ছোটপর্দার ব্যস্ত তারকা শামীম হাসান সরকার ও তানিয়া বৃষ্টি। জাকিউল ইসলাম রিপনের পরিচালনায় এই জুটি ‘শ্বশুর আব্বার টি-স্টল’ শিরোনামে একটি একক নাটকে অভিনয় করলেন।

পারিবারিক ঝগড়া, সামাজিক টানাপড়েন আর হাস্যরসে ভরপুর নাটকটি কালবেলা ড্রামা চ্যানেলে প্রকাশিত হয়েছে। জুয়েল এলিনের লেখা এই নাটকের গল্পের কেন্দ্রবিন্দু এক সদ্য বিবাহিত দম্পতি। প্রেমের টানে বাবার আদর ছেড়ে নতুন একটি জীবনের পথে পা বাড়ায় তারা। পালিয়ে বিয়ে করে দুই পরিবার থেকেই বঞ্চিত হন নবদম্পতি। ছেলের একমাত্র সম্বল ব্যাটারিচালিত রিকশা ও মেয়ে কাজ নেয় মানুষের বাসাবাড়িতে। নানা ঘটনায় এগিয়ে যায় নাটকটির গল্প।

নাটকের মূল চরিত্র রূপায়নকারী শামীম হাসান সরকার বলেন, “এটা এমন এক গল্প, যা দেখলে মানুষ মন খারাপ ভুলে হাসতে বাধ্য হবেন। সঙ্গে সামাজিক বার্তাও রয়েছে। আশা করি, দর্শকরা নাটকটি পছন্দ করবেন। শুটিং সেটে কাজের সময় ইউনিটের সবাই হেসেছি। দর্শকরাও না হেসে পারবেন না।”

আরো পড়ুন:

তাহসানের সঙ্গী নাদিয়া

সড়ক দুর্ঘটনায় আহত খুশি, সেলাই পড়েছে ১০টি

নাটকটি নিয়ে আত্মবিশ্বাসী তানিয়া বৃষ্টি। তার ভাষায়, “নাটকে আমি হাওয়া চরিত্রে অভিনয় করেছি। মজার একটি গল্পে নাটকটি নির্মিত হয়েছে। এত মজার গল্প আমরা শুটিং সেটে নিজেরাই অনেক মজা পেয়েছি। দর্শকরা উপভোগ করবেন গ্রামীণ পরিবেশে নির্মিত নাটকটি।”

নির্মাতা জাকিউল ইসলাম রিপন বলেন, “গল্পটি যেমন হাসায়, তেমনই পরিবারের জটিলতাগুলো নিয়ে ভাবতে বাধ্য করে। ‘শ্বশুর আব্বার টি-স্টল’ দেখার পর দর্শকরা উপলব্ধি করবেন, জীবনের বড় সমস্যাগুলো কখনো কখনো ছোট মজার মধ্যেই লুকিয়ে থাকে।”

শামীম-তানিয়া ছাড়াও নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবদুল্লাহ রানা, সিদ্দিক মাস্টার, মিলি বাসার, বাপ্পি বাসার, কামরুন নাহার, সোহেল হাসান, হিরা মনি প্রমুখ।

আশিয়ান সিটি নিবেদিত ‘শ্বশুর আব্বার টি-স্টল’ নাটকটি কালবেলা ড্রামার দ্বিতীয় নাটক। এর আগে চ্যানেলটির প্রথম নাটক ‘পাগলের সুখ মনে মনে’ দর্শকমহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক ন টকট

এছাড়াও পড়ুন:

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার মামলা

পটুয়াখালীর দুই সাংবাদিকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলাটি করেন পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল।

ট্রাইব্যুনালের বিচারক গোলাম ফারুক অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে মির্জাগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বিবরণে কামরুজ্জামান জুয়েল নিজেকে মির্জাগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক দিনকাল পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি উল্লেখ করেছেন।

আসামিরা হলেন– দৈনিক সমকালের পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি মুফতী সালাহউদ্দিন, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি এম কে রানা ও মির্জাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম সুবিদখালী এলাকার বাসিন্দা মাসুম হাওলাদার।

গত ১৬ এপ্রিল দৈনিক সমকালে ‘চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে মারধর বিএনপি নেতার’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। একই দিন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের অনলাইনে ‘মাসে ৫০ হাজার টাকা না দিলে ব্যবসা বন্ধের হুমকি বিএনপি নেতার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। মাসুম হাওলাদার তাঁর ফেসবুকে প্রতিবেদনটি শেয়ার করায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, সংবাদগুলো ভিত্তিহীন, মনগড়া ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এগুলো বাদীর সামাজিক ও রাজনৈতিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে।

এ ব্যাপারে মুফতী সালাহউদ্দিন ও এম কে রানা জানান, কারও মর্যাদা ক্ষুণ্ন নয়, তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে প্রতিবেদন করেছেন তারা। এমন কিছু না ঘটলে রাসেল মৃধা অভ্যন্তরীণভাবে বিরোধ নিষ্পত্তি হওয়ার দাবি করে অভিযোগ প্রত্যাহারে কেন থানায় আবেদন করেছেন?

এদিকে মামলাটি নিয়ে পটুয়াখালীর সাংবাদিক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ এবং সাংবাদিকদের হয়রানি করতে এটি করা হয়েছে জানিয়ে দ্রুত মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে তারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ