৩ ক্যাটাগরিতে ভিসা আবেদন সহজ করল থাইল্যান্ড
Published: 2nd, February 2025 GMT
বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য তিন ক্যাটাগরিতে ই-ভিসা আবেদন আরো সহজ করেছে থাইল্যান্ড। চিকিৎসা, সেমিনার ও ক্রীড়া অনুষ্ঠান ক্যাটাগরিতে ভিসা আবেদন সহজ করেছে দেশটি।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার থাইল্যান্ডের দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, থাই ই-ভিসা আবেদনকারীদের জন্য উন্নত সেবা চালু করা হয়েছে। ২ ফেব্রুয়ারি থেকে তিন ক্যাটাগরিতে অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া হবে।
১.
২. ব্যাংককে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো দ্বারা আয়োজিত সম্মেলন, সেমিনার ও কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের ভিসা সুবিধার জন্য আয়োজক সংস্থাকে তাদের নাম ও যোগাযোগের বিবরণ থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। অংশগ্রহণকারীরা প্রত্যাশিত অনুষ্ঠান সম্পর্কে আগে থেকে অবহিত করার জন্য দূতাবাসে ই-মেইলও করতে পারেন।
৩. থাইল্যান্ডে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ক্রীড়াবিদদের থাইল্যান্ডের সংশ্লিষ্ট ক্রীড়া সংস্থা অথবা থাইল্যান্ডের ক্রীড়া কর্তৃপক্ষের কাছে ভিসা সুবিধার জন্য তাদের নাম ও যোগাযোগের বিবরণ থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। অংশগ্রহণকারীরা প্রত্যাশিত ইভেন্ট সম্পর্কে আগে থেকে জানাতে দূতাবাসে ই-মেল করতে পারেন।
ভিসা আবেদনকারীদের উন্নত সেবা প্রদানের জন্য আবেদন ও অর্থপ্রদান ব্যবস্থা আপগ্রেড করার জন্য দূতাবাস সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। ভিসা প্রক্রিয়াকরণে কমপক্ষে ১০ কার্যদিবস সময় লাগে। আবেদনকারীদের তাদের আবেদন দ্রুত জমা দেওয়ার জন্য জোরালোভাবে সুপারিশ করা হচ্ছে।
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান মাঘী পূর্ণিমা পালনের জন্য আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার থাই দূতাবাস বন্ধ থাকবে বলেও জানিয়েছে থাই দূতাবাস।
ঢাকা/হাসান/এনএইচ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হবে: প্রেস সচিব
জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে ছয় সংস্কার কমিশনের দেওয়া প্রস্তাবিত সুপারিশ থেকে প্রয়োজনীয় সংস্কার চূড়ান্ত হবে । আর সংস্কার চূড়ান্ত করার পর সবাই জুলাই চার্টার (সনদ) স্বাক্ষর করবে এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হবে, তা চূড়ান্তভাবে নির্ধারিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ছয়টি সংস্কার কমিশন প্রধানকে নিয়ে ঐকমত্য কমিশন গঠন করেছেন। এ কমিশনের প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী রিয়াজ। অন্যান্য পাঁচ কমিশন প্রধানরা এর সদস্য।
তিনি বলেন, এই জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ছয় সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত সুপারিশ নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের সঙ্গে আলোচনা ও কথাবার্তা বলবেন। তাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে কতটুকু সংস্কার এখনই করতে হবে, কতটুকু পরে করা যাবে, এখনই যা করা হবে তা করতে হলে সাংবিধানিক রিফর্ম প্রয়োজন হবে (কিছু কিছু সংস্কার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে করা সম্ভব হবে) তা ঠিক করা হবে।
প্রেস সচিব বলেন, বিস্তারিত আলোচনার পর অংশগ্রহণকারী সব রাজনৈতিক দল ও সুশীল নাগরিকদের সবার মতামতের ভিত্তিতে যেসব সংস্কার নিয়ে সবাই ঐকমত্যে পৌঁছাবে, সেগুলোতে সবাই স্বাক্ষর করবেন। এ স্বাক্ষরের মাধ্যমে যতগুলো সংস্কার চূড়ান্ত হবে, তাই হবে জুলাই চার্টার। এই জুলাই চার্টারের কিছু বাস্তবায়ন অন্তর্বর্তী সরকার করবে, আর কিছু পরবর্তী সরকার এসে করবে। আর এ বাস্তবায়নের ওপরই নির্ভর করবে আগামী নির্বাচন এ বছরের ডিসেম্বরে হবে, নাকি আগামী বছরের জুনের মধ্যে হবে।
বিএইচ