছু তরুণ মিয়ানমারে সাংগ্রাইং উৎসবে এ ধরনের আয়োজন দেখে দেশেও এর প্রচলন করেন। আর ‘সাংগ্রাইংমা ঞি ঞি ঞা ঞা রিকোজাই পামে’ উৎসবের থিম সং হয়েছে ১৯৮৪ সালে।
মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসবকে অনেকেই ‘জলকেলি’ ও ‘পানি খেলা’ বলে থাকেন। তবে এসব নাম আপত্তিকর বলে মনে করেন মারমা সমাজের অনেকেই। তাঁদের দাবি, এর মধ্য দিয়ে ধর্মের যোগ থাকা অনুষ্ঠানটি ভুলভাবে উপস্থাপন হয়।
এবারের সাংগ্রাইং উপলক্ষে আজ বুধবার থেকে বান্দরবান জেলা শহরে মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব শুরু হয়েছে। তবে জেলার অন্যান্য জায়গায় গতকাল মঙ্গলবার এই উৎসব শুরু হয়। খাগড়াছড়িতে কোথাও কোথাও সোমবার শুরু হয়েছে মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব।
মারমা জনগোষ্ঠীর প্রবীণদের একজন শিক্ষাবিদ থোয়াইংচ প্রু। তিনি প্রথম আলকে বলেন, সাংগ্রাইং আখ্যেয়া বা মূল সাংগ্রাই দিনে বুদ্ধমূর্তি স্নানের আগে মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব হয় না। এটা প্রথাসিদ্ধ রীতি। তাই মৈত্রী পানিবর্ষণের সঙ্গে ধর্মের যোগ বেশ স্পষ্ট। তিনি বলেন, পানিকে মারমারা পবিত্র মনে করে। তাই সাংগ্রাইং উৎসবে বন্ধুত্বের বন্ধন এবং পরস্পরের প্রতি মৈত্রী ভাবনা নবায়ন ও সুদৃঢ় করার জন্য একে-অপরের দিকে পানি ছোড়েন। পানি ছিটানোর পর কেউ বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখালে বোঝা যাবে, বন্ধুত্বের সম্পর্কে ও বন্ধনে টানাপোড়েন আছে। এটিই মৈত্রী পানিবর্ষণের মূল্যবোধ। এ কারণে অনেক সময় অযাচিত কাউকে পানিবর্ষণ করলে আগে সালিসের মুখোমুখিও হতে হতো।
মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসবে মেতেছেন মারমা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা। গতকাল বান্দরবানের ডলুপাড়ায়