Samakal:
2025-04-09@22:03:20 GMT

ছাত্রলীগের ১০ কর্মী গ্রেপ্তার

Published: 2nd, February 2025 GMT

ছাত্রলীগের ১০ কর্মী গ্রেপ্তার

চট্টগ্রাম নগরে অভিযান চালিয়ে ১০ ছাত্রলীগ কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  শনিবার রাতে মিছিলের প্রস্তুতির সময় নগরের সদরঘাট থানার অভয়মিত্র ঘাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

আজ রোববার তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। 

পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার ১০ জন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী।

গ্রেপ্তাররা হলেন-সাব্বির হোসেন (২৩), মোহাম্মদ সাজিদ ইরফান (২০), কামরুল ইসলাম ওয়াসিম (১৯), সাজ্জাদ হোসেন মারুফ (২০), আবু বক্কর সিদ্দিক (২৩), মোহাম্মদ শাহিদ সাব্বির (২২), তন্ময় দাশ (২৩), নিলয় শীল (২৩), কৌশিক ধর (২২) ও সোলেমান আহমেদ (২৫)।

সিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাব্বির হোসেন চট্টগ্রাম মহানগর মুক্তিযুদ্ধ ছাত্রমঞ্চের সক্রিয় নেতা। তার নেতৃত্ব নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মীরা মিছিলসহ সন্ত্রাসী কার্যক্রমের প্রস্তুতি নিয়েছিল। তাদের সুনির্দিষ্ট মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মুগিস ও বারিরার কাহিনি

সাহাবিদের মধ্যে বারিরা নামে এক আনসারি নারী ছিলেন ক্রীতদাসী। তাঁর স্বামীর নাম মুগিস। বারিরা তার মনিবের দাসত্ব মুক্ত হতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তিনি তার সঙ্গে অর্থের বিনিময়ে দাসত্ব থেকে মুক্তির চুক্তি করেন। তাকে আর্থিক সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন আয়েশা সিদ্দিকা (রা.)।

 মুক্ত হওয়ার পর বারিরা তার স্বামীর ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করেন। ইসলামের বিধান হলো, কোনো বিবাহিত নারী দাসত্ব থেকে মুক্ত হলে তিনি তার বর্তমান বিয়ের বন্ধন ছেড়ে দেওয়ার ঐচ্ছিক স্বাধীনতা লাভ করেন। স্বামী তাকে ‘তালাক’ না দিলেও তিনি চাইলে স্বামীকে ছেড়ে আসতে পারবেন।

 বারিরা তাঁর স্বামী মুগিসকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। মুগিস বারিরাকে অসম্ভব ভালোবাসতেন। তাকে পাওয়ার জন্য কাঁদতে কাঁদতে মদিনার অলিগলিতে তাঁর পিছু পিছু ঘোরেন। কিন্তু মুগিসের প্রতি বারিরার কোনো সমবেদনা হয়নি।

আরও পড়ুনআবু জাহেলের মা আসমা বিনতে মুখাররাবা (রা.) সাহাবি ছিলেন ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অবশেষে মুগিস ছুটে গেলেন নবীজি (সা.)-এর কাছে। নবীজি (সা.) বারিরাকে বলেন, ‘তুমি যদি তাঁর সঙ্গে ঘরসংসার করতে! সে তো তোমার স্বামী। তোমার সন্তানের পিতা।’

 বারিরা বললেন, ‘আল্লাহর রাসুল(সা.), আপনি কি আমাকে নির্দেশ দিচ্ছেন?’

 তিনি বললেন, ‘আমি কেবল সুপারিশ করছি।’

 বারিরা বললেন, ‘তাকে আমার কোনো প্রয়োজন নেই।’

 আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, বারিরার স্বামীও ছিলেন একজন ক্রীতদাস। তাঁকে মুগিস নামে ডাকা হতো। আমি যেন এখনো তাকে দেখছি, তিনি বারিরার জন্য কেঁদে কেঁদে ঘুরছেন, আর তার দাঁড়ি বেয়ে অশ্রু ঝরছে। তখন নবীজি (সা.) বললেন, ‘আব্বাস, বারিরার প্রতি মুগিসের ভালোবাসা এবং মুগিসের প্রতি বারিরার অনাসক্তি দেখে আপনি কি আশ্চর্য হন না?’ (বুখারি, হাদিস: ৫,২৮৩)

আরও পড়ুনতিরন্দাজ এক সাহাবি০৯ নভেম্বর ২০২৪

সম্পর্কিত নিবন্ধ