পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৬টি কোম্পানি পরিচালনা পর্ষদ চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৪) ও অর্ধবার্ষিক (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে।
কোম্পানিগুলো হলো-মেঘনা সিমেন্ট মিলস, আমান কটন ফাইবার্স, আমরা টেকনোলজিস, রহিমা ফুড কর্পোরেশন, সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস ও জেমিনি সি ফুড।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আরো পড়ুন:
সূচকের উত্থান, কমেছে লেনদেন
ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে এডিএন টেলিকম
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর প্রকাশ করা হয়।
মেঘনা সিমেন্ট মিলস: কোম্পানির চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৯.
আমান কটন ফাইবার্স: কোম্পানির চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ০.১১ টাকা। যার পরিমাণ এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ০.০২ টাকা। এতে করে কোম্পানিটি মুনাফা থেকে লোকসানে নেমেছে। কোম্পানির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ০.১৩ টাকা। যার পরিমাণ এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ০.০৫ টাকা। এতে করে কোম্পানিটি মুনাফা থেকে লোকসানে নেমেছে। গত ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৩.৯৬ টাকায়।
আমরা টেকনোলজিস: কোম্পানির চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ০.৩৯ টাকা। যার পরিমাণ এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ০.০৪ টাকা। এতে করে কোম্পানিটি মুনাফা থেকে লোকসানে নেমেছে। কোম্পানির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ০.৬৪ টাকা। যার পরিমাণ এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ০.২৩ টাকা। এতে করে কোম্পানিটি মুনাফা থেকে লোকসানে নেমেছে। গত ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২০.৯৯ টাকায়।
রহিমা ফুড কর্পোরেশন: কোম্পানির চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ০.০৪ টাকা। যার পরিমাণ এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ০.৩৪ টাকা। এতে করে কোম্পানিটি মুনাফা থেকে লোকসানে নেমেছে। কোম্পানির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ০.১৬ টাকা। যার পরিমাণ এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ০.৫৩ টাকা। এতে করে কোম্পানিটি মুনাফা থেকে লোকসানে নেমেছে। গত ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৯.১০ টাকায়।
সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস: কোম্পানির চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ০.১৯ টাকা। যার পরিমাণ এর আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ০.০৬ টাকা। এতে করে লোকসান বেড়েছে ০.১৩ টাকা। কোম্পানির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ০.৪৩ টাকা। যার পরিমাণ এর আগের বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ০.১২ টাকা। এতে করে কো মুনাফা বেড়েছে ০.৩১ টাকা। গত ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৬.০২ টাকায়।
জেমিনি সি ফুড: কোম্পানির চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১.৭১ টাকা। যার পরিমাণ এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ৩.৭৩ টাকা। এতে করে কোম্পানিটি মুনাফা থেকে লোকসানে নেমেছে। কোম্পানির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৩.৯৪ টাকা। যার পরিমাণ এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ৪.২৮ টাকা। এতে করে কোম্পানিটি মুনাফা থেকে লোকসানে নেমেছে। গত ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৩.৬৭ টাকায়।
ঢাকা/এনটি/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বছর র দ ব ত য় প র ন ত ক ক ম প ন র চলত
এছাড়াও পড়ুন:
ইতিবাচক ধারাতেই রপ্তানি আয়
বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ৪৪৪ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। আগের বছরের একই মাসের চেয়ে রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ৬ শতাংশ। অন্যদিকে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম সাত মাস অর্থাৎ জুলাই-জানুয়ারি সময়ে গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে বেড়েছে প্রায় ১২ শতাংশ। রপ্তানি হয়েছে মোট ২ হাজার ৮৯৭ কোটি ডলারের পণ্য।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) গতকাল সোমবার হালনাগাদ এ তথ্য প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের রপ্তানিতে বেশ গতি রয়েছে। গত সাত মাসে পণ্যটি থেকে ২ হাজার ৩৫৫ কোটি ডলারের রপ্তানি আয় এসেছে। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যা ১২ শতাংশ বেশি। শুধু জানুয়ারিতে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৩৬৬ কোটি ডলারের, যা গত বছরের জানুয়ারির চেয়ে ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেশি।
তৈরি পোশাকের রপ্তানির ধারা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক বলে মনে করেন তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক এবং ডেনিম এক্সপার্টের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল। সমকালকে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রর সঙ্গে চীন, কানাডা ও মেক্সিকোর শুল্ক লড়াই বাংলাদেশকে তৈরি পোশাকের রপ্তানি বাড়ানোর আরও সুযোগ এনে দিয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করতে হবে। ব্যবসা সহায়ক পরিবেশ উন্নয়নে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ব্যাংক ঋণে সুদের হার সহনীয় রাখার পাশাপাশি প্রয়োজন আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা উন্নয়ন।
রপ্তানি পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, রপ্তানিতে দ্বিতীয় শীর্ষ খাত হিসেবে উঠে এসেছে কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য। চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে ৬৭ কোটি ডলারের কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ১০ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। জানুয়ারিতে ৭ কোটি ৮৩ লাখ ডলারের কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২১ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সাত মাসে ৬৬ কোটি ৯০ লাখ ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৮ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া শুধু জানুয়ারিতে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৯ কোটি ডলারের, যা গত বছরের একই মাসের চেয়ে পৌনে ৫ শতাংশ কম।
ইপিবির প্রতিবেদন বলছে, জানুয়ারি নিয়ে টানা চার মাস ধরে রপ্তানি ৪০০ কোটি ডলারের ওপরে। এর মধ্যে অক্টোবর ও নভেম্বরে যথাক্রমে ৪১৩ ও ৪১১ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়। আর ডিসেম্বরে ৪১১ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়।