দেশে ফিরে যাচ্ছেন রাজশাহীর বিদেশি ক্রিকেটাররা
Published: 2nd, February 2025 GMT
এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) বারবার হতাশ করছে দুর্বার রাজশাহী। ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির গড়িমসি থেমে নেই। টুর্নামেন্ট থেকে ইতোমধ্যে বাদ পড়েছে রাজশাহী। বিদায় নিলেও এখনও আলোচনায় রাজশাহীর এই ফ্রাঞ্চাইজি।
সকাল হতেই সংবাদমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে, রাজশাহী টাকা পরিশোধ না করায় রাজধানীর এক পাঁচ তারকা হোটেলে আটকা পড়েছেন দলটির পাঁচ বিদেশি ক্রিকেটার। তারা হলেন- পাকিস্তানের মোহাম্মদ হারিস, জিম্বাবুয়ের রায়ান বার্ল, আফগানিস্তানের আফতাব আলম, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মার্ক দেয়াল ও মিগুয়েল কামিন্স।
ক্রিকেটারদের পাওনা ইতোমধ্যে পরিশোধ করা হয়েছে বলে সমকালকে নিশ্চিত করেছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। এমনকি দৈনিক ভাতার পাশাপাশি বিমানের টিকিটও করে দেওয়া হয়েছে। পাওনা বুঝে পেয়ে নিজ নিজ দেশে ফিরে যাচ্ছেন দুর্বার রাজশাহীর বিদেশি ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফরা। আজ (রোববার) রাত থেকেই শুরু হচ্ছে তাদের ঢাকা ছাড়ার প্রক্রিয়া।
রাজশাহীর জিম্বাবুয়ের অলরাউন্ডার রায়ান বার্ল সবার আগে ঢাকা ছাড়বেন। তিনি আজ রাত ৩টায় ইথিওপিয়ান এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে হারারেতে রওনা দেবেন। অন্যদিকে, পাকিস্তানের উইকেটকিপার-ব্যাটার মোহাম্মদ হারিস আগামীকাল (সোমবার) দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে লাহোরের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়বেন।
রাজশাহীর প্রধান কোচ আজাজ আহমেদও আগামীকাল ঢাকা ছাড়বেন। এছাড়া, ক্যারিবিয়ান ফাস্ট বোলার মিগুয়েল কামিন্স ৫ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরবেন। বাকি বিদেশি ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফরাও দ্রুততম সময়ের মধ্যে দেশে ফিরবেন, তবে সেটি নির্ভর করছে ফ্লাইটের টিকিট পাওয়ার ওপর।
এবারের বিপিএলে দুর্বার রাজশাহী মাঠের পারফরম্যান্সে যেমন ব্যর্থ হয়েছে, তেমনি ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রশাসনিক দুর্বলতা ও পারিশ্রমিক বিতর্কও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। পারিশ্রমিক জটিলতায় বিদেশি ক্রিকেটাররা অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন, এমনকি কিছু ম্যাচে খেলতেও চাননি তারা। শেষ পর্যন্ত নিজেদের বিপিএল মিশন শেষ করে দেশে ফিরছেন রাজশাহীর ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফরা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব প এল
এছাড়াও পড়ুন:
তিক্ততা ভুলে শহিদকে জড়িয়ে ধরলেন কারিনা (ভিডিও)
বলিউডের তারকা জুটি কারিনা কাপুর ও শহিদ কাপুর। তাদের রুপালি পর্দার রসায়ন ব্যক্তিগত জীবনেও গড়িয়েছিল। দীর্ঘদিন চুটিয়ে প্রেম করার পরও ভেঙে যায় সেই সম্পর্ক।
প্রেমের ভাঙন কারিনা-শহিদের মনে তিক্ততা তৈরি করে। মুখ দেখাদেখিও বন্ধ ছিল তাদের। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে এক পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন কারিনা কাপুর খান ও শহিদ কাপুর। ঝলমলে এই অনুষ্ঠানে কথা তো দূরের কথা, শহিদ কাপুরকে পাত্তাই দেননি কারিনা। এবার সেই শহিদ কাপুরকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন কারিনা।
গতকাল জয়পুরে অনুষ্ঠিত হয় আইফা অ্যাওয়ার্ডের সংবাদ সম্মেলন। সেই মঞ্চের একটি ভিডিও ক্লিপ এখন নেট দুনিয়ায় ভাইরাল। তাতে দেখা যায়, মঞ্চে পাশাপাশি দাঁড়ানো করন জোহর, শহিদ কাপুরসহ অনেকে। মঞ্চে গিয়ে শহিদকে জড়িয়ে ধরেন কারিনা। এরপর খানিকটা সময় তারা কথাও বলেন।
আরো পড়ুন:
ছাবা ঝড়: ২৩ দিনে আয় ১ হাজার কোটির দুয়ারে
সবচেয়ে বেশি আয় করা নারীকেন্দ্রিক পাঁচ সিনেমা
এ দৃশ্য দেখে বিস্মিত নেটিজেনরা। একজন লেখেন, “ওহ মাই গড, শহিদ-কারিনা একসঙ্গে।” আরেকজন লেখেন, “কি রসায়ন।” জুনায়েদ নামে একজন লেখেন, “নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছি না।” এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে অন্তর্জালে।
কারিনাকে জড়িয়ে ধরা ও তার সঙ্গে কথা বলার ব্যাপার নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রশ্নের মুখে পড়েন শহিদ। এ অভিনেতা বলেন, “আমাদের জন্য এটি নতুন কিছু নয়। আমাদের আজ মঞ্চে দেখা হয়েছে। কিন্তু আমরা এখানে-সেখানে একে অপরের সঙ্গে দৌড়াদৌড়ি করি। এটা আমাদের জন্য সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ব্যাপার। মানুষ যদি এটাকে ভালোভাবে নেয় তাহলে এটা ভালো।”
বলিউডের অন্যতম আলোচিত জুটি শহিদ ও কারিনা কাপুর। তাদের প্রেম কাহিনিও ঠিক তেমন। ২০০৩ সালে ‘ইশক ভিশক’ সিনেমার মাধ্যমে নায়ক হিসেবে শহিদের বলিউডে অভিষেক হয়। তাকে দেখে প্রেমে পড়েন কারিনা। ‘কফি উইথ করন’ অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় সিজনে হাজির হয়ে এ অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, শহিদের সঙ্গে দেখা করার জন্য তাকে কল করতেন, মেসেজ পাঠাতেন। এমনকি, এই অভিনেতাকে বিয়েও করতে চান বলে জানান।
বাস্তবে তাদের প্রেমের গল্প মধুর হলেও শুরুতে রিল লাইফে তাদের রসায়ন দর্শকের খুব একটা মনে ধরেনি। তাদের প্রেমের গুঞ্জন যখন বলিপাড়ায় উড়ছে তখন, ‘ফিদা’ (২০০৪) সিনেমায় প্রথম জুটিবদ্ধ হন তারা। কিন্তু বক্স অফিসে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনি। ২০০৬ সালে ‘থার্টি সিক্স চায়না টাউন’ ও ‘চুপ চুপ কে’ সিনেমায় একসঙ্গে পর্দায় হাজির হলেও বক্স অফিস মাতাতে পারেননি তারা। তবে এই জুটিকে দর্শকের মন মতো পর্দায় তুলে ধরতে পেরেছিলেন নির্মাতা ইমতিয়াজ আলী। ‘জব উই মেট’ সিনেমায় তাদের রসায়ন আজও ভক্তদের মনে গেঁথে রয়েছে। কিন্তু পর্দায় রসায়ন জমে উঠলেও ততদিনে ম্লান হয়ে যায় তাদের বাস্তব জীবনের প্রেম। এই সিনেমার সেটেই তাদের ব্রেকআপ হয়। এমনকি সিনেমার ‘তুমসে হি’ গানের শুটিংও আলাদাভাবে করেন শহিদ-কারিনা।
তবে কী কারণে তাদের সম্পর্কে ভাঙন ধরেছিল তা আজও অজানা। গুঞ্জন শোনা যায়, শহিদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক মেনে নেয়নি কারিনার মা ববিতা কাপুর। তা ছাড়া সিনেমায় নায়কের চরিত্রে শহিদকে নেওয়ার সুপারিশ করতেন কারিনা। তার মা সেটিও পছন্দ করতেন না। এছাড়া ব্যক্তিত্বের দিক থেকে শহিদ ও কারিনা ছিলেন সম্পূর্ণ আলাদা। শহিদ চুপচাপ থাকতে পছন্দ করেন। অন্যদিকে কারিনা হাসিখুশি থাকেন ও একটু বেশি কথা বলতে পছন্দ করেন। প্রেমে পড়ার পর তাদের এই ব্যাপারগুলো সম্মুখে আসে। তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো, বিভিন্ন বিষয়ে মতপার্থক্য ছিল এবং এ সকল কারণে তাদের মধ্যে ধীরে ধীরে দূরত্ব তৈরি হতে থাকে।
২০০৭ সালে ‘কিসমত কানেকশন’ সিনেমার শুটিং করতে বিদ্যা বালানের সঙ্গে কানাডা যান শহিদ। অন্যদিকে ভারতের লাদাখে সাইফ আলী খানের সঙ্গে ‘তাশান’ সিনেমার শুটিং করছিলেন কারিনা। সেই সময় বিদ্যার সঙ্গে শহিদ কাপুরের প্রেমের গুঞ্জন চাউর হয়, যা শুনে কষ্টে পেয়েছিলেন কারিনা। সেই সময় এই অভিনেত্রীর পাশে দাঁড়ান সাইফ আলী খান। পরবর্তীতে তাদের ঘনিষ্ঠতা তৈরি হতে থাকে। এরপর প্রেম। এদিকে ‘কামিনে’ সিনেমা করতে গিয়ে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান শহিদ। তবে এই অভিনেতার সেই সম্পর্কও বেশিদিন টেকেনি।
২০১৬ সালে অভিষেক চৌবের ‘উড়তা পাঞ্জাব’ আবারো এক মঞ্চে হাজির করে শহিদ-কারিনাকে। সিনেমাটিতে তাদের একসঙ্গে কোনো দৃশ্য ছিল না। কিন্তু ট্রেইলার প্রকাশ অনুষ্ঠানে একসঙ্গে হাজির হয়েছিলেন তারা।
ব্যক্তিগত জীবনে বর্তমানে শহিদ ও কারিনা দুজনই নিজ নিজ পরিবার নিয়ে সুখী। ২০১২ সালে সাইফকে বিয়ে করেন কারিনা। এই দম্পতির দুটো পুত্রসন্তান রয়েছে। অন্যদিকে অনেক জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ২০১৫ সালের ৭ জুলাই মিরা রাজপুতকে বিয়ে করেন শহিদ কাপুর। ২০১৬ সালের ২৬ আগস্ট এ দম্পতির মেয়ে মিশা এবং ২০১৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর তাদের পুত্র জেইন কাপুরের জন্ম হয়।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে
ঢাকা/শান্ত