চট্টগ্রাম নগরে অভিযান চালিয়ে ১০ ছাত্রলীগ কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার রাতে মিছিলের প্রস্তুতির সময় নগরের সদরঘাট থানার অভয়মিত্র ঘাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ রোববার তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।
পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার ১০ জন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী।
গ্রেপ্তাররা হলেন-সাব্বির হোসেন (২৩), মোহাম্মদ সাজিদ ইরফান (২০), কামরুল ইসলাম ওয়াসিম (১৯), সাজ্জাদ হোসেন মারুফ (২০), আবু বক্কর সিদ্দিক (২৩), মোহাম্মদ শাহিদ সাব্বির (২২), তন্ময় দাশ (২৩), নিলয় শীল (২৩), কৌশিক ধর (২২) ও সোলেমান আহমেদ (২৫)।
সিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাব্বির হোসেন চট্টগ্রাম মহানগর মুক্তিযুদ্ধ ছাত্রমঞ্চের সক্রিয় নেতা। তার নেতৃত্ব নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মীরা মিছিলসহ সন্ত্রাসী কার্যক্রমের প্রস্তুতি নিয়েছিল। তাদের সুনির্দিষ্ট মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আগারগাঁওয়ে সেনা অভিযানে অপহৃত ৪ কিশোর উদ্ধার
রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার আগারগাঁও এক নারী তার ছেলেকে অপহরণ করার অভিযোগ নিয়ে টহলরত সেনাবাহিনীর কাছে হাজির হন। অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, ওই নারীর ছেলে এবং আরও তিন কিশোরসহ মোট চারজনকে অপহরণ করা হয়েছে। অপহরণকারীরা মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে তাদের মুক্তির জন্য দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে।
অভিযোগ পাওয়ার পরপরই সেনা টহল দল এই ঘটনার বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে। টহল দল অপহৃতদের পরিবারকে কৌশলে অপহরণকারীদের সঙ্গে মুক্তিপণের বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে সময়ক্ষেপণ করে যেতে পরামর্শ দেন, যাতে তাদেরকে হাতে-নাতে গ্রেপ্তার করা যায়। এরই মধ্যে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অপহরণকারীদের অবস্থান নির্ণয় করা হয়।
অতঃপর অপহরণকারীরা মুক্তিপণের বিষয়ে আলোচনার জন্য বাইরে আসে। কিন্তু সেনা ও গোয়েন্দার উপস্থিতি আঁচ করতে পারলে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়। এরপর সেনা টহল দল আগারগাঁওয়ের আমতলী বস্তি এলাকা থেকে অপহৃত চার কিশোরকে নিরাপদে উদ্ধার করে।
উদ্ধারকৃত কিশোররা হলো- আমিরুল ইসলামের ছেলে আলভী রহমান (১৫), মো. সোহেলের ছেলে মো. সজল (২০), আমিনুল ইসলামের ছেলে ইয়াসিন আরাফাত (১৬) এবং মো. মেহেদীর ছেলে হৃদয় আহমেদ (১৫)। তারা সবাই আগারগাঁও পাকা মার্কেট শেরেবাংলা নগরের বাসিন্দা।
বুধবার দুপুরে সেনাবাহিনীর ৪৬ বিগ্রেডের এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, নিরাপদে উদ্ধার শেষে কিশোরদের তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় স্বস্তি ফিরে আসে এবং সেনাবাহিনীর তাৎক্ষণিক ও সফল অভিযান এলাকাবাসীর প্রশংসা অর্জন করে।
এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর সেনাবাহিনীর সাথে যোগাযোগ করলে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের জন্য শেরেবাংলা নগর থানার সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। তবে মোহাম্মদপুর সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অপহৃত কিশোরদের সুস্থভাবে উদ্ধার করা গেছে, এটা আমাদের প্রাথমিক সাফল্য। এখন আমরা অপহরণকারীদের আটক করার জন্য অভিযান পরিচালনা করব।