সিনেমায় অভিনয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন শো-রুম উদ্বোধন করতেও দেখা যায় ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপু বিশ্বাসকে। গত মঙ্গলবার রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের একটি রেস্তোরাঁ উদ্বোধন করার কথা ছিল তার।

এদিকে অভিযোগ— পারিশ্রমিকের অগ্রিম ৫০ হাজার টাকা নিয়েও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অভিনেত্রী অপুর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে বাংলাদেশ শিল্পী সমিতিতে প্রতারণার লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে রেস্তোরাঁর মালিকের ভাই নৃত্যপরিচালক ও অভিনয়শিল্পী প্রিন্স রানা।

অভিযোগের বিষয়ে অপু বিশ্বাস বলেন, “আসলে কামরাঙ্গীরচরের সেই অনুষ্ঠানটি নিয়ে ইতোমধ্যে অনেক কিছুই হয়ে গেছে, তা সবারই জানা। যারা আয়োজক ছিলেন তারা শিল্পী সমিতিতে অভিযোগ করেছেন কিনা, তা জানি না। শুধু এতটুকু বলব, আমি শিল্পী তাদেরকে আমি চিনিও না। তারা কাজটির জন্য আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে ১ লাখ টাকায় চূড়ান্ত করেন। আমি যেহেতু ঢাকায় থাকি, সে ক্ষেত্রে জ্যামের কারণে টাইমিং একটু এদিকওদিক হতেই পারে। কিন্তু তারা আমার জন্য অপেক্ষা না করে অনুষ্ঠানটি শেষ করে ফেলেন। এখন আমাকে দেওয়া অগ্রিম ৫০ হাজার টাকা ফেরত চায়। আমি প্রফেশনাল মানুষ, আমি আমার পারিশ্রমিক চাই।”

আরো পড়ুন:

‘ঝলমলে রানি’ অপু বিশ্বাস

বাধার মুখে অপু, পরীমণির প্রশ্ন— মজা না?

গত মঙ্গলবার ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের ‘সোনার থালা’ নামে একটি রেস্টুরেন্ট উদ্বোধন করার কথা ছিল অপু বিশ্বাসের। কিন্তু আপত্তি জানায় স্থানীয় ‘হুজুররা’। আপত্তির মুখে রেস্তোরাঁটির মালিক কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমীরুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেন। তারা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বলেন, “অপু বিশ্বাসকে আনলে যদি হুজুররা বিশৃঙ্খলা করেন, আপত্তি জানান, তাহলে আমরা অপু বিশ্বাসকে আনব না। আমরা ব্যবসা করব। লোকজন নিয়ে চলতে হবে।”

অপু বিশ্বাসকে অনুষ্ঠানে যেতে বাধা দেওয়ার যে খবর ছড়িয়েছে, তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী। অপু বিশ্বাসের দাবি— ওই রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষের চাহিদা ছিল একটি ভিডিওবার্তা।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

এক প্রজন্মে শুরু, চার প্রজন্ম ধরে ক্রেতা টানছে বাগমারার ‘পাতলা দই’

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গ্রামাঞ্চলের কোনো আয়োজন যেন পাতলা দই ছাড়া পূর্ণতা পায় না। একটি পরিবার এই দই বানানো শুরু করেছিল। সেই পরিবারের হাত ধরেই চার প্রজন্ম ধরে ক্রেতার পছন্দের তালিকায় আছে ‘পাতলা দই’।

এখন এই ‘পাতলা দই’ বানান রাজশাহীর বাগমারার আকবর আলী (৫৫)। তিনি বাপ-দাদার এই পেশা আঁকড়ে ধরে আছেন ৪০ বছর ধরে। তাঁর দুই ভাইও একই কাজে যুক্ত আছেন।

বাগমারার দধির খয়রা গ্রামে থাকে আকবর আলীর পরিবার। গ্রামের নামকরণের সঙ্গে পরিবারটির একটি সম্পর্ক আছে, এমনটাই দাবি স্থানীয়দের। আকবরের বাড়ির পাশে দুই ভাই আফসার আলী ও তাসের আলীর বাস। পরিবারের বেশির ভাগ সদস্য এই দই তৈরির কাজে ব্যস্ত থাকেন।

আকবর আলী বলেন, তাঁর দাদা শুকুদ্দিন আর বাবা জহির উদ্দিন পাতলা দই বানাতেন। ১৫ বছর বয়স থেকে তিনিও এ পেশায় জড়িয়ে পড়েন। এখন তাঁর ছেলেও পারিবারিক এ কাজে যুক্ত হয়েছেন। আকবরের দুই ছেলেমেয়ের মধ্যে মেয়ের বিয়ে হয়েছে। ছেলে স্নাতোকত্তর পাস করে চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন, সঙ্গে পারিবারিক এ উদ্যোগের সঙ্গেও যুক্ত আছেন।

সম্প্রতি মচমইল হাটে দেখা মেলে আকবর আলী ও তাঁর ছেলে শরিফুল ইসলামের। ক্রেতাদের চাহিদা মোতাবেক দই বিক্রি করছেন তাঁরা। শরিফুল বলেন, পারিবারিক ঐতিহ্য ধরে রাখতে তিনি লেখাপড়ার ফাঁকে দই বানানো ও বিক্রির সঙ্গে যুক্ত থাকেন।

দই বানানোর প্রক্রিয়া সম্পর্কে বাবা-ছেলে বলেন, তাঁরা দই বানানোর মূল উপকরণ দুধ কিনে আনেন উপজেলার বিভিন্ন হাট থেকে। প্রতিদিন প্রায় ৯০ কেজি পরিমাণ পাতলা দই তৈরি করেন। এসব দই তাঁরা উপজেলার মচমইল, হাট গাঙ্গোপাড়াসহ কয়েকটি হাটে পসরা সাজিয়ে বিক্রি করেন। আবার কখনো বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আপ্যায়নের জন্য চাহিদা মোতাবেক দই সরবরাহ করেন। ওজনভেদে ২৫ থেকে ৯০ টাকায় দই বিক্রি করেন তাঁরা।

মচমইল উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবদুস সালাম বলেন, আকবর আলীর পরিবার দীর্ঘদিন ধরে এ পেশায় আছেন। এলাকায় তাঁদের বানানো পাতলা দইয়ের বেশ কদর। এই দইয়ের স্বাদও অন্য রকম।

মচমইল হাটে দই কিনতে আসা বিলবাড়ি গ্রামের বৃদ্ধ শুকচাঁন বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে এই পাতলা দইয়ের খদ্দের।

আকবর আলীর বিষয়ে শুভডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন বলেন, তাঁদের পরিবারটি এলাকার পুরোনো দই বিক্রেতা। তাঁদের পরিবারের বানানো দই এলাকার ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ