বাংলা একাডেমির প্রমিত বানানরীতি অনুসরণ এবং নতুন প্রজন্মের মাঝে তা ছড়িয়ে দিতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের উদ্যোগে ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে আয়োজিত ‘ভাষা পদযাত্রায়’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ভাষা শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে তিনি বলেন, “ভাষা শহীদদের স্মরণে এমন আয়োজন নিঃসন্দেহে উৎসাহব্যঞ্জক ও ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। একইসঙ্গে প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা যদি বাংলা ভাষার প্রচলন করতে পারি, তাহলে তা আমাদের দেশের জন্য কল্যাণকর হবে।”

তিনি আরো বলেন, “বাংলা একাডেমির যে প্রমিত বানানরীতি রয়েছে তা অনুসরণ এবং নতুন প্রজন্মের মাঝে কিভাবে ছড়িয়ে দেওয়া যায়, তার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।”

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.

মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক, সামাজিক বিজ্ঞান ও মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন (চন্দন আনোয়ার), বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এমডি. মাসুদ রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পদযাত্রা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিচ্ছেন ট্রাম্প, স্থগিত থাকছে ফিলিস্তিনি ত্রাণও

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ থেকে তাঁর দেশকে বের করে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সহায়তায় কাজ করা জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ–এর জন্য ত্রাণ বরাদ্দও চালু হবে না।

যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ববর্তী সরকার গত বছর জাতিসংঘের জেনেভাভিত্তিক মানবাধিকার পরিষদ থেকে সরে গিয়েছিল। এ ছাড়া ইসরায়েলের অভিযোগের পর ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সহায়তায় কাজ করা সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর জন্য তহবিল পাঠানোও বন্ধ করে দেয় দেশটি।

ইউএনআরডব্লিউএর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অভিযোগ ছিল, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে যে অতর্কিত হামলা চালিয়েছিল, তাতে অংশ নেওয়া কয়েকজন যোদ্ধাকে সংস্থাটি আশ্রয় দিয়েছে।

ইউএনআরডব্লিউএ এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেছেন। নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাতের পরই ট্রাম্প জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দিলেন।

ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ ও ইউএনআরডব্লিউএর বিরুদ্ধে ইসরায়েল এবং ইহুদিবিদ্বেষী আচরণ করার অভিযোগ করে আসছিল।

বিশ্বের সর্ববৃহৎ অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি জাতিসংঘের নিয়মিত পরিচালনা বাজেটের ২২ শতাংশ দিয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের পরই দ্বিতীয় স্থানে চীন।

আরও পড়ুনগাজাকে দখলে নেওয়ার ট্রাম্পের পরিকল্পনায় কী আছে১ ঘণ্টা আগে

গতকাল মঙ্গলবার ওভাল অফিসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার সব সময়ই মনে হয়েছে, জাতিসংঘের অসাধারণ সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এই মুহূর্তে এটি সেই সম্ভাবনার জায়গায় নেই...তাদের অবশ্যই ঠিকমতো কাজ করতে হবে। যেসব দেশ ন্যায্যতা দাবি করে, তাদের প্রতি জাতিসংঘের ন্যায়সংগত আচরণ করা উচিত।’

ট্রাম্প আরও বলেন, ‘কোনো কোনো দেশ “বহিরাগত”, খুব খারাপ এবং প্রায় সময় তারাই অগ্রাধিকার পাচ্ছে।’ তবে তিনি কোনো দেশের নাম বলেননি।

ট্রাম্প এর আগে ২০১৮ সালের জুনে মানবাধিকার পরিষদ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। সে সময়ে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূত ছিলেন নিকি হ্যালি। হ্যালি অভিযোগ করেছিলেন, পরিষদ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে পক্ষপাতিত্ব করছে।

আরও পড়ুনট্রাম্পের সহায়তা কার্যক্রম স্থগিত করার ঘোষণায় কোন দেশগুলো সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

পরে জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তিনি মানবাধিকার পরিষদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ফিরিয়ে আনেন। ২০২১ সালের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র ৪৭ সদস্যের পরিষদে একটি আসন জেতে। কিন্তু বাইডেন প্রশাসনই গত বছরের সেপ্টেম্বরে ঘোষণা দিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র টানা দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য মানবাধিকার পরিষদের সদস্য হতে চায় না।

আরও পড়ুনগাজার দখল নিতে চান ট্রাম্প৬ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ