বলিউড সুপারস্টার আমির খান। নামটাই যেন সিনে-ব্যাকরণ শেখার জন্য যথেষ্ট। একাধারে তিনি যেমন পরিচালক, তেমনই ক্যামেরার খুঁটিনাটিও তার ভালোবাবেই জানা। তবে বছর খানেক ধরেই বক্স অফিসে আমির খানের বাজার মন্দা। একের পর এক ফ্লপের ধাক্কা। এরই মধ্যে নতুন লুকে নেটপাড়ায় তুমুল শোরগোল ফেলেছেন মিস্টার পারফেকশনিস্ট।

পুরনো ছেঁড়া বস্তা গায়ে জড়িয়ে মোটা ভ্রু এঁকে, উসকো-খুসকো চুলে একেবারে গুহামানব লুক এনেছেন আমির খান। মুম্বাইয়ের রাস্তায় এলোমেলো চুলের অদ্ভুত লোকটিকে চিনতে ব্যর্থ হয়েছিল। রহস্য উন্মোচিত হয় যখন পর্দার অন্তরালের একটি ছবি অনলাইনে ফাঁস হয়। ছবি প্রকাশের পর প্রথম দেখায় অনেকে ভেবেছিল এটা সম্ভবত ‘পিকে ২’র টিজার।

ভারতের গণমাধ্যমগুলো বলছে, একটি পানীয় কোম্পানির বিজ্ঞাপনের জন্যই আমির খান গুহামানব অবতার ধারণ করেছেন। এই প্রচার কৌশলও নাকি আমির খানেরই মাথা থেকে এসেছে।

বিজ্ঞাপনের প্রচারের স্বার্থেই যে তিনি এমন লুক ধারণ করেছেন তার বুঝতে আর বাকি রইল না পুরো ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর।

‘লাল সিং চাড্ডা’র পর আর কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি। আমির জানিয়েছেন, তার নতুন সিনেমা ‘সিতারে জমিন পার’ মুক্তি পাবে চলতি বছরের বড়দিনে। এটি তার ‘তারে জমিন পার’-এর সিকুয়েল সিনেমা। এ ছাড়া আমির প্রযোজনাতে মন দিয়েছেন। তাঁর প্রযোজিত সিনেমায় দেখা যাবে সানি দেওলকে। ছবিটি চলতি বছরের আগস্ট মাসে মুক্তি পাবে। সূত্র: এবিপি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আম র খ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলি হামলা বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে ঢাকায় বিভিন্ন ইসলামি দলের বিক্ষোভ

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধ এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে ঢাকায় বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন ইসলামি দল। আজ শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে ঢাকার বায়তুল মোকাররম এলাকায় তারা বিক্ষোভ করে।

বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে অবিলম্বে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা বন্ধ করাসহ বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের এক হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল বাংলাদেশের ও ফিলিস্তিনের পতাকা। হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে লেখা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ছিল তাঁদের হাতে।

নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে শুরু হয় বিক্ষোভ। এরপর বিভিন্ন দল ও সংগঠন একের পর এক মিছিল নিয়ে বের হতে থাকেন। এর মধ্যে ছিল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ, বাংলাদেশ শান্তি সংঘ, তিসরী ইনসাফ দল, বাংলাদেশ ইসলামী যুব সংঘ, আল কুদ্‌স কমিটি বাংলাদেশ, আহলে হাদিস আন্দোলন বাংলাদেশ, জাতীয় ইমাম সমাজসহ অনেকে। মিছিলটি বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে শুরু করে পল্টন মোড় হয়ে বিজয়নগর গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব কে এম আতিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা আজ মর্মাহত, আমাদের হৃদয় আজ রক্তাক্ত। যত দিন পর্যন্ত আল আকসা মুক্ত না হবে, লড়াই চলবে। অবিলম্বে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন করুন।’ তিনি দলমত নির্বিশেষে সবাইকে আগামীকালের মার্চ ফর গাজা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।

বিক্ষোভ কর্মসূচিগুলো ঘিরে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে জন্য বায়তুল মোকাররম ও পল্টন এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ