আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদের কাছে দুই দিন সময় চেয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এসব সদস্যরা ‘চাকরিতে পুনর্বহাল দাবিতে’ আন্দোলনরত করছেন। 

রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সোয়া ৪টায় স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠক শেষে হাইকোর্ট মাজার গেটে এ তথ্য জানান চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা।

এ সময় তারা জানান, স্বরাষ্ট্র সচিব আমাদের কাছে দুই দিন সময় চেয়েছেন। আমরা আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় দিয়েছি। এরপরও যদি আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হয়, তাহলে আগামী রবিবার সচিবালয়ের সামনে কাফনের কাপড় নিয়ে বসে পড়ব।

এর আগে, চাকরিতে পুনর্বহাল দাবিতে সকাল থেকে হাইকোর্টের মাজার গেইটের সামনে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন। দুপুর ২টায় তাদের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সচিবালয়ে নিয়ে যায়।

ঢাকা/রায়হান/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

লিফলেট বিতরণ না করতে অনুরোধ, আ.লীগের হাতুড়িপেটায় আহত স্বেচ্ছাসেবক দলের ৫

নড়াইলের লোহাগড়ায় লিফলেট বিতরণ করছিলেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। লিফলেট বিতরণ না করতে অনুরোধ করায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের হাতুড়ি, লোহার রড দিয়ে পিটিয়েছেন তারা। এ ঘটনায় পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক এসকে মিন্টুসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

গতকাল মঙ্গলবার রাতে পৌর সভার চোরখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আজ বুধবার মিন্টুর চাচা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এজাহারভুক্ত দুজনকে আটক করেছে।

আহত এসকে মিন্টু বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে জানতে পারি চোরখালী এলাকায় আনিস মোল্যার চায়ের দোকানে আওয়ামী লীগের কর্মীরা লিফলেট বিতরণ করছেন। বিষয়টি জানার পর বিএনপির কর্মীদের নিয়ে আনিসের দোকানে গিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মীদেরকে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করি। এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি না করার আহবান জানাই। এ সময় আওয়ামী লীগের কর্মীরা আমাদের সঙ্গে তর্ক শুরু করেন। একপর্যায়ে চোরখালী গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী মনিরুজ্জামান মনির নেতৃত্বে আক্কাস ফকির, ইদ্রিস সরদার, রবিউল মল্লিক, ইব্রাহিম মোল্যা, আনিস মোল্যা, ঝন্টু ফকিরসহ ২৫-৩০ জন হাতুড়ি, লোহার রড, রামদা, লাঠি নিয়ে হামলা চালান। এতে আমিসহ পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ঝন্টু মিয়া, বিএনপি কর্মী হাফিজুর রহমান, বাবলু শেখ, দোলেনা বেগমকে পিটিয়ে গুরুতর আহত হয়েছি।’
 
লোহাগড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী সুলতানুজ্জামান সেলিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন,  হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাই। 

লোহাগড়া থানার ওসি আশিকুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় চোরখালী গ্রামের আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে ২৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয়ে কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। পুলিশ এজাহারভুক্ত আসামি আক্কাস ফকির ও ঝন্টু ফকিরকে আটক করেছে। অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ