পিকআপের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু, আহত ২
Published: 2nd, February 2025 GMT
বান্দরবানের রুমা সড়কে মুরংগো বাজার সংলগ্ন এলাকায় পণ্যবাহী পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় পাইচি ম্রো (২৩) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো দুইজন। তাদের বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনাটি ঘটে বলে জানান রোয়াংছড়ি থানার ওসি মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।
মারা যাওয়া পাইচি ম্রো রুমা সড়কের ডলিয়ান পাড়ার বাসিন্দা।
আরো পড়ুন:
বাগেরহাটে বাসের ধাক্কায় ইজিবাইক চালকসহ নিহত ২
খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই যুবকের মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, পণ্যবাহী একটি পিকাআপ ভ্যান রুমার দিকে যাচ্ছিল। অপরদিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের তিন আরোহী ডলিয়ান পাড়ায় যাচ্ছিলেন। মুরংগো বাজার সংলগ্ন এলাকায় পিকআপ ভ্যানটি মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেলটিতে থাকা তিনজন গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বান্দরবান সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা.
রোয়াংছড়ি থানার ওসি মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, “মোটরসাইকেলে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় একজন নিহত হয়েছেন।”
ঢাকা/চাইমং/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন আহত ব ন দরব ন প কআপ
এছাড়াও পড়ুন:
‘মাইগ্রেন’ কি ভয়াবহ কোনো রোগ?
চিকিৎসকেরা বলছেন, বিশ্বের অনেক মানুষ মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগছেন। চিকিৎসকেরা বলছেন মাইগ্রেন সারিয়ে তোলা যায় না। তাহলে মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগলে করণীয় কী?
ভারতীয় নিউরোলজিস্ট ডা. অমিতাভ ঘোষ একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘ মাইগ্রেনের ব্যথা টিপিক্যালি মাথার একদিকে হয়। হয়তো ডানে, নয়তো বামে। পরে ছড়াতে পারে। ব্যথা বেড়ে পুরো মাথায় ছড়িয়ে পড়তে পারে। কিন্তু শুরু হয় একদিক থেকে। দপ-দপ করে। কারও কাছে মনে হতে পারে, কেউ মাথা পেটাচ্ছে। কেউ বলে মাথার ভেতর থেকে ফেটে বেরোচ্ছে। উজ্জ্বল আলোর দিকে তাকাতে কষ্ট হয়। আওয়াজে কষ্ট হয়। রোগী ঘরের আলো নিভিয়ে শুয়ে থাকতে চায়। অনেকের বমি আসে। দৈনন্দিন কাজে অসুবিধা হয়। অনেক সময় মনে হয় টেবিলে মাথা হেলিয়ে শুয়ে থাকি। বা বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়তে ইচ্ছা হয়। এগুলো টিপিক্যাল মাইগ্রেনের লক্ষণ।
এই নিউরোলজিস্ট আরও বলেন, ‘‘মাইগ্রেন ভয়াবহ কোনো রোগ নয়। এটি সারিয়ে তোলা যায় না কিন্তু কমিয়ে রাখা যায়। অনেক সময় মাইগ্রেনের ব্যথা ঘন ঘন হতে পারে। আবার এক মাসে একবার নাও হতে পারে। বিশ্বের প্রতি পাঁচ জন নারী ও শিশুর মধ্যে একজন মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগছেন। নারী-পুরুষ মিলিয়ে প্রত্যেক দশ জনে একজন মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগছেন। বিশ্বের প্রায় এক শতাংশ মানুষ প্রত্যেক মাসে মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগে থাকেন। ’’
আরো পড়ুন:
কীভাবে বুঝবেন গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা নাকি হার্টের ব্যথা
ঘুম কম হয় কেন?
ডা. অমিতাভ জানান, যাদের ঘন ঘন ব্যথা হয় তাদের ওষুধ দেই যাতে ব্যথা কমিয়ে রাখা যায়। যাদের মাসে একবার মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দেয় তাদের নরমাল পেইন কিলার বা প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ দেওয়া হয়। যদি ব্যথার মাত্রা বেশি থাকে তাহলে স্ক্যান করা লাগতে পারে।
ঢাকা/লিপি